|
সৌখিন চাষী সাদিক হোসেন উদ্যোগে
বরিশালে ফরমালিনমুক্ত মালটার ব্যপক ফলন
শামীম আহমেদ, অতিথি প্রতিবেদক : বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের দিনারেরপুল এলাকার বাসিন্দা লিয়াকত হোসেন লিকু’র ছেলে মোঃ সাদিক হোসেন,প্রায় দু’বছর আগে তাদের নিজেদের বসত বাড়ির পাশে দুই-একর জমির উপর মালটা চাষের উদ্যোগ গ্রহন করেন।ইতিমধ্যে সে ব্যপক সারা পেয়েছেন তার রোপনকৃত মালটা গাছ থেকে এবছর ফলনও ভালো হয়েছে,সাদিক বলেন আমার রোপনকৃত মালটা গাছের সংক্ষা প্রায় দুই শতাধিক।পাশা পাশি বিভিন্ন প্রজাতির আম ও বিভিন্ন ফলজগাছ রোপন করা হয়েছে।এবছর গাছ থেকে প্রায় ৬মন মালটা বাজারে বিক্রি করেছেন বলে জানান সৌখিন মালটা চাষী সাদিক হোসেন।সে আরও বলেন,আমি সখের বসে আমানত গ্রীন এ্যাগ্রো নামে একটি ফার্ম তৈরি করেছি,বরিশালে আমার জানা মতে এ রকমের মিস্টি সুস্বাদু মালটা কোন খানে আছে কিনা আমি জানি না।মালটা গুলো দেখতে কাঁচা লেবুর মত,ভিতরে মিষ্টি রসে ভরপুর।প্রথমে ভেবেছিলাম মনেহয় ভাল হবে না,কিন্তু আমার ভাবনা ভুল প্রমানিত হয়েছে।বাজারে যে সব মালটা সাধারন মানুষ কিনে খায় তা দেখতে হলুদ রং’র এবং ফরমালিন মিশানো বলে অনেক দিন ধরে দোকানে থাকলেও নস্ট হয় না।তাই এসব ভেবেই আমার চিন্তা মাথায় এলো,মানুষকে কিভাবে একটু ভালো কিছু উপহার দেয়া যায়।বর্তমানে প্রতিটা গাছই মালটার ভারে ভেঙ্গে পরার দশা প্রায়।মালটা চাষে ব্যাপক সারা পাওয়ায় তিনি এখন এটি ব্যাবসা হিসেবে নিয়েছেন বলে জানান।পাশে মাছ চাষের জন্য আরও প্রায় ৪একর জমি নিয়ে ইতিমধ্যে মালটা,আম, নারকেলসহ বিভিন্ন ফলজগাছ ও সবজির চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেন সাদিক হোসেন।বরিশালে মালটা চাষের ব্যপারে কৃষি অফিসার মোঃ আল আমিন (টিটু) বলেন, সাদিক হোসেন’র উদ্যোগটা ভালো তবে যে কোন চাষাবাদে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করলে ভবিষ্যতে যে কোন ধরনের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে পারবেন।কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন,মালটা চাষে দেশের শিক্ষিত বেকার যুবকরা এগিয়ে আসলে দেশ থেকে বেকারত্ব দূর হবে,তেমনি দেশীয় ফলের স্বাদ পাবে দেশের মানুষ।
Post Views:
২,৫৫৪
|
|