প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » বরিশালে মল ঢেলে মাদ্রাসা সুপারকে লাঞ্চিতের ঘটনায় আটক হলো আরো ১জন
Sunday May 20, 2018 , 7:53 pm
লাঞ্চনার ঘটনার একটি ভিডিও ধারনকারীদের মাধ্যমে ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা
বরিশালে মল ঢেলে মাদ্রাসা সুপারকে লাঞ্চিতের ঘটনায় আটক হলো আরো ১জন
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশালের বাকেরগঞ্জে মাদ্রাসার জমি ও কমিটি নিয়ে বিরোধের জ্বের ধরে সুপারকে প্রকাশ্যে মারধর ও মাথায় মল ঢেলে লাঞ্চিত করার ঘটনার আরো ১ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মোট আটকের সংখ্যা ৪ জনে গিয়ে দাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বাকেরগঞ্জ ও বাবুগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মফিজুল ইসলাম। রোববার (২০ মে) দুপুরে বরিশাল নগরের লাইন রোডস্থ জেলা পুলিশের সদর সার্কেল অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, শনিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানার মহিষকাটা এলাকা থেকে মোঃ সোহেল খন্দকারকে আটক করা হয়। সোহেল খন্দকার মাদ্রাসা সুপারকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার অন্যতম আসামী। সে বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা গ্রামের এমদাদ খন্দকারের ছেলে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তবে গভীর তদন্তের সার্থে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার রিমান্ড আবেদন করা হবে। তিনি বলেন, এর বাহিরে আমরা শনিবার দিবাগত রাতে মোংলাতেও একটি অভিযান পরিচালনা করেছি। তবে সেই অভিযানে কাউকে আটক করা যায়নি। তবে মোঃ সোহেল খন্দকারকে আটকের পূর্বে ১৩ ও ১৪ মে ঘটনার সাথে জড়িত বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১২ নং রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামের মৃত মোঃ হাসেম মুসল্লীর ছেলে মিনজু মুসল্লী, একই এলাকার ফারুক মসুল্লির ছেলে ফরহাদ মুসল্লি ও বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হারুন হাওলাদারে ছেলে বেল্লাল হোসেনকে আটক করা হয়। তিনি বলেন, মাদ্রাসা সুপারের মাথায় ও শরীরে মানুষের পরিত্যাক্ত মল ঢেলে দিয়ে লাঞ্চনার এ ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় এরআগে গ্রেফতারকৃত ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ১৬ মে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। উল্লেখ্য শুক্রবার (১১ মে) বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নে কাঠালিয়া গ্রামের কাঠালিয়া ইসলামিয়া দারুচ্ছুন্নাৎ দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সুপার মাওঃ মোঃ আবু হানিফকে প্রকাশ্যে লাঞ্চিত করা হয় এবং লাঞ্চনার ভিডিও ধারন করা হয়। ঘটনার পর লাঞ্চনার শিকার মাদ্রাসার সুপার ও তার পরিবার লোকলজ্জায় বিষয়টি গোপন রাখতে চায়। তবে রোববার (১৩ মে) লাঞ্চনার ঘটনার একটি ভিডিও ধারনকারীদের মাধ্যমে ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। এরপরপরই মাদ্রাসা সুপার মাওঃ মোঃ আবু হানিফ বাদী হয়ে নিজের ছোটভাই জাকারিয়া হোসেন জাকিরসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জনকে আসামী করে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।