মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশালে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজের ক্যামেরাপারসন সুমন হাসানকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কতিপয় সদস্যদের নির্যাতনের ঘটনায় মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা। বুধবার (১৪ মার্চ) সকালে নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে ফটো সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ ও বরিশাল ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এ মানববন্ধন করা হয়। ফটো সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি দিপু তালুকদারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী আবুল কালাম আজাদ, বরিশাল টেলিভিশন মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হুমায়ুন কবির, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল বিশ্বাস, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম ফরিদ, কোষাধ্যক্ষ কাজী আল মামুন, বরিশাল নিউজ এডিটর কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মেহেদী হাসান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ব্যুরো প্রধান রাহাত খান, সাংবাদিক নেতা এম. জহির এবং বেলায়েত বাবলু প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা ক্যামেরাপারসন সুমন হাসানের ওপর মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কতিপয় সদস্যদের অমানবিক নির্যাতনের বিচার দাবি করেন। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের ও চাকরিচ্যুত করার দাবিও জানান। এদিকে সুমন হাসানকে নির্যাতনের ঘটনায় বুধবার (১৪ মার্চ) তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ কমিশনার। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) রুনা লায়লাকে প্রধান করে এ কমিটিকে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমিন। পুলিশ কমিশনার রুহুল আমিন দুপুরে একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সুমনের বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, তদন্তে করে কতোটুকু দোষ এটা দেখে অপরাধ অনুযায়ী বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ বাহিনীর মধ্যে কিছু খারাপ থাকতে পারে। আমরা চাইবো তারা সংশোধন হবে। তিনি আরও বলেন, আমি সাধারণ মানুষের অপরাধ যে চোখে দেখি, পুলিশ সদস্যদের অপরাধও একই দৃষ্টিতে দেখি। কেউ অপরাধ করলে তার শাস্তি হবে। ভালো খারাপ সব জায়গাতেই রয়েছে। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ক্যামেরাপারসন সুমান হাসান নির্যাতনের বিষয়ে বলেন, নগরীর বিউটি রোডে অভিযান শেষে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশারসহ তার টিমের সদস্যরা আমার ওপর চড়াও হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা (ডিবি পুলিশ) আমাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে এবং গায়ের জামা ছিঁড়ে ফেলে। একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে মারধর করে পরে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে টানতে টানতে গাড়িতে তুলে। গাড়ির ভেতরে স্পর্শকাতর স্থান আঘাত করে। তারপর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে মারধর করে।