|
কঠোর অবস্থানে মৎস্য বিভাগ, প্রতিদিনই পরিচালিত হচ্ছে অভিযান
বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেদারছে ইলিশ শিকার
শামীম আহমেদ, অতিথি প্রতিবেদক : নিষেধাজ্ঞা সত্বেও ইলিশ শিকারে থেমে নেই অসাধু জেলেরা।আড়ালে-আবডালে ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছে ইলিশ নিধন।মা ইলিশের পাশাপাশি জালে ধরা পড়ছে জাটকা।এদিকে প্রজনন মাসে ইলিশ নিধন বন্ধে কঠোর অবস্থানে তৎপর রয়েছে মৎস্য অধিদপ্তরের সাথে নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড।তবে দুর্দিন পার করছে ইলিশ শ্রমিকরা। এই ২২ দিনে তারা কোন পক্ষ থেকেই পাচ্ছে না সাহায্য।বিভাগীয় মৎস্য অফিস সূত্র জানিয়েছে,কিছু অসাধু জেলে সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও গোপনে ইলিশ শিকার করছে দেদারছে।তবে এদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।প্রতিদিনই পরিচালিত হচ্ছে অভিযান। আটক করা হচ্ছে জাল,জেল-জরিমানা করা হচ্ছে এসব জেলেদের।বিভাগীয় মৎস্য অফিসের সহকারী পরিচালক আজিজুর রহমান জানান,২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মা ইলিশ শিকারের দায়ে গত ৫ দিনে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় ৬৬ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।পাশাপাশি এ পর্যন্ত জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।জব্দ করা হয়েছে ১ হাজার ৬০৪ কেজি ইলিশ ও ৮ লাখ ৫৫৮ মিটার অবৈধ জাল।তিনি জানান,গত ১-৫ অক্টোবর পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে মোট ৩৫৩ টি অভিযান ও ১৬৩ টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করাহয়েছে।যার অনুকুলে ৬২ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।এছাড়া এ পর্যন্ত ৪টি নৌকা ও ১টি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।কুতুবউদ্দিন, জামাল,রহিমসহ নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জেলে বলেন,বরিশাল জেলায় ৭৪ হাজার জেলের মধ্যে ৪৪ হাজারকে ২০ কেজি করে চাল দেয়া হয়।এও পর্যাপ্ত নয়।বাকী জেলেরা কি করবে? বাধ্য হয়ে তারা অসাদুপায় অবলম্বন করে।এদিকে বরিশালে মোকামগুলোতে ইলিশ শ্রমিক রয়েছে প্রায় ৪ হাজার।ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার পর থেকে তারা দুর্দিন পার করছে।কোন কর্ম নেই।অলস সময় কাটাচ্ছে।পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন অতিবাহিত করতে হচ্ছে ধার দেনা করে।ইলিশ শ্রমিক মোস্তফা কামাল ও রুহুল আমিনসহ কয়েকজন বলেন,এই সময়ে সবচেয়ে বেশী কষ্ট হয় আমাদের।কারন আমরা সরকারের কাছ থেকে সাহায্য পাই না এবং আড়তদারের কাছ থেকেও কোন সহযোগিতা পাই না।দেনাগ্রস্থ হয়ে পড়ি।মানবেতর জীবন কাটাই স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে।

Post Views:
০
|
|