Current Bangladesh Time
শনিবার অক্টোবর ১২, ২০২৪ ১২:৩৯ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বরিশালে শতাধিক এতিম ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত! 
Monday August 20, 2018 , 1:44 pm
Print this E-mail this

এতিম ছাত্ররা জানায়, আমরা গরীব ঘরের ছাত্র দেখে আমাদের স্থান হয়েছে এতিম খানায়

বরিশালে শতাধিক এতিম ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত!


শামীম আহমেদ : আসছে কোরবানী ঈদ। সবাই মার্কেটে ভীড় করছে ছেলে মেয়েদের নতুন পোষাক কিনে ঈদে পড়ার জন্য। এতিম শিশু নাঈম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,আমার মা-বাবা কেউ বেঁচে নেই। আমি এতিম। তাই কেউ আমার মত এতিমকে একটি নতুন পোষাকও কিনে দেন না। ছেড়া কাপড়ই আমাদের নতুন পোষাক। ডাল-ভাত এটাই আমাদের ঈদের খাবার। এই কথা গুলো বলেন বরিশাল নগরের পলাশপুর ৫ নং ওয়াড ৭ নং আর্দশ গুচ্ছগ্রাম মধ্য কালভার্ট সংলগ্ন রহমানিয়া কেরাতুল কোরআন হাফিজি ও মাদ্রাসা লিল্লাহ বোর্ডিংটি শতাধিক এতিম শিশুরা। অর্থের সহযোগীতা না পাওয়ায় ছাত্রদের নিয়ে পথে পথে কেঁদে বেড়াচ্ছে মাদ্রাসার পরিচালক। অন্য দিকে এতিম শিশুরা কেঁদে কেঁদে বলেন, আমাদের কেউর মা নেই। আবার কেউর বাবা নেই। তাই আমরা ঈদ কোরবানীর নতুন পোষাকের মুখ দেখতে পাচ্ছি না। আমাদের নতুন পোষাক দেয়ার মতও কেউ নেই। কোন সহযোগীতারও পাচ্ছি না আমাদের মাদ্রাসায়। ঈদ কোরবানী থেকে বঞ্চিত ছাড়া কিছুই জুটে না আমাদের কপালে। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় শতাধিক এতিম গরীব রয়েছে এই মাদ্রাসায় কিন্তু তারা কোন সরকারী বেসকারী প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থের সহযোগীতা না পাওয়ার কারণে কোরবানীতে পোষাক ও খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানায় স্থানীয়রা। এতিম ছাত্ররা আরো জানায়, আমরা গরীব ঘরের ছাত্র দেখে আমাদের স্থান হয়েছে এতিম খানায়। আর যারা ধনি বংশে জম্ম নিয়েছে তারা চলে গাড়িতে খাচ্ছে তিন বেলাই পোলাউ মাংস বিরিয়ানী। আমাদের এতিম খানায় এতিমের খোঁজ রাখেনা কেউ। ঈদ যায় কোরবানী যায় কিন্তু আমাদের গায়ে থাকে পুরাণ জামা। যার বাবা মা আছে তারা একটা না একটা নতুন পোষাক পরে। আমাদের বাবা ও মা না থাকার কারণে আমাদের গায়ে উঠে না নতুন পোষাক। মাদ্রাসায় কেউ যদি মাছ ও মাংস অথবা টাকা পায়সা দান করে তাহলে আমাদের এতিমদের কপালে ভালো কিছু ভাগে পরে। মাদ্রাসায় গিয়ে জানা গেছে, কয়েকজন এতিম শিশুর জীবন কাহিনীর গল্প। দেখা গেছে কি ভাবে তাদের জীবন কাটাচ্ছে মাদ্রাসায়। এতিম শিশু নাঈম,মানিক,রুম্মানসহ এতিমরা জানায়, আমার বাবা মা কেউই এই পৃথিবীতে বেঁচে নেই, শুধু রয়েছে নানু তাই আমার ঠিকানা হয়েছে এতিম খানায়। মা-বাবা বেঁচে থাকলে নতুন পোষাক ও ভালো খাবার দিতেন আমাকে এনে। নেই বলে তিন বেলার খাবারও জুটে না আমার মত অনেক এতিমের। মাদ্রাসার পরিচালক নুরুল ইসলাম ফিরোজী জানায়, মাদ্রাসায় জায়গা কম ছাত্রদের থাকতে হচ্ছে কস্টে। মাদ্রাসার কাজ চলছে। অর্থের অভাবে কাজ শেষ করতে পারছি না। দ্বীন দরদী ভাই বোনদের খেদমতে এই যে মাদ্রাসায় চাল, কাপড়, অর্থ, যাকাত, ফিৎরা, মান্নত, কোরবানীর চামড়া দান করলে ছাত্রদের নিয়ে মাদ্রাসাটি চলাতে বেশি একটা সমস্যা হয়ে দাড়াতো না। কিন্তু কোন ব্যাক্তি এই এতিম শিশু গুলোর দিকে একটু নজর অথবা অর্থের সহযোগীতা করছে না। তিনি আরো জানায়,দানশীল ব্যক্তিরা এই মাদ্রাসার এতিম গরীব ছাত্রদের মুখে দিকে তাকিয়ে একটু দান করেন। কোরবানীতে এতিম ছাত্রদের খাবার, কাপড়, অর্থ দিয়ে সকলের সহযোগীতা একান্তভাবে কাম্য। সহযোগীতা করার জন্য যোগাযোগ করুন মাদ্রাসার পরিচালকের এই মোবাইল নম্বরে: ০১৭৬২-১০০৫৩১।




Archives
Image
ডেঙ্গুতে আরও ৫ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮১
Image
‘ক্রসফায়ারের নামে’ ছাত্রদল নেতাকে হত্যা: শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাইসহ আসামি অর্ধশত
Image
বরিশালে রাস্তার উন্নয়ন কাজ বন্ধ রাখায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন
Image
পটুয়াখালীতে ধরা পড়েছে ২ কেজি ২৮০ গ্রাম ওজনের এক ইলিশ
Image
কর্মবিরতিতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের নার্সরা