স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল নগরীর বিভিন্ন বাসা-বাড়ীতে গিয়ে গিয়ে বকশিসের নামে হিজড়াদেও চাঁদাবাজি।না দিলেই অশ্লিল দৃষ্টিভঙ্গিসহ গালিগালাজ।যেকোন বিয়ের আনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানেই দল বেঁধেই এদের হঠাৎ করেই আনাগোনা দেখা যায়।সম্প্রতি বরিশাল সদর রোডের মকবুল মার্কেটের ‘বরিশাল ওয়াচ কোং’-এর কর্ণধার, কৃষ্ণ জানান, তার বাসায় একদল হিজড়া গিয়ে অশ্লীল দৃষ্টি ভঙ্গি করে নিজেদের খুশি করতে বলে।একজনে ৫শ টাকা দিতে চাইলে তা ছুঁড়ে ফেলে দেয়।তারপর তারা শুরু করে মুখের আপত্তিকর কথা, কেউবা অশ্লীল নৃত্য।তিনি আরো বলেন, বাসায় পুরুষ মানুষ সেসময় না থাকায় তারা হয়ে ওঠে আরো বেপোয়ারা।সব মিলিয়ে একটি অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি করে তারা।বাসার কোমলমতি শিশুরাও তাদেও ভয়ে আতংকিত ও ভীত।বিভ্রান্তকর পরিস্থিতি এড়াতে বাড়ীতে পুরুষ মানুষ না থাকাতে তাদের চাওয়া টাকা দিয়েই শেস পর্যন্ত তাদের বিক্রি করতে হয়েছে।হিজড়াদের এই চাঁদাবাজি এখন বরিশালের গোটা শহর জুরে।যেখানেই কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন সেখানেই হিজড়ারাদের আগমন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হিজড়া সম্প্রদায় সমাজে ৩য় লিঙ্গ হিসেবে সরকার কর্তৃক স্বীকৃত।কোন কাজ না করে তারপরও এরা সাধারন মানুষকে এক প্রকার জিম্মি করে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে।এদের হাত থেকে রক্ষা পায় না একজন বড় ব্যাবসায়ী থেকে শুরু করে ফুটফাতের সামান্য হকার পর্যন্ত।প্রায়ই তারা প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে।হিজড়াদের চাঁদাবাজি থেমে নেই পরিবহন সেক্টরেও।বিভিন্ন পয়েন্টে ২/৩ জনের দল দাড়িয়ে থেকে পরিবহন থেকে ১০ টাকা বা তার বেশি করে চাঁদা আদায় করছে।এটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাস চালকরা চাঁদাবাজির স্বীকার হচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভুগি একজন বাস চালক জানান, হিজড়াদের চাঁদাবাজির মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলছে।এদের অত্যাচারে আমরা হাপিয়ে উঠেছি।এরা কাউকেই পাত্তা দেয় না।স্বয়ং পুলিশের সামনে প্রতিটি বাস থেকে এরা চাঁদা আদায় করছে।চাঁদা দিতে না চাইলেও হেল্পারকে গালিগালাজ করে।অনেক সময় চলন্ত গাড়িতে ঝুলে থাকে।টাকা দেয়ার পর নেমে যায়।হিজরাদের এই চাঁদাবাজির আর বন্ধ হবে কবে? ক্রমশ: বেড়েই চলেছে এদের উৎপাত।যেখানে এরা ঝুঁকি মনে করছে সেখানেই তাদের একজন প্রধান (সরদার)-কে নিয়ে অনায়াসেই চাঁদাবাজি করার সাহস পাচ্ছে।হিজড়াদের চাঁদাবাজির সময় অশ্লীল দৃষ্টি ভঙ্গিকে সমাজের একটি অশিক্ষিত গোষ্ঠি উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে।এতে যুবসমাজ সামাজিক অবক্ষয়ের আশংকাও রয়েছে।হিজড়াদের এই চাঁদাবাজি সম্পর্কে জানতে চাইলে বরিশালের বিশিষ্ট জনরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করে জানান, এদের (হিজড়া) জন্য প্রয়োজন আলাদা কর্ম সংস্থান সৃষ্টি, পাশাপাশি সাধারন মানুষকে হতে হবে আরো সচেতন।