Current Bangladesh Time
শনিবার জানুয়ারি ২৫, ২০২৫ ১১:১৪ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বরিশালে শেবাচিম মেডিকেল কলেজের সচিবকে লাঞ্ছিত, টোকাই মিলন বেপরোয়া 
Friday August 17, 2018 , 9:36 pm
Print this E-mail this

বাবা-ছেলের এই অপকর্মে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের স্টাফরা অতিষ্ঠ

বরিশালে শেবাচিম মেডিকেল কলেজের সচিবকে লাঞ্ছিত, টোকাই মিলন বেপরোয়া


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের কোয়াটার দখলে ব্যর্থ হয়ে কলেজ সচিব আঃ জব্বারকে লাঞ্ছিত করেছে ইউসুফ আলী মিলন ওরফে টোকাই মিলন ও তার সহযোগীরা। কলেজের প্রশাসনিক কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মিলন ও তার সহযোগীরা জব্বারকে চড়-থাপ্পড় দিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। মিলন শেবাচিম হাসপাতালের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী। এছাড়া সে মেডিকেল কলেজের বিতর্কিত দারোয়ান সাহেব আলীর ছেলে। লাঞ্ছিত মেডিকেল কলেজের প্রধান সহকারী ও সচিব (ভারপ্রাপ্ত) আঃ জব্বার জানান, মিলনের বিষয়টি অধ্যক্ষ মহোদয় ব্যবস্থা নিবেন। এছাড়া তিনি মিলন ও তার বাবা সাহেব আলীর ভয়ে সাংবাদিকদের কাছে বেশি কিছু বলতে চাননি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন মিলন হঠাৎ সচিব জব্বারের রুমে ঢুকে সচিবের কাছে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে সে জব্বারকে চড়-থাপ্পড় দেয়। অপর একটি সূত্র জানায়, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মিলনের বাবা সাহেব আলী কলেজের উপাধ্যক্ষের বাসভবণ দেখাশুনার দায়িত্ব পান। এ সুযোগে সে তার পরিবার নিয়ে কোয়াটার দখল নিয়ে অবৈধভাবে বসবাস শুরু করে। এভাবে বছরের পর বছর সে বসবাস করে পুরো কোয়াটার দখলে নেয়। এমনকি সেখানে থাকা বিভিন্ন ধরনের গাছ বিক্রি করে দেয়। এছাড়া সে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানি ব্যবহার করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। এ নিয়ে বিভিন্ন দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হলেও কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন এবং তাকে বাসা ছাড়ার নোটিশ প্রদান করে। সর্বশেষ গত ৬মাস পূর্বে সে অধ্যক্ষ নোটিশ করে সচিবের মাধ্যমে বাসা থেকে নামিয়ে দেয়। মেয়র নির্বাচনের পর সাহেব আলী পুত্র আবারও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এছাড়া সে নব-নির্বাচিত মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর নাম ভাঙ্গিয়ে বান্দ রোড এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু কওে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার মিলন ও তার সহযোগী ফের উপাধ্যক্ষের কোয়াটার দখল করতে সচিবের কাছে যান এবং তাকে উপাধ্যক্ষের কোয়াটারে থাকার ব্যবস্থা করে দিতে বলে। এতে সচিব অপারগতা জানালে সে ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায়ে মিলন মেয়রের লোক দাবি করে কোয়াটারের চাবি দিতে সচিবকে হুমকি দেয়। এ নিয়ে সচিবের সাথে মিলনের বাকবিতন্ডা হয়। পরে মিলন সচিব জব্বারকে মারধর করে। এর পূর্বেও মিলনের বিরুদ্ধে সচিবকে ও হিসাবরক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া যায়। কলেজের জনৈক এক স্টাফ জানান, মিলনের বাবা সাহেব আলীও বেপরোয়া ছিল। বিগত এক কলেজ অধ্যক্ষকে বিভিন্ন ইস্যু ধরে কান কেটে নেয়ার মত ঘটনা ঘটিয়েছে। বাবা-ছেলের এই অপকর্মে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের স্টাফরা অতিষ্ঠ। এদিকে মিলন নিজেকে আ’লীগের নেতা ও নবনির্বাচিত মেয়রের কাছের লোক বলে কলেজ ও হাসপাতালে হুংকার দিয়ে আসছে। মিলনের বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে বলে প্রশাসনিক দপ্তর থেকে জানা যায়। এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ ভাস্কর সাহাকে ফোন করা হলে তিনি সাংবাদিকের পরিচয় শুনে ফোন কেটে দেন।




Archives
Image
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়ে সুবিধাপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : ফারুক ই আজম
Image
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক দল হলে জনগণ হতাশ হবে : তারেক রহমান
Image
বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা : ভারতের কাছে জবাব চাওয়ার দাবি
Image
দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা
Image
বরিশালে স্কুলছাত্র হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ