|
ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ কিনেও প্রতারিত হচ্ছেন অনেকে
বরিশালে ২৪টি মডেল ফার্মেসি ও মেডিসিন শপ উদ্বোধন
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : সরকার কর্তৃক ‘বাংলাদেশ ফার্মেসি মডেল ইনিসিয়েটিভ’ পাইলট প্রকল্পের আওতায় দুটি ক্যাটাগরিতে বরিশাল নগরীতে ২৪টি মডেল ফার্মেসি ও মেডিসিন শপ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান আনুষ্ঠানিক ভাবে মডেল ফার্মেসী ও মেডিসিন শপের উদ্বোধন করেন। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর সদর রোড, কাটপট্টি রোড, বটতলা ও বান্দ রোডের ফার্মেসী গুলো পৃথক ভাবে উদ্বোধন করা হয়। বরিশালের মডেল ফার্মেসি গুলো হলো, নগরীর বান্দ রোডস্থ রাহাত আনোয়ার হাসপাতাল, রাহাত মেডিকেল হল, তুহিন মোডিকেল হল, বটতলার সাঈম মেডিকেল হল, কাটপট্টির টাউন মেডিকেল হল, সদর রোডের জামান মেডিকেল হল, দি মেডিকাস, নিউ মেডিকেল হল, নিউ মেডিসিন পয়েন্ট, জাহানুর মেডিসিন ও বিষ্ণুপিয়া ফার্মেসি। এছাড়া মেডিসিন শপ গুলো হলো, সদর রোডের ব্রাইট মেডিসিন, হাবিব মেডিকেল হল, বেষ্ট ফার্মেসি, বান্দ রোডের হাওলাদার মেডিকেল হল, নূর ফার্মেসি, মহাসীন মেডিকেল হল, জাহানারা ফার্সেসি, জনতা মেডিকেল হল, কাজী মেডিসিন হাউজ, আহসান ব্রাদাস, মেসার্স ওষুধ বিতান, খান এস এ্যান্ড টি ট্রাগ হাউজ ও মেসার্স লিমন মেডিকেল হল। এদিকে উদ্বোধন পরবর্তী দুপুরে নগরীর বরিশাল ক্লাব লিমিডেট এর অমৃত লাল দে মিলেনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সভাপতি কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ওষুধ নিয়ে বিভ্রান্তি শেষ নেই। একজন রোগী কোন ওষুধ কখন খাবেন, ওষুধের ডোজ কিরকম এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়। আর এজন্যই বর্তমান সরকার ফার্মেসি মডেল ইনিসিয়েটিভ’ পাইলট প্রকল্পের আওতায় দুটি ক্যাটাগরিতে সারা দেশে মডেল ফার্মেসি ও মেডিসিন শপ চালু করেছে। এরই অংশ হিসেবে বরিশালে ২৪টি মডেল ফার্মেসী’র উদ্বোধন করা হলো। তিনি আরো বলেন, অনেক ফার্মেসি রয়েছে যেখানে ওষুধ সংরক্ষনের জন্য নির্ধারিত তাপমাত্রার বিষয়টি মেনে চলছে না। এর ফলে ওষুধের গুণাগুন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ওই ওষুধ সেবন করেও সুস্থতা পাওয়া যাচ্ছে না। বরং ওষুধের বিরুপ প্রতিকৃয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ কিনেও প্রতারিত হচ্ছেন অনেকে। এ ধরনের ভোগান্তি দূর করতেই মডেল ফার্মেসি ও মেডিসিন শপগুলো কার্যকরি ভুমিকা পালন করবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক রুহুল আমিন, সহকারী পরিচালক আইউব আলী, সহকারী পরিচালক আশ্রাব হোসেন, লাইসেসিং অফিসার নাইম গোলদার, বরিশালের সিভিল সার্জন ডা: মো: মনোয়ার হোসেন, ডিপুটি সিভিল সার্জন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল। এছাড়াও বরিশাল কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম আনসারী, বরিশাল ফারিয়ার সভাপতি শহিদ হোসেন মুন্ন, সম্পাদক বেলায়েত হোসেন ছাড়াও বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ঝালকাঠী জেলার ওষুধ তত্তাবধায়কগন উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে সারা দেশে ২০ জেলায় সরকার এই কর্মসূচী গ্রহন করেছে। বরিশালে মোট ওষুধের দোকান ৫শ’। এর মধ্যে ১১টি দোকানকে গ্রেড ১, ১৪টি দোকানকে গ্রেড ২ মডেল মেডিসিন শপ হিসেবে চালু হয়েছে।
Post Views:
১,৪১০
|
|