|
ঘটনাস্থল পরির্দশন করনে, এস আই মশিউর রহমান ও ওয়াহাব নেতৃত্বাধীন একটি টিম
বরিশালে সন্ত্রাসীরা চাঁদা না পেয়ে হাতুড়িপেটা করল এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : রাষ্ট্রায়ত্ব অগ্রণী ব্যাংক লিমিটিডের বরিশাল আঞ্চলকি কার্যালয়ের প্রিন্সিপাল অফিসার ও অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড অফিসার সমিতির বরিশাল অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ কুন্ডুকে হাতুড়িপেটা করেছে রুপাতলীর সন্ত্রাসী চায়না ফিরোজ বাহিনী। শুক্রবার (২৩ র্মাচ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা সোহরাফ খান হাউিজংয়ে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত দেবাশীষ কুন্ডুকে স্থানীয়রা পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি করে। এ ঘটনায় চায়না ফিরোজের প্রধান সহযোগী নাসির উদ্দিনকে আসামী করে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরির্দশন করনে, এস আই মশিউর রহমান ও ওয়াহাব নেতৃত্বাধীন একটি টিম। জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা সোহরাফ খান হাউজিংয়ে দেবাশীষ কুন্ডুসহ ৮ জন কর্মকর্তা সোহরাফ খানের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেন। ওই কর্মকর্তারা হলনে-শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, ব্যবসায়ী জামাল হোসনে গাজী, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের এসও আব্দুল মান্না ও মোস্তাফিজুর রহমান, অগ্রণী ব্যাংকের ম্যানেজার খায়রুল ইসলাম, জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার স্বপন ঘরামী ও গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজার আবুল বাসার। তাদের ক্রয় করা জমিতে ঘর তোলার উদ্যোগ নিলে চাঁদাবাজ চায়না ফিরোজ তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ওই ৮ জনের কাছে চাঁদা দাবি করে। এমনকি চাঁদা না দিলে তাদের স্থাপনা নির্মাণ করতে দিবে না। একইসাথে তাদের চাঁদা না দিয়ে ঘর নির্মাণের চেষ্টা চালালে খুন করে হাউজিংয়ের পুকুরে ভাসিয়ে দেবে বলেও হুমকি প্রদান করে। উল্লেখিত কর্মকর্তারা তাতে কর্ণপাত না করায় কিছুদিন পরে একটি জাল দলিল নিয়ে এসে শালিসি বসার জন্য বলে চায়না ফিরোজ। চায়না ফিরোজের দাবি, তিনি সোহরাফ খান যে জমি বিক্রি করেছেন তার এক অংশীদার তাকে পাওয়ার অফ র্এর্টনি প্রদান করেছেন। সেই জমি উদ্ধার করতেই চেষ্টা চালাচ্ছেন। ভুক্তভোগী ব্যাংকার খায়রুল ইসলাম বলনে-কয়েক দফা শালিসি স্থানীয়ভাবে ওই জমির মধ্যে ফিরোজের কোন জমি নেই বলে শালিসিদাররা রায় দিয়েছেন। জানা গছে, শালিসিদারদের রায় পাওয়ার পরে প্রথম দফায় বিল্ডিং নির্মাণের জন্য ইট আনলে ট্রাক আটকে দেয় চায়না ফিরোজসহ ৮ থেকে ১০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। তবে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপ শেষে ইট এনে রাখে জমিতে। ওই ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন খায়রুল ইসলাম। এদিকে শুক্রবার সকালে ৮ জন কর্মকর্তা মিলে টিনের ঘর উত্তোলন করে। তা দেখে চায়না ফিরোজ বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ঘর উত্তোলনের সময়ে চাঁদার টাকা চাইতে আসে চায়না ফিরোজ ও তার সহযোগী নাছিরসহ ৭ থেকে ৮ জন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চাঁদা চাইতে আসলে, উপস্থিত ঘর উত্তোলনকারীরা চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করে। তখন চায়না ফিরোজ হুমকি দিয়ে বলে যায়, চাঁদা ছাড়া ঘর কি করে ওই জমিেত রাখে তা দেখে নেব। অগ্রণী ব্যাংকের এসও মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তারা উত্তোলিত টিনশেড পুড়িয়ে দেবে বলে হুমকি দিয়ে যান। একইসাথে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেন। জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার স্বপন ঘরামী বলনে, এ সময়ে নিজেদের আ’লীগ নেতা পরিচয় দেন। অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘খুব উচ্চবাচ্য করেছে ফিরোজ। আমরা দেখেছি সে নিজেকে ওর্য়াড আ’লীগের নেতা পরিচয় দিয়ে বলে মালাউনগো এই দেশে রাখুম না। জমির দখলে যাবিতো পরের কথা।’ ওই সময়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যাওয়ার এক ঘন্টা পর সোহরাফ খান হাউজংয়ের প্রবেশ পথে অবস্থান নেয় চায়না ফিরোজ, নাছিরসহ ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল। এদিকে সকাল সাড়ে দশটার দিকে দেবাশীষ কুন্ডু রুপাতলী থেকে ঘরের জন্য চৌকি কিন আনেন। এসময়ে র্পূব থকেে ওঁৎ পেতে থাকা চায়না ফিরোজের সহযোগী নাছির অন্যান্যদের নিয়ে দেবাশীষ কুন্ডুর মোটরসাইকেলের পথরোধ কর। এসময়ে সন্ত্রাসী নাছির তার হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে দেবাশীষের মাথা র্টাগেট করে আঘাত করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু ধ্বস্তাধ্বস্ততিে দেবাশীষ মোটরসাইকেলসহ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে নাছির দেবাশীষের ডান পায়ে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করতে থাকে এবং মারধর করে। আক্রান্ত দেবশীষের চিৎকারে আশপাশের বাসিন্দারা এগিয়ে আসলে চায়না ফিরোজ, নাছিরসহ অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। আহত দেবশীষেকে স্থানীরা উদ্ধার করে পাশইে একটি নিরাপদ ঘরে রাখ। এই সংবাদ কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ পেলে এস আই মশউির তার টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং আহত দেবাশীষের অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর নির্দেশ দেন। বর্তমানে দেবাশীষ কুন্ডু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার এস আই মশউির রহমান বলেন, ওই ঘটনায় আক্রান্ত দেবাশীষের পায়ে মারাত্মক ক্ষত দেখা দিয়েছে। আক্রমণ করে সন্ত্রাসীরা তার পা ভেঙে ফেলেছে। এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা দায়ের হয়নি। তবে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Post Views:
১০৮
|
|