|
পানির তীব্র সংকট, রাতে সড়কে জ্বলে না বাতি
বরিশালে সেবা বঞ্চিত ২৭ পৌরবাসী, কর্মচারীদেরও কর্মবিরতী
রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা ও পেনশন পাওয়ার এক দফা দাবীতে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার ২৭টি পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতীর কারনে পানি, বিদ্যুৎসহ পৌরসভার সকল কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে পৌর কার্যালয়ে এসে সেবা বঞ্চিত হয়ে ফিরে যাচ্ছেন পৌরবাসী। বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সর্বশেষ ২৮ জানুয়ারি থেকে ৭২ ঘন্টার কর্মবিরতী পালন শুরু করেছেন বিভাগের ২৭টি পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এরপূর্বেও একাধিকবার কর্মবিরতী, মানববন্ধন, সমাবেশ করে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। এ্যাসোসিয়েশনের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান মনির বলেন, পৌরসভা কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা পৌরবাসী তাদের গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজের জন্য অনুরোধ করা সত্বেও কর্মবিরতীতে থাকায় আমরা কোন ধরনের সেবা দিতে পারছি না। এছাড়াও জেলার প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকার বাসা-বাড়িতে সাপ্লাই পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। রাতে প্রতিটি পৌর এলাকার ল্যাম্পপোস্টের বাতি বন্ধ থাকায় ভুতুরে পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে। পৌরবাসী সকল ধরনের সেবা বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে গেলে আমাদের খুব খারাপ লাগে। কিন্তু আমাদেরও পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। দীর্ঘদিন আন্দোলন করেও আমাদের এক দফা দাবী বাস্তবায়ন করতে পারিনি। এখন আর আমাদের পিছু হটার সুযোগ নেই। দাবী না মানা পর্যন্ত একের পর এক কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি (মনির) উল্লেখ করেন। এ্যাসোসিয়েশনের বরিশাল বিভাগীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বলেন, বিভাগের ছয় জেলার ২৭টি পৌরসভায় একযোগে কর্মবিরতী পালন করছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে পৌর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও পেনশন পাওয়ার এক দফা দাবী আদায়ের জন্য দীর্ঘদিন থেকে আমরা আন্দোলন করে আসছি। অদ্যবর্ধি দাবী মেনে না নেয়ায় সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে চরম হতাশা আর ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে আমাদের এক দফা দাবী মেনে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
শামীম আহমেদ, অতিথি প্রতিবেদক
Post Views:
১১৮
|
|