উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজকে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন
বরিশালে যৌন হয়রানির দায়ে যুবলীগ নেতার কারাদন্ড
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানী ও হুমকি দিতে গিয়ে পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েছে বরিশাল উজিরপুরের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতা ফিরোজ হোসেন। পরবর্তীতে তাকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৩ মাসের বিনাশ্রম করাদন্ড দেয়া হয়েছে। একই সময় তার কাছ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার ফিরোজ হোসেনকে কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন। উজিরপুর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মনির তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। দন্ডিত ফিরোজ হোসেন উজিরপুর পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুর রব হাওলাদারের ছেলে। সদ্য বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করা দন্ডিত ইভটিজার ও মাদক ব্যবসায়ী ফিরোজ উজিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল এর ক্যাডার হিসেবে এলাকায় পরিচিত। থানা সূত্রে জানাগেছে, হাফিজুর রহমান ইকবালের অন্যতম সহযোগী ফিরোজ হোসেন দীর্ঘ দিন ধরেই স্থানীয় শের-ই-বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্কুলে-আসা যাওয়ার পথে যৌন হয়রানি করে আসছিলো। সর্বশেষ গত সোমবার দুপুরে ওই ছাত্রী উপজেলা চত্ত্বরে তার বান্ধবিকে নিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা দেখাতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে ছাত্রী সহ দু’জন মাহি কর্ণার নামের একটি কফি হাউসে যায়। এসময় সেখানে অবস্থানরত উপজেলা চেয়ারম্যানের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ফিরোজ ওই ছাত্রীকে ইভটিজিং ও অশালিন ব্যবহার করে। এই ঘটনায় স্কুল ছাত্রী তার বিরুদ্ধে উজিরপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি টের পেয়ে আরো ক্ষুদ্ধ হয় ফিরোজ। এমনকি ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বাবা-মায়ের সামনে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেয়। তখন ছাত্রীর বাবা বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে থানার এএসআই মনির সহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফিরোজকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার এর পরিচালিত মোবাইল কোর্টে হস্তান্তর করে। এসময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজকে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। এদিকে এএসআই মনির জানান, মোবাইল কোর্টে কারাদন্ড প্রদানের পরে আদালতের নির্দেশে তাকে জেলে প্রেরণের উদ্দেশ্যে ফিরোজের শরীরে তল্লাশী করা হয়। এসময় তার পকেট থেকে ১৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় রাতে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিলো বলে জানিয়েছেন এএসআই মনির।