|
আর্থিক সহযোগীতার জন্য আপনি আপনার হাতটি বাড়িয়ে দিন এই এতিম শিশুদের প্রতি
বরিশালে শতাধিক এতিম শিশু ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত
সুব্রত বিশ্বাস : বরিশাল নগরীর পলাশপুর ৫ নং ওয়াড ৭ নং আর্দশ গুচ্ছগ্রাম মধ্য কালভার্ট সংলগ্ন রহমানিয়া কেরাতুল কোরআন হাফিজি ও মাদ্রাসা লিল্লাহ বোডিংটি শতাধিক এতিম শিশুরা অর্থের সহযোগীতা না পাওয়ায় ছাত্রদের নিয়ে পথে পথে কেঁদে বেড়াচ্ছেন মাদ্রাসার পরিচালক।অন্য দিকে এতিম শিশুরা কেঁদে কেঁদে বলেন, আমাদের কেউর মা নেই, আবার কেউর বাবা নেই।তাই আমরা প্রতি ঈদ কোরবানীতে নতুন কোন পোষাকের মুখ দেখতে পাই না।আমাদের নতুন পোষাক দেওয়ার মত কেউ নেই।কোন সহযোগীতাও পাচ্ছি না আমাদের মাদ্রাসায়।ঈদ কোরবানী থেকে বঞ্চিত ছাড়া কিছুই জুটেনা আমাদের কপালে।প্রায় শতাধিক এতিম গরীব রয়েছে এই মাদ্রাসায় কিন্তু তারা কোন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থের সহযোগীতা না পাওয়ার কারনে কোরবানীতে পোষাক, খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানায় স্থানীয়রা।এতিম ছাত্ররা আরো জানায়, আমরা গরীব ঘরের ছাত্র দেখে আমাদের স্থান হয়েছে এমিত খানায়।আর যারা ধনী বংশে জম্ম নিয়েছে তারা চলে গাড়িতে, খাচ্ছে তিন বেলাই পোলাউ মাংস আর বিরিয়ানী।কিন্তু আমাদের এতিম খানায় এতিমের জন্য মাসে বা বছরেরও একবার পোলাউ মাংস কপালে জোটে না।ঈদ যায় কোরবানী যায় কিন্তু আমাদের গায়ে থাকে পুরাণ কাপড়।যার বাবা-মা আছে তারা একটা না একটা নতুন পোষাক পড়ে।আমাদের বাবা ও মা না থাকার কারণে আমাদের গায়ে উঠে না নতুন পোষাক।মাদ্রাসায় কেউ যদি মাছ ও মাংস দান করে তাহলে আমাদের ছাত্রদের কপালে জোটে।মাদ্রারায় গিয়ে জানা গেছে, কয়েকজন এতিম শিশুর জীবন কাহিনীর গল্প।দেখা গেছে কি ভাবে তাদের জীবন কাটাচ্ছে মাদ্রাসায়।এতিম শিশু মোহন জানায়, আমার বাবা-মা কেউই এই পৃথীবিতে বেঁচে নেই, শুধু রয়েছে নানু, তাই আমার ঠিকানা হয়েছে এই এতিম খানায়-ই।মা-বাবা বেঁচে থাকলে নতুন পোষাক ও ভালো খাবার দিতেন আমাকে।নেই বলে তিন বেলার খাবারও জুটে না আমার মত আনেক এতিম শিশুর।মাদ্রাসার পরিচালক ফিরোজী সাহেব জানায়,দরদী ভাই বোনদের খেদমতে এই যে মাদ্রাসায় চাল, কাপড়, অর্থ, যাকাত, ফিৎরা, মান্নত, কোরবানীর চামড়া দান করলে ছাত্রদের নিয়ে মাদ্রাসাটি চালাতে বেশি একটা সমস্যা হয়ে দাড়াত না।কিন্তু কোন ব্যাক্তি এই এতিম শিশুগুলোর দিকে একটু নজর অথবা অর্থের সহযোগীতা করছে না, এমনকি মাদ্রাসার নিজস্ব কোন জমি নেই।প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকার ভাড়া দিতে হচ্ছে।কোন ব্যাক্তি মাদ্রাসার জন্য ২ শতাংশ জমি দান করলে শতাধিত এতিম শিশুর নিদিষ্ট থাকার স্থান হত।তিনি আরো জানান,দানশীল ব্যক্তিরা এই মাদ্রাসার এতিম গরীব ছাত্রদের মুখে দিকে তাকিয়ে যদি একটু দান করতেন! কোরবানীতে এতিম ছাত্রদের খাবার, কাপড়, অর্থ দিয়ে সকলের সহযোগীতা একান্তভাবে কাম্য।‘মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না’…..ঠিক তাই, আর্থিক সহযোগীতার জন্য আপনি আপনার হাতটি বাড়িয়ে দিন এই এতিম শিশুদের প্রতি।যোগাযোগ করুন: ০১৭৬২১০০৫৩১ (মাদ্রাসার পরিচালক)-এই নম্বরে।
Post Views:
১,৭০৪
|
|