প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » বরিশালে লুসি হল্টের হাতে ভিসা ফি-মুক্ত পাসপোর্ট তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী
Friday February 9, 2018 , 11:14 am
লুসি হল্টের ভিসা ফি মওকুফ করে ১৫ বছরের অগ্রিম ভিসা দেওয়া হয়
বরিশালে লুসি হল্টের হাতে ভিসা ফি-মুক্ত পাসপোর্ট তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে ১৫ বছরের জন্য ভিসা ফি-মুক্ত পাসপোর্ট নিলেন ব্রিটিশ নাগরিক লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্ট। এ সময় তাকে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান জানান, জনসভায় ভাষণ দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাবেশস্থলে থাকা বিভিন্ন প্রকল্পের ফলক উম্মোচন করেন। এরপরই সম্মাননা স্বরূপ প্রধানমন্ত্রী লুসি হল্টের হাতে ১৫ বছরের জন্য ভিসা ফি-মুক্ত পাসপোর্ট তুলে দেন। অবশেষে ৫৭ বছর ধরে বাংলাদেশকে ভালোবেসে কাজ করা ব্রিটিশ নাগরিক লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্টের ভিসা ফি মওকুফ করে ১৫ বছরের জন্য ভিসা (এম ক্যাটাগরিতে) বর্ধিত করা হয়েছে। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের জৈষ্ঠ্য সহকারী সচিব (বহিরাগমন-২) মনিরা হকের স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। ৫৭ বছর আগে অক্সফোর্ড মিশনের একজন কর্মী হিসেবে ব্রিটিশ নাগরিক লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্ট বাংলাদেশে এসেছিলেন। সেবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মানুষের প্রতি। মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাহতদের সেবা করেছেন জীবনের মায়া ত্যাগ করে। দেশ স্বাধীনের পরও তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে যাননি। তিনি ভালোবেসেছেন এখানকার মানুষকে। তাই তো মৃত্যুর পরও যেন তাকে বরিশালের মাটিতে সমাধিস্থ করা হয়, সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লুসি। প্রতিবছর ভিসা নবায়ন ফি দিতে সমস্যা হওয়ার ফলে ভিসা নবায়ন ফি মওকুফসহ বাংলাদেশি নাগরিকত্বের জন্য দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। ইতোপূর্বে জেলা প্রশাসন থেকে তার লুসির এ আবেদন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিলো। তবে এটা তাদের আওতাভুক্ত না হওয়ায় কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি। বর্তমান জেলা প্রশাসক আসার পরপরই নতুন করে আবেদন তৈরি করেন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তা পাঠান। যার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই লুসি হল্টের ভিসা ফি মওকুফ করে ১৫ বছরের অগ্রিম ভিসা দেওয়া হয়। ১৯৩০ সালের ১৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের সেন্ট হ্যালেন্সে জন্মগ্রহণ করেন লুসি। লুসির বাবা জন হল্ট ও মা ফ্রান্সিস হল্ট। ১৯৪৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা লুসির বড় বোন রুট অ্যান রেভা ফেলটন স্বামী ও তিন ছেলে নিয়ে ব্রিটেনেই বসবাস করেন। লুসি ১৯৬০ সালে প্রথম বাংলাদেশে আসেন এবং যোগ দেন বরিশাল অক্সফোর্ড মিশনে। কর্মজীবন থেকে ২০০৪ সালে অবসরে যাওয়া লুসি এখনও দুঃস্থ শিশুদের মানসিক বিকাশ ও ইংরেজি শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি শিশুদের জন্য তহবিলও সংগ্রহ করছেন।