|
শ্বশুড় বাড়িতে নির্যাতনের শিকার তামান্না ওসিসিতে ভর্তি রয়েছে
বরিশালে শ্বশুড় বাড়িতে নির্যাতনের শিকার চরমোনাইর মেয়ে তামান্না
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবড়িয়া ইউনিয়নে গৃহবধুকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। শ্বশুড় বাড়িতে নির্মম নির্যাতনের শিকার গৃহবধু তামান্না চরমোনাই ইউনিয়নের রাজারচর গ্রামের দেলোয়ার তালুকদারের মেয়ে। মঙ্গলবার রাতে নির্যাতনের শিকার হন তিনি। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বুধবার বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে তার বাবা-মা। স্বামী, শ্বশুড়, শ্বাশুড়ী ও ননদের নির্যাতনের শিকার হন তিনি। সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগে টুঙ্গিবাড়িয়ার সাইফুলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তামান্নার। প্রেম করতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়লে চরমোনাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কোতয়ালী থানায় পাঠালে সেখানেই বিয়ে হয় তাদের। বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের রাজারচর এলাকার দেলোয়ার তালুকদারের মেয়ে তামান্না। তামান্নার শ্বশুড় বাড়ি টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের বিশারহাত গ্রামের খান বাড়ি। তামান্নার স্বামীর নাম, সাইফুল খান। তার শ্বশুড়ের নাম মাওলানা এনছান খান। নির্যাতনের শিকার তামান্নার মা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়ে তামান্নাকে মারধর করে আসছিল তার শ্বশুড় বাড়ির লোকজন। তারই ধারাবাহীকতায় মঙ্গলবার রাতে তামান্নার স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার শ্বশুড়, শ্বাশুড়ী ও ননদ মিলে তার উপর নির্মমভাবে শারীরিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের এক পর্যায়ে তামান্না প্রান রক্ষার্থে বাথরুমে ঢুকে পড়ে। তামান্নার ডাকচিৎকারে পাশের বাড়ির লোকজন এসে তামান্নাকে উদ্ধার করে আমাদেরকে জানায়। আমরা বুধবার সকালে তামান্নাকে নিয়ে আসি এবং হাসপাতারে ভর্তি করি। তামান্নার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ডাক্তাররা তাকে ওসিসিতে ভর্তি করে। তিনি আরও জানান, তামান্নার শ্বশুড়, শ্বাশুড়ী ও ননদের নির্যাতনে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নিলাফুলা রয়েছে। হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত রয়েছে। তার অবস্থা খুবই খারাপ। এ বিষয়ে তামান্নার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জন্য কিছু একটা করেন, আমি মনে হয় আর বাঁচবো না। তার উপর নির্যাতনের কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্বামীও আমাকে মাঝে মাঝে মারধর করতো। কিন্তু আমার স্বামী গত মঙ্গলবার বাসায় না থাকায় আমার শ্বশুড়, শ্বাশুড়ী ও আমার ননদ মিলে আমাকে নির্মম ভাবে নির্যাতন করে। আমি শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে দৌড়ে বাথরুমে ঢুকে চিতকার শুরু করি। পরে পাশের বাড়ির লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে এবং আমার মা বাবাকে জানায়। পরের দিন আমার মা-বাবা এসে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। আমার অবস্থা এখন খুবই খারাপ। ঘটনার বিষয়ে মেডিকেলের ওসিসির দায়ত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা মোঃ শাহিন জানায়, শ্বশুড় বাড়িতে নির্যাতনের শিকার তামান্না ওসিসিতে ভর্তি রয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত ও নিল ফোলা দাগ রয়েছে।
Post Views:
৮০
|
|