সংগঠন পরিপহ্নি সুস্পষ্ট কোন প্রমাণ মিললে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা
বরিশালে বিএনপি’র দুই নেতাকে বহিস্কারের দাবিতে অভিযোগ দায়ের
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশালে বিএনপি’র দুই নেতাকে বহিস্কারের দাবি জানিয়ে এক ইউপি চেয়ারম্যান অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর দক্ষিন জেলা বিএনপি’র আহবায়ক ও সদস্য সচিব বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: সিরাজুল হক হাওলাদার। অভিযুক্তরা হলেন, সদর উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কাজী এনায়েত হোসেন বাচ্চু ও চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি কাজী ফিরোজ আলম। উভয়েই সহোদর। অভিযোগে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপহ্নি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকলেও কাজী এনায়েত তার ভাই ফিরোজকে বহিস্কার না করে স্বজনপ্রীতি ও অপরাধ না থাকলেও চেয়ারম্যান সিরাজুলকে অহেতুক অভিযোগ এনে ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে স্বেচ্ছ্বাচারিতার আশ্রয় নিয়েছেন বলে উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগে ভুক্তভোগী সিরাজুল হক জানান, বিগত সংসদ নির্বাচনের মুহূর্তে আমার নামে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে বরিশাল সদর উপজেলা চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তখন যে কারণ দেখিয়ে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়, ঘটনার সাথে আদৌ জড়িত ছিলাম না। আমি চেয়ারম্যান থাকায় জনপ্রতিনিধি হিসেবে আ’লীগের নেতাকর্মীসহ সর্বদলীয় লোকজনের ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াত ছিল। নাগরিক সুবিধা পেতে আমার শরণাপন্ন হতে হয়েছে তাদেরকে। আমি বিএনপি’র বাহিরে অন্য কোন দলের সাথে কখনো আপোষ করিনি বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি। সিরাজুল হক আরও বলেন, বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড.কাজী এনায়েত হোসেন বাচ্চুর ভাই চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো: কাজী ফিরোজ আলমের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, আ’লীগ সরকারের আমলে চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের বর্তমান বিএনপি সভাপতি মো: কাজী ফিরোজ আলম সরাসরি আওয়ামী লীগের মিটিং-মিছিলে যোগদান করেছেন। তার ছবি প্রকাশ থাকা স্বত্ত্বেও তাকে স্বজনপ্রীতি করে বহিষ্কার করা হয়নি। দলের শীর্ষনেতাদের কাছে এই স্বেচ্ছাচারিতার বিচার চান বৈষম্যের শিকার সিরাজুল হক। তাছাড়া তিনি লিখিত অভিযোগে অবিলম্বে বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. এনায়েত হোসেন বাচ্চু ও ১০নং চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো: কাজী ফিরোজ আলমের বহিষ্কারের দাবী জানান। এ বিষয়ে সদর উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক এনায়েত হোসেন বাচ্চু বলেন, সিরাজ দলের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এছাড়া সংসদ নির্বাচনেও ইউনিয়নে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এজন্য তাকে বহিস্কার করা হয়েছে। এছাড়া ফিরোজের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেই ছবিটি হলো-গত ৪ বছর পূর্বে স্কুলের একটি স্পোর্টস এ যাওয়ার সময়ে। সেটি কোন রাজনৈতিক ছবি নয়। তবে সংগঠন পরিপহ্নি কোন বিষয়ের সুস্পষ্ট প্রমাণ মেলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তাতে আমার ভাই হোক বা অন্য কেউ।