|
সবুজ ও মহসিন নামের দুইজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে
বরিশালে মোবাইল চুরির অভিযোগে শিশুকে বেঁধে নির্যাতন
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : মোবাইল চুরির অভিযোগে এক শিশুকে হাত ও পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীরা।নির্যাতনের ভিডিও চিত্র সর্বত্র ভাইরাল হওয়ার পর সর্বমহলে নিন্দার ঝড় বইছে।এ ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।ঘটনাটি জেলার মুলাদী উপজেলার চরসফিপুরের সমিতির হাট এলাকায়।বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন (বসাক) এর উপ-পরিচালক মোঃ সোহেল সরদারের লিখিত অভিযোগে জানা গেছে,ওই এলাকার বাসিন্দা মৃত তাজুল সরদারের পুত্র স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর জব্বার সরদার,প্রভাবশালী মোবারক কাজী,মহসিন সরদার,সবুজ সরদারসহ তাদের সহযোগীরা মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে গত ২১ সেপ্টেম্বর চরসফিপুর গ্রামের শাহানাজ বেগমের পুত্র শাওনকে (১৩) হাত ও পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে।পরবর্তীতে নির্যাতিত শাওনের পরিবারের কাছ থেকে জরিমানা বাবদ ২০ হাজার টাকা আদায় করা হয়।সূত্রমতে,নির্যাতনের চিত্র মোবাইলে ধারণ করার পর গত ২৫ অক্টোবর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।অপরদিকে ঘটনার পর থেকে নির্যাতিত শাওনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।শিশুটিকে নির্যাতনের সময় মোবাইল ফোনে কোন এক ব্যক্তির করা ভিডিওতে দেখা গেছে,বিভিন্ন বয়সের ২৫/৩০ জন মানুষের উপস্থিতিতে জনৈক ব্যক্তিরা শিশুটিকে বেঁধে পেটাচ্ছে।এসময় শিশুটিকে চিৎকার করতে দেখা গেছে।নির্যাতিত শাওনের নানী মর্জিনা বেগম জানান,পিতৃহারা শাওন চরসফিপুরের নানাবাড়ীতে বেড়াতে এসেছিলো।সেখানে বসে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ এনে তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়।শাওনের মা শাহানাজ বেগম ঢাকায় গৃহপরিচারিকার কাজ করে।সোহেল সরদারের লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়,উল্লেখিত প্রভাবশালীরা ইতিপূর্বে স্থানীয় জামাল ফকির,ছালাম সরদার,পরাক খানের কাছ থেকে অনুরূপ মিথ্যে অভিযোগের মাধ্যমে জরিমানা করে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।প্রভাবশালীদের হাতে বিভিন্ন কারণে এলাকার নিরিহ জনসাধারণের ওপর নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছেন,স্থানীয় ইব্রাহীম হোসেন,শাহেআলম,আনিচ আকন,রুমান মোল্লা,মাসুম রাজা,জামাল বেপারী,সজল গাজীসহ অনেকেই।এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পুলিশ পরির্দশক উজ্জল কুমার দে বলেন,এ ধরনের একটি অভিযোগ পুলিশ সুপার বরাবরে দাখিল করা হয়েছে।বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মুলাদী থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।মুলাদী থানার ওসি মোঃ মতিউর রহমান জানান,শিশু নির্যাতনের ঘটনায় সোহেল সরদার বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ছয়জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।ইতোমধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সবুজ ও মহসিন নামের দুইজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।অন্যান্যদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।
Post Views:
৮২
|
|