|
নগরীর মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ার মত
বরিশালে পূজোয় বাহারী পোশাক
শামীম আহমেদ, অতিথি প্রতিবেদক : আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে গত কয়েকদিন থেকে নগরীর মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ার মত।লাল, সাদা আর বাসন্তি রঙকে প্রাধান্য দিয়ে নানা রং আর ঢঙের পূজার পোশাকে সেজেছে বরিশালের বিপনিন বিতানগুলো।শুক্রবার সরকারী ছুটির দিনে সর্বত্র ক্রেতাদের ভিড়ও ছিলো চোখে পড়ার মত।নগরীর চকবাজারের একাধিক বিক্রেতারা বলেন,এটি ধর্মীয় উৎসব বলে ধর্মীয় ট্রাডিশনকেই পোশাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।‘শারদীয় দুর্গাপূজার’ প্রতিটি দিনের আনুষ্ঠানিকতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পোশাক রয়েছে তাদের কালেকশনে।এরমধ্যে নতুন নতুন ডিজাইনের শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, লেডিস টপস, সিঙ্গেল কামিজ, শার্ট, টি-শার্ট, বাচ্চাদের পোশাকের পাশাপাশি ছেলেদের জন্য রয়েছে ধুতি ও পাঞ্জাবি।উৎসবকে লক্ষ্য রেখে ছোট্টদের জন্যও বাজারে এসেছে লাল রঙের ধুতি ও পাঞ্জাবি।বিক্রেতারা আরও বলেন, এখন গরম যেমন আছে তেমনি বৃষ্টির আসা-যাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ভালপণ্য আর সুলভ মূল্যকে বিবেচনায় রেখেই পূজার পোশাকের দাম হাঁকা হয়েছে ছয়শ’ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত।বিপাশা নামের এক বৌদি বলেন, তিনি সাত হাজার টাকায় লাল রঙের কাতান আর পাঁচ হাজার টাকায় বাসন্তি রঙের জামদানি ক্রয় করেছেন।সৈকত হালদার নামের অপর ক্রেতা বলেন,পূজার মোটিভ ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যান্ডের এক্সক্লুসিভ ডিজাইনের টি-শার্টের পাশাপাশি সময়কে রাঙানোর জন্য পুরুষের জন্য বাজারে এসেছে বাহারি ধুতি ও পাঞ্জাবি।তিনি তার মেয়ের জন্য পূজোর কিছু বাহরী পোষাক কিনেছেন।কাটপট্টির ঐতিহ্যবাহী শাড়ীর দোকান ‘স্বদেশী’ জানায়,এবার পূজাতে তাদের হাফ সিল্ক-এর শাড়ির চাহিদা তুলনামূলকভাবে বেশি।এ শাড়িগুলোর দাম পড়বে তিন হাজার ৭৮০ টাকা থেকে ১১ হাজার ৮৫০ টাকা পর্যন্ত।চয়ন হালদার নামের এক ক্রেতা জানান,তিনি তার স্ত্রীর জন্য একটি লাল রঙের ব্লকের একটি শাড়ি ক্রয় করেছেন।মূল্যটা খুব একটা বেশী নয়,তার কাছে ঠিকই মনে হয়েছে।
Post Views:
১,২০২
|
|