প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » বরিশালে সুমন হাসানকে নির্যাতন, ডিবি’র আরো দুই কনস্টেবল বরখাস্ত
Saturday March 17, 2018 , 1:57 pm
দোষি সাব্যস্ত হওয়া দুই কনস্টেবল হল – আব্দুর রহিম ও রাসেল পারভেজ
বরিশালে সুমন হাসানকে নির্যাতন, ডিবি’র আরো দুই কনস্টেবল বরখাস্ত
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজ এর ক্যামেরা পার্সন সুমন হাসানকে অকথ্য নির্যাতনের ঘটনায় দোষি সাব্যস্ত হওয়া ডিবি পুলিশের ৮ সদস্যর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হচ্ছে। তবে এর আগে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তদন্তে বেশী দোষী সাব্যস্ত হওয়া ডিবি পুলিশের আরো দুই সদস্যকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সুমন হাসানকে নির্যাতনের ঘটনায় ওই দু’জন সহ এ পর্যন্ত ৩ জন ডিবি পুলিশ কনস্টেবল সাময়িক বরখাস্ত হয়েছে। বরিশাল মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. নাসির উদ্দিন মল্লিক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সাংবাদিক সুমন হাসানের উপর নির্যাতনের বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছি। বিশেষ করে আমাদের কমিশনার এবং উপ-পুলিশ কমিশনার মহোদয় সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনাটি অন্যান্য অপরাধীদের মত করেই দেখছেন। পুলিশ বলে এড়িয়ে যাচ্ছেন না। কেননা সামান্য কয়েকজনের জন্য পুরো পুলিশ বাহিনী খারাপ হতে পারে না। সে বিষয়টির প্রতি লক্ষ রেখেইে আমাদের তদন্ত কমিটি কাজ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, তদন্তে ডিবি’র ওই টিমে থাকা এসআই আবুল বাশার এবং দুইজন এএসআই সহ ৮ জনই দোষি সাব্যস্ত হয়েছে। তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্যও সুপারিশ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী ওই ৮ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা গ্রহনের প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে। তিনি বলেন, ঘটনার পর দিনই এই ঘটনার সঙ্গে মূল আসামী হিসেবে জড়িতে কনস্টেবল মাসুদুল হককে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাছাড়া তদন্ত প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে বেশি দোষি সাব্যস্ত হওয়া আরো দুই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরা হলো, কনস্টেবল আব্দুর রহিম ও রাসেল পারভেজ। এর পাশাপাশি সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ওই তিন কনস্টেবল সহ ডিবি পুলিশের ৮ সদস্য’র বিরুদ্ধেই বিভাগীয় মামলার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি। সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় ওই ৮ জনকেই ঘটনার পর পরই প্রত্যাহার করে মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সএ সংযুক্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দুপুরে বিউটি রোডে ডিবি পুলিশের এসআই আবুল বাশারসহ তার নেতৃত্বাধীন টিমের দু’জন এএসআই সহ ৮ জন সদস্য সুমনের উপর চড়াও হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা সুমনকে বেধড়ক মারধর করে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে টানতে টানতে খালি গায়ে গাড়িতে তোলে। পরে গাড়ির ভেতরে তুলে প্যান্টের বেল্ট দিয়ে গলার পেছনের দিকে টেনে ধরা হয়। স্পর্শকাতর স্থান চেপে ধরা সহ সুমনকে ও সকল সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেয়া হয়। তার পর ডিবি অফিসে নিয়ে বুকের ওপর লাথি দেয়া সহ বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করা হয় সুমনকে। এই ঘটনায় ওই দিনই ডিবি এসআই আবুল বাশার সহ তার টিমে থাকা দুই এএসআই সহ ৮ জনকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়। তাছাড়া পরদিন অর্থাৎ বুধবার ঘটনার প্রধান দোষি হিসেবে কনস্টেবল মাসুদুল হককে সাময়িক ভাবে বরাখাস্ত করেন পুলিশ কমিশনার।