|
সাজসজ্জার কাজ চলছে তড়িৎ গতিতে
বরিশালে প্রতীমা তৈরি শেষ
স্টাফ রিপোর্টার : আর মাত্র সপ্তাহ খানেক পরে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূঁজা।বিপদতারিণী দেবীকে বরণ করতে দেশের অন্যসব স্থানের মতো বরিশালও সেজের নতুন সাজে।ইতিমধ্যে বরিশালের বেশি সংখ্যক মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করে ফেলেছেন কারিগর মৃৎশিল্পীরা।এখন চলছে মন্দিরের সাজসজ্জা, ধোয়া-মোছার কাজের পাশাপাশি তোরণ ও প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ।অবশ্য এরমধ্যে শহরের সর্ববৃহৎ শঙ্কর মঠ মন্দিরসহ বেশ কয়েকটি সাজসজ্জার কাজ শেষ পর্যায়ে।তাছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিশালাকারের তোরণ নির্মাণ করে সেখানে আলোকসজ্জার কাজ করা হচ্ছে। বরিশাল শহরের বিএম কলেজ লাগোয়া শঙ্কর মঠ পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সবুজ দাস জানিয়েছেন, আরও দুদিন আগে তাদের প্রতীমা তৈরি শেষ হয়েছে।এখন পুরোদমে সাজসজ্জার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।২/১দিন পরে প্রতীমায় রঙয়ের আঁচড় দেওয়া হবে।তাদের মন্দিরে দুর্গা দেবীসহ ১০ প্রতীমা তৈরিতে তাদের দেড় লাখ টাকার বেশি খচর হয়েছে।এই প্রতীমা তৈরি করেছেন রাজবাড়ি জেলার খোকন পাল।সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) শহরের মহানগর পূঁজা মন্ডপ, ভাটিখানা পূঁজা মন্দির, অষ্টকোনা মঠে ঘুরে একই চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে।প্রতিটি মন্দিরেই প্রতীমা তৈরি শেষে সাজসজ্জার কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে তড়িৎ গতিতে।খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, এবার বরিশাল জেলা ও মহানগর মিলিয়ে ৫৮১টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গাপূজা।এর মধ্যে বরিশাল জেলায় ৫৪৪ ও মহানগরে ২৭টি রয়েছে।বরিশাল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আগৈলঝাড়া উপজেলায় সবচাইতে বেশি সংখ্যক অর্থাৎ ১৩৯টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।এছাড়াও বরিশাল সদর উপজেলায় ২০টি, হিজলায় ১২টি, মুলাদীতে ১০টি, বাকেরগঞ্জে ৬৯টি, মেহেন্দীগঞ্জে ২৩টি, বানারীপাড়ায় ৫৬টি, উজিরপুরে ১১৩টি, বাবুগঞ্জে ২২টি এবং গৌরনদী উপজেলায় ৮০টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।প্রতিটি মন্দিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ নজরদারী রয়েছে।তাছাড়া সার্বক্ষণিক পুলিশের একটি টিম মন্দিরে মোতায়েন করেছে।প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মন্দির কমিটি তুষ্ট। বরিশাল মহানগর পূঁজা উদযাপন কমিটির সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র দেন নারু জানিয়েছেন, এবার তাদের অধীনে ৩৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।যার মধ্যে ২৯টি সর্বজনীন, ৭টি ব্যক্তিগত এবং ১টি মানতের।প্রতিটি মন্দিরে প্রতীমা তৈর শেষ হয়েছে, খুব শিগগিরই রঙ তুলির আঁচড় লাগবে বলে জানান তিনি। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর (৯ আশ্বিন) মঙ্গলবার ষষ্ঠীবিহিত পূজার মধ্যে দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব থেকে বড় উৎসব দুর্গাপূজার ৫দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।৩০ সেপ্টেম্বর(১৩ আশ্বিন) শনিবার দশমী বিহিতপূজা সমাপনান্তে দেবীর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী এবছর দেবী দুর্গা আসছেন নৌকায় চড়ে।পাঁচদিন ভক্তদের মাঝে অবস্থান করে ঘোটকে (ঘোড়ায়) চড়ে প্রস্থান করবেন।
Post Views:
০
|
|