ফার্মাসিস্ট জটিলতায় নতুন ড্রাগ লাইসেন্স ও নবায়কৃত লাইসেন্সের সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।দীর্ঘ দিন এই অবস্থা চললে ও সমাধানের সম্ভাবনা অস্পষ্ট।নতুন ড্রাগ লাইসেন্স করতে কিংবা পুরাতন ড্রাগ লাইসেন্স নবায়ন করতে গেলে ফার্মাসিস্ট কোর্স বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে,বিগত দিনে ঔষধ ব্যবসায় শুধু ড্রাগ লাইসেন্স ও ট্রেড লাইসেন্সই ছিল ব্যবসায়ীদের ভরসা কিন্তু বর্তমানে ড্রাগ লাইসেন্স করতে হলে ফার্মাসিস্ট সনদ ছাড়া সম্ভব নয়।এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগরীর কয়েকজন ঔষধ ব্যবসায়ীর সাথে আলাপকালে তারা জানায়,আমরা ড্রাগ লাইসেন্স করতে আগ্রহী কিন্তু ফার্মাসিস্ট ছাড়া ঔষধ প্রশাসন থেকে কোন নতুন লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে না।এমন কি নবায়ন করতে ও ফার্মাসিস্ট ছাড়া সম্ভব নয়।এমন কি ড্রাগ লাইসেন্স নবায়ন করতে গেলে ও বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।কর্তৃপক্ষ ট্রেড লাইসেন্স এর কপি চায়।সেক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে গেলে আরো হয়রানী হতে হয়।তার মধ্যে মাঝখানে কিছু দিন ফার্মাসিস্ট কোর্র্স বন্ধ ছিল।একজন ব্যবসায়ীকে তিন মাসের কোর্স করে ফার্মাসিস্ট পাসের সনদ পেতে আরো তিন মাস অপেক্ষা করতে হয়।যার ফলে অনেকের ইচ্ছা থাকা সত্বেও ড্রাগ লাইসেন্স করা সম্ভব হচ্ছে না।অথচ বেকারত্ব বৃদ্ধির সাথে লাইসেন্স বিহীন ঔষধের দোকান যেন ক্রমশ: বেড়েই চলেছে।এক কথায় ফার্মাসিস্ট জটিলতায় বাড়ছে ড্রাগলাইসেন্স বিহীন ফার্মেসী।অফিস সূত্রে জানা গেছে,বরিশাল জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় বিশ হাজারেরও বেশী ফার্মেসী রয়েছে।তার মধ্যে ৫৩০০ টি ড্রাগ লাইসেন্সের আওতায় রয়েছে।বাকীরা অধরা।ইতিমধ্যে ৩৩০০ শত ফার্মাসিস্ট এর আওতায় এসেছে।বরিশাল বিসিডিএস (বাংলাদেশ ক্যামিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট এসোসিয়েশন) বরিশাল এর আহবায়ক মোঃ রেজাউল ইসলাম রাজু বলেন,ড্রাগ লাইসেন্স বের করতে হলে প্রথম শর্ত হচ্ছে ফার্মাসিস্ট কোর্স করতে হবে।বরিশাল সদরে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৫০০ টির মতো ফার্মেসী রয়েছে তার মধ্যে বেশীর ভাগ ফার্মাসিস্ট এর আওতায় এসেছে। আগে কোর্সটি সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।বর্তমানে বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল নতুন নিয়ম করেছে যাদের ড্রাগ লাইসেন্স আছে কিন্তু ফার্মাসিস্ট করা নেই তাদের জন্য এটা করা।যাদের ড্রাগ লাইসেন্স নেই তারা ফার্মাসিস্ট কোর্স করতে পারবে না।যারা ইতোমধ্যে ব্যবসা দিয়েছে তারা তিন মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে একটি রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার পাবে সেটাই লাইসেন্সে ব্যবহার করবে।অভিযোগ রয়েছে ফার্মাসিস্ট প্রশিক্ষণ বন্ধ ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি স্বীকার করে বলেন,প্রায় ২ বছর ফার্মাসিস্ট প্রশিক্ষণ কোর্সটি বন্ধ ছিল।বর্তমানে চালু রয়েছে।বরিশালে ৩২ তম কোর্স চলছে।বরিশাল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তত্ববধায়ক প্রকৌশলী মোঃ তানভির আহম্মেদ জানান,ফার্মাসিস্ট কোর্স বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল দেখে কিন্তু মনিটরিং করি আমরা।তবে ড্রাগ লাইসেন্স করতে হলে ট্রেড লাইসেন্সও করতে হবে।এ দিকে শহরের বেশ কয়েকটি ঔষধের দোকানকে মডেল ফার্মেসী হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে।তার মধ্যে সদর রোড ও নগরীর বান্দরোডে কয়েকটি ফার্মেসী মডেল এর আওতায় এসেছে।