খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে ২০১৮ সালে সুবিধাভোগীর সংখ্যা কিংবা ডিলারের সংখ্যা বাড়েনি
বরিশালে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি শুরু
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : ১ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি। এবারেও কর্মসূচির মাধ্যমে জেলার ১ লাখ ৬০ হাজার ৩৯৬ উপকারভোগীরা ১০ টাকা মূল্যের চাল কিনতে পারবেন। এরই মধ্যে উপকারভোগীদের মাঝে বিক্রির চাল প্রেরন করা হয়েছে খাদ্য অধিদপ্তরে। সেই সঙ্গে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল উত্তোলনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলারদের। অবশ্য আজ থেকে কর্মসূচি শুরু হলেও বরাদ্দের চাল কিংবা কোন চিঠি এখনো বরিশালে এসে পৌঁছেনি। তবে অনলাইনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মশিউর রহমান। বরিশাল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১ মার্চ থেকে দুই মাস ব্যাপী সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি শুরু হয়েছে। কর্মসূচির আওতায় বরিশাল জেলার আওতাধীন ১০টি উপজেলার মোট ৮৫টি ইউনিয়নে এক লাখ ৬০ হাজার ৩৯৬ জন উপকারভোগীর মাঝে সরকার নির্ধারিত মূল্যে চাল বিক্রি করা হবে বলে জানা গেছে। ৮৫টি ইউনিয়নে মোট ২৮৫ জন ডিলারের মাধ্যমে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির কার্ড প্রাপ্ত উপকারভোগীরা চাল কিনতে পারবেন। বরিশাল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মশিউর রহমান জানিয়েছেন, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে ২০১৮ সালে সুবিধাভোগীর সংখ্যা কিংবা ডিলারের সংখ্যা বাড়েনি। ২০১৭ সালে জেলায় যে ক’জন কার্ডধারী সুবিধাভোগী এবং ডিলার ছিলো তাদের মাধ্যমে এ বছরেও সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি পরিচালিত হবে। তিনি আরো বলেন, এ বছরেও উপকারভোগীদের মাঝে ১৫ হাজার ৮৩৪ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হবে। ডিলাররা সরকারের কাছ থেকে প্রতি কেজি চাল দেড় (১.৫০) টাকা মূল্যে পাবে। পরবর্তীতে তা উপকারভোগীদের মাঝে ১০ টাকা মূল্যে বিক্রি করবে। এক একজন উপকারভোগী মোট ৩০ কেজি চাল কিনতে পারবেন। মশিউর রহমান আরো বলেন, ১লা মার্চ থেকে এই কর্মসূচি শুরু হলেও ঢাকা থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোন চিঠি আসেনি। তবে বিষয়টি অনলাইনের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আগামী রবি অথবা সোমবারের মধ্যে ঢাকা থেকে এসংক্রান্ত চিঠি এসে পড়বে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। এর পর পরই ডিলারদের কাছে চাল বিক্রি করে তা সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। অবশ্য এজন্য অনেক সময় পাওয়া যাবে। কেননা খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে ২ মাস। এই সময়ের মধ্যে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি বাস্তাবায়ন সম্ভব হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।