Current Bangladesh Time
বৃহস্পতিবার ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫ ৩:২৬ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বরিশালে র‌্যাব-৮ এর কার্যক্রম উচ্চপ্রশংসীত,মানুষ এখন অনেকটাই স্বস্তিতে 
Wednesday September 12, 2018 , 7:02 pm
Print this E-mail this

“চল যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে”-এই স্লোগানের মাধ্যমে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে র‌্যাব

বরিশালে র‌্যাব-৮ এর কার্যক্রম উচ্চপ্রশংসীত,মানুষ এখন অনেকটাই স্বস্তিতে


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : একসময় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা অপরাধের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হয়েছিল। সুন্দরবন ছিল জলপথের সন্ত্রাসীদের প্রধান ঘাঁটি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ২০০৬ সালে বরিশাল র‌্যাব-৮ এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। টানা এক যুগ সন্ত্রাস দমনে এ অঞ্চলে র‌্যাবের ভূমিকা এখন দৃশ্যমান। বৃহত্তর বরিশালের ১১ জেলায় ডাকাত, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী ও প্রতারক চক্রসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছেছে র‌্যাব-৮। বরিশালের মানুষ এখন শান্তিতে ঘুমান র‌্যাবের কারণে, এমনটাই দাবি সাধারণের। এর পাশাপাশি ট্রাফিক আইন নিয়ন্ত্রণ, নির্বাচনে দায়িত্ব পালন, উৎসবে কঠোর নিরাপত্তা প্রদান এবং প্রশ্নফাঁস রোধে সাফল্য কুড়িয়েছে র‌্যাব-৮। এ অঞ্চলের ১১ জেলার অপরাধ দমনের এই নেতৃত্বে রয়েছেন র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি আতিকা ইসলাম। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি ও শান্তিশৃংখলা বজায় রাখতে দক্ষিণাঞ্চলে র‌্যাব-৮ এর অভিযান চলমান রয়েছে। এর মধ্যে যেসব উল্লেখযোগ্য সাফল্য রয়েছে তা প্রশংসনীয়। জানা গেছে, র‌্যাব-৮ বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, ফরিদপুর, রাজবাড়ি, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ এবং শরীয়তপুরে মাদকের ব্যবহার বৃদ্ধি রোধে অভিযান কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে। “চল যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে”-এই স্লোগানের মাধ্যমে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে র‌্যাব। অভিযানের পাশাপাশি সকলকে মাদকের কুফল সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ‘মাদক বিরোধী ক্যাম্পেইন’ পরিচালনা করছে তারা এবং এর সুফল পাওয়া শুরু করেছে ১১ জেলার মানুষ। ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নগরীর সরকারি বিএম কলেজ, সরকারি বরিশাল কলেজ, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদক বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতারও আয়োজন করছে র‌্যাব-৮। এছাড়াও যৌন হয়রানির নামে ইভটিজিং রোধে তাদের সক্রিয় দৃষ্টি রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংলগ্ন সড়কগুলোতে। দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবন সংলগ্ন নদীতে একাধিক জলদস্যু, ডাকাত বাহিনী বিপুলসংখ্যক নিরীহ মৎস্যজীবীকে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়সহ হতাহতের ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। এ অবস্থায় সুন্দরবনে র‌্যাব-৮ এর ক্রমাগত অপারেশনে একাধিক জলদস্যু বাহিনীর প্রধান নিহত হওয়ার পাশাপাশি অস্ত্র-গোলাবারুদসহ অসংখ্য জলদস্যু আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়েছেন। উদ্ধার হয়েছে বিপুলসংখ্যক দেশি-বিদেশি অস্ত্র-গোলাবারুদ। বর্তমানে মৎস্য আহরণ মৌসুমে সুন্দরবনের মংলা, কয়রা ও শরণখোলা রেঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলে জলদস্যু-বনদস্যুরা পূর্বের ন্যায় আবারও যাতে সক্রিয় হতে না পারে সে জন্য জলদস্যুদের বিরুদ্ধে র‌্যাব-৮ তাদের অপারেশন কার্যক্রম জোরদার করে অব্যাহত রেখেছে। সুন্দরবনে জলদস্যু রোধে প্রায়শঃই এ অঞ্চলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও র‌্যাবের ডিজি বেনজির আহমেদ’র সফরগুলো ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। দেশে জঙ্গিগোষ্ঠী শক্তিশালী অবস্থায় না থাকলেও তারা যাতে ফের মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সে জন্য র‌্যাব-৮ কঠোর ভূমিকা রাখছে। এর অন্যতম দৃষ্টান্ত হিসেবে গত ৩১ আগস্ট নগরীর দরগাবাড়ি এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি সদস্য আব্দুল্লাহ আল মিরাজ ওরফে খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে সাইফুলকে আটক করে র‌্যাবের একটি চৌকস দল। জঙ্গিদের তথ্য সংগ্রহ এবং এদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তৎপরতা শুরু করেছে র‌্যাব। র‌্যাবের শক্তিশালী গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৮ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অপারেশনের মাধ্যমে জঙ্গি গ্রেপ্তার, উগ্রবাদী পুস্তক ও জীবননাশক দ্রব্য উদ্ধার করেছে এবং এর বিরুদ্ধে অপারেশন কার্যক্রম অব্যাহত রাখছে। র‌্যাব-৮ এর বরিশালের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, ফরিদপুর, রাজবাড়ি, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ এবং শরীয়তপুরে বিভিন্ন সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে র‌্যাব-৮ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে। বিশেষ করে বরিশাল সিটি নির্বাচনে র‌্যাবের টহল ও কঠোর দায়িত্বপালনে ভোট কেন্দ্রের বাইরের পরিবেশ ছিল শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিক। যে কারণে ভোটারদের মাঝেও আস্থা ফিরে আসে র‌্যাবের ভূমিকায়। সড়ক এবং নৌ-পথে দুর্ঘটনা ও অপরাধ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব-৮ এর আওতাধীন এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে লাইসেন্সবিহীন যানবাহন আটক ও জরিমানায় প্রশাসনকে সহায়তাদানের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদ, বড়দিন, দুর্গাপূজা এবং বিভিন্ন যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন এবং অতিরিক্ত টহলের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে র‌্যাব-৮ কাজ করে আসছে। সফল অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব-৮ বিপুল পরিমাণে মাদক ও ভেজাল ওষুধ, খাদ্যপণ্য, কারেন্ট জাল এবং আর্থিক জরিমানাসহ আসামি গ্রেপ্তার এবং এর বিরুদ্ধে অপারেশন কার্যক্রম আরো অর্থবহ করেছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্র গ্রেপ্তারের মাধ্যমে র‌্যাব-৮ সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নকলের কুফল সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করার কাজ করে আসছে। এমনকি র‌্যাব-৮ ২০১৮ সালে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্যদের আটক করে আইনের আওতায় এনেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মাদক বিরোধী অভিযান, জলদস্যু গ্রেপ্তার এবং জঙ্গি দমনের কার্যক্রম আপোষহীনভাবে চালাচ্ছে এ সংস্থাটি-এমনটাই মনে করেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষগুলো। যার ফলশ্রুতিতে স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলছে জনগণ। সাফল্যের কারিগর অধিনায়ক আতিকা : গত এক যুগ ধরে র‌্যাব-৮ বরিশালে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে। বৃহত্তর ১১ জেলায় র‌্যাবের শক্তিশালী গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের তৎপরতায় অপরাধের সংখ্যা এ অঞ্চলে দিন দিন কমে আসছে। এই ১১ জেলা হচ্ছে-বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, ফরিদপুর, রাজবাড়ি, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ এবং শরীয়তপুর। চলমান এ সাফল্যের প্রধান কারিগর হলেন র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি আতিকা ইসলাম। তার সহযোদ্ধা রয়েছেন উপ অধিনায়ক মেজর খান সজিবুল ইসলাম, কোম্পানি কমান্ডার মো: হাসান আলী, ক্যাপ্টেন খালেদ মাহমুদসহ ১১ জেলায় দায়িত্ব পালন করা ৫ শতাধিক র‌্যাব সদস্য। সাধারণ মানুষের জন্য শান্তি আর সন্ত্রাসীদের যম হয়ে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে গেছে র‌্যাব-৮। সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, র‌্যাব-৮ এর বর্তমান অধিনায়ক আতিকা ইসলামের যোগদানের পর থেকেই কার্যক্রম গড়ে উঠেছে শক্ত ভিত্তিতে। বিংশ শতাব্দীর শুরুতেও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা অপরাধের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হয়েছিল। সুন্দরবন ছিল জলপথের সন্ত্রাসীদের প্রধান ঘাঁটি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ২০০৬ সালে বরিশাল র‌্যাব-৮ এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। টানা এক যুগ সন্ত্রাস দমনে এ অঞ্চলে র‌্যাবের ভূমিকা এখন দৃশ্যমান। বৃহত্তর বরিশালের ১১ জেলায় ডাকাত, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী ও প্রতারক চক্রসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছেছে র‌্যাব-৮। বরিশালের মানুষ এখন শান্তিতে ঘুমান র‌্যাবের কারণে, এমনটাই দাবি সাধারণের। এর পাশাপাশি ট্রাফিক আইন নিয়ন্ত্রণ, নির্বাচনে দায়িত্ব পালন, উৎসবে কঠোর নিরাপত্তা প্রদান এবং প্রশ্নফাঁস রোধে সাফল্য কুড়িয়েছে র‌্যাব-৮। এ অঞ্চলের ১১ জেলার অপরাধ দমনের এই নেতৃত্বে রয়েছেন র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি আতিকা ইসলাম। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি ও শান্তিশৃংখলা বজায় রাখতে দক্ষিণাঞ্চলে র‌্যাব-৮ এর অভিযান চলমান রয়েছে। এর মধ্যে যেসব উল্লেখযোগ্য সাফল্য রয়েছে তা প্রশংসনীয়। জানা গেছে, র‌্যাব-৮ বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, ফরিদপুর, রাজবাড়ি, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ এবং শরীয়তপুরে মাদকের ব্যবহার বৃদ্ধি রোধে অভিযান কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে।




Archives
Image
ডাক্তারদের উপঢৌকন বন্ধ হলে ওষুধের দাম কমবে ৩০%
Image
বৌদ্ধ ধর্মীয় উৎসব মাঘী পূর্ণিমা আজ
Image
নতুন দলের নেতৃত্বে কারা আসছেন, যা জানা গেল
Image
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ বিএনপির
Image
জুলাই অভ্যুত্থানের নৃশংসতা নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার