|
স্মার্ট কার্ড সংগ্রহকারীদের মাঝে সৃষ্ট বিভ্রান্তির ব্যাপারটি সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরের ব্যর্থতা
বরিশালে প্রচারণার অভাবে স্মার্টকার্ড সংগ্রহে বিভ্রান্তি
স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে চলছে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম।তবে প্রচার প্রচারণার অভাবে সাধারণ মানুষ স্মার্ট কার্ড সংগ্রহে অনেকটা বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন।কার্ড সংগ্রহের নিয়ম, স্থান বা নির্দিষ্ট সময়সীমা জানা না থাকায় ভোটাররা নানা রকম দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছেন।এ জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নির্বাচন অফিসের সংশ্লিষ্টদের দায়ী করেছেন নগরবাসী।উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গৃহীত দেশব্যাপী স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম বরিশালে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় চলতি বছরের ৩০ জুন থেকে।৩০টি ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে কার্ড বিতরণ কার্যক্রম চলছে।ইতিমধ্যে ১ থেকে ১০ নং ওয়ার্ডে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।বর্তমানে বিতরণ কার্যক্রম চলছে ১১নং ওয়ার্ডে।তবে পর্যাপ্ত প্রচার-প্রচারণার অভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ছেন জনসাধারণ।ফলে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও কার্ড সংগ্রহ করতে না পারায় জটিলতা বাড়ছে।১১ নং ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী সুমন সর্দার জানান, লোকমুখে শুনেছিলেন তার ওয়ার্ডে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে।তবে সংগ্রহের সঠিক সময়সীমা তার জানা ছিল না।এলাকায় মাইকিং ও লোকমুখে শুনে গত বুধবার কার্ড সংগ্রহের নির্ধারিত ক্যাম্পে গিয়ে পড়েন আর এক বিব্রতকর অবস্থায়।জানতে পারেন সেদিন শুধুমাত্র মহিলাদের স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে। পুরুষদের জন্য নির্ধারিত সময় হল পরদিন।একই অভিযোগ করেন একাধিক ভোটার।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ জানতে পাড়ছে না কবে কোথা থেকে র্স্মাট কার্ড বিতরণ করা হবে।ফলে তারা দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগছেন।মাসুদ আহমেদ নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, তিনি ওয়ার্ড পরিবর্তন করে অন্য ওয়ার্ডের ভোটার হয়েছেন অনেক আগেই।এখন কোন ওয়ার্ড থেকে স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করবেন তা বুঝতে পারছেন না।নগরীর অপর এক বাসিন্দা বলেন, জনপ্রতিনিধিরা এ বিষয়ে ততোটা সচেষ্ট না হওয়ায় স্মার্ট কার্ড গ্রহণে বিভ্রান্তিতে পড়তে হচ্ছে।উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘরে বসেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে এসসি স্পেস এনআইডি লিখে বর্তমান পরিচয়পত্রে উল্লিখিত ১৭ ডিজিটের সংখ্যা যুক্ত করে ১০৫-এ সেন্ড করে স্মার্ট কার্ড সংগ্রহের যাবতীয় তথ্য জানতে পারেন।যাদের পরিচয়পত্রে ১৩ ডিজিট রয়েছে তাদের উক্ত ডিজিটগুলোর প্রথমে জন্মসাল যোগ করতে হবে।নির্দিষ্ট ব্যক্তি নির্ধারিত ক্যাম্পে গিয়ে ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ প্রদান সাপেক্ষে কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।এক্ষেত্রে পুরানো পরিচয়পত্রটিও সাথে নিতে হবে।স্মার্ট কার্ড বিতরণে টেম্পোরারি বেসিসে ২৬ জনবল নিয়োগ করা হয়েছে।১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম চলবে আগামী বছরের জানুয়ারির ১২ তারিখ পর্যন্ত।যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংগ্রহ করতে পারেন নি তারা পুন:তফসীল ঘোষণার পর কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মজিবর রহমান বলেন, তার ওয়ার্ডে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।সাধারণ মানুষকে এ বিষয়ে অবহিত করতে ইতিমধ্যে ওয়ার্ডে মাইকিং করা হয়েছে।এছাড়া ওয়ার্ডের আওতাধীন মসজিদগুলোর মাধ্যমে মাইকিং ও ইমামদের সহায়তায় মুসল্লিদের জানানো হয়েছে।তবে এসব প্রক্রিয়া কতটা কার্যকর হবে সে বিষয়ে তিনি স্পষ্ট কোন জবাব দেননি।এ ব্যাপারে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাচন কমিশনার আব্দুল হাই আলী হাদী বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডের সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর এবং স্থানীয় গণ্যমান্যদের নিয়ে তারা স্মার্ট কার্ড বিতরণের ক্ষেত্রে করণীয় বিষয়ে একাধিক সভা করেছেন।এছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অণুবিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রেজিস্ট্রেশন প্ল্যান কপি ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মাঝে সরবরাহ করা হয়েছে।কার্ড সংগ্রহে বিভ্রান্তি সম্পর্কে বলেন, এক্ষেত্রে তারা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পুরোপুরি পালন করেছেন।স্মার্ট কার্ড সংগ্রহকারীদের মাঝে সৃষ্ট বিভ্রান্তির ব্যাপারটি সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরের ব্যর্থতা বলে অভিমত তার।
Post Views:
১৯৩
|
|