|
স্বীকৃতিস্বরূপ আটজন অদম্য কিশোরীকে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করেছে তাদেরকে সম্মাননা প্রদান করা হয়
বরিশালে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে স্বীকৃতি সন্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচির (সিইপি) উদ্যোগে বরিশালে বিভাগীয় পর্যায়ে যুব ও শিক্ষার্থীদের সমাবেশ এবং সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।সমাবেশের মধ্য দিয়ে কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে বাল্য বিয়ে ও নারীর প্রতি যেকোনো নির্যাতন প্রতিরোধে আরও উদ্বুদ্ধ করার জন্য বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে সাহসী অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ আটজন অদম্য কিশোরী যারা নিজেদের বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করেছে তাদেরকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।সমাবেশে প্রধান অতিথি জনাব জেবুন্নেছা আফরোজ, মাননীয় সংসদ সদস্য, বরিশাল-৫ বলেন বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে সরকারের উদ্যোগ ও সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।তিনি বলেন, বাল্য বিয়েকে এখনও অপরাধ হিসেবে মনে করা হয় না এবং এখনো এর ক্ষতি সম্পর্কে সাধারণ জনগণ সচেতন নয়।তিনি আরও উল্লেখ করেন, সকলের সহযোগিতায় আমরা বাংলাদেশকে বাল্য বিয়েমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।তিনি সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান করেন বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে ভূমিকা রাখার জন্য।অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশে বাল্য বিয়ে একটি ভয়াবহ সামাজিক সমস্যা।মেয়েরা শিক্ষা-সংস্কৃতি, ক্রিড়াঙ্গন এবং কর্মক্ষেত্রসহ সকল ক্ষেত্রে সফলতা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখলেও এখনও তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে।বাল্য বিয়ে একজন মেয়ে শিশুর সকল সম্ভাবনা বিকাশের সুযোগকে ব্যাহত করছে। বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে সমাজের সকল অংশের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।ইতোমধ্যে, সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগের পাশাপাশি কিশোর-কিশোরী, যুব, তরুণ এবং নাগরিক সমাজ নানামুখী সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে যা প্রতিনিয়ত আমাদের অনুপ্রাণিত করছে।অতিথিবৃন্দ আরো বলেন বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে এই যুব সমাবেশ ও সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে শারমিন আক্তার এর অংশগ্রহণ কিশোর-কিশোরী, তরুণ প্রজন্মের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলবে এবং বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে সামাজিক জাগরণ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।সমাবেশ শেষে বাল্য বিয়ে বন্ধে সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ ‘ইন্টারন্যাশনাল উমেন অফ কোর্স এ্যাওয়ার্ড’- প্রাপ্ত শারমিন আক্তার ও বাল্যবিয়ে বন্ধে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এরকম সাহসিকতা ভূমিকা পালন করায় আরও আটজন কিশোরীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।এরা হচ্ছেন নিলীমা কর, রেহেনা আক্তার মিতু, সাদিয়া আক্তার, ইতি আক্তার, পাখি আক্তার, ফারজানা আক্তার ও লামিয়া আক্তার।এছাড়া অনুষ্ঠানে নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতন প্রতিরোধ বিশেষত বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে বলিষ্ট নেতৃত্ব প্রদানের জন্য সংসদ সদস্যকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ নুরুল আলম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, মোঃ জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), মো. হাবিবুর রহমান প্রাং, এসপি, বরিশাল রেঞ্জ, ড. মোস্তাফিজুর রহমান, উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা, বরিশাল অঞ্চল, রাশিদা বেগম, জেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, জনাব মো: মোশাররফ হোসেন, উপ-পরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তর, মো. আনোয়ার হোসেন, শিক্ষা কর্মকর্তা, জনাব রাবেয়া আক্তার, সভানেত্রী, মহিলা পরিষদ, রিফাত রশিদ মিথিলা-কর্মসূচি ব্যবস্থাপক।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মোঃ সজ্জাদুজামান, আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক, ব্র্যাক সিইপি, কালাচাঁদ দাস, জেলা ব্যবস্থাপক ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচশত শিক্ষার্থী, সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ, মানবাধিকার কর্মী, শিক্ষাবিদ, গবেষক, উন্নয়ন সংস্থা এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিবৃন্দ।অনষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রিপন চন্দ্র মন্ডল, জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি, বরিশাল।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, ফারহানা হাফিজ, কর্মসূচি প্রধান, সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচি, ব্র্যাক।অনুষ্ঠানে বাল্য বিয়ের প্রেক্ষিত উপস্থাপনা করেন, ব্র্যাকের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সারা খাতুন এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মীর সামসুল আলম সজ্জন।মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
Post Views:
২৯০
|
|