আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এর নিরলস পরিশ্রমের ফলেই শান্তিচুক্তি সম্ভব হয়েছিলো
বরিশালে নানা উদ্দীপনায় পার্বত্য শান্তি চুক্তি পালন
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : ১৯৯৭ সালের ৩ ডিসেম্বর তৎকালীন আওয়ামী সরকারের চীফ হুইপ ও দক্ষিণ বাংলার বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ তার দীর্ঘ প্রচেষ্টায় অশান্ত পার্বত্য অঞ্চল শান্ত করে সশস্ত্র শান্তিবাহিনীর সদস্যদের আত্মসমর্পণে রাজী করাতে সক্ষম হন। শান্তি বাহিনীর নেতা সন্ত লারমার নেতৃত্বে শান্তিবাহিনীর সদস্যরা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনার হাতে অস্ত্র জমা দেন। সেদিন থেকে প্রতিবছর এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে জাতীয় পার্বত্য শান্তিচুক্তি দিবস হিসেবে। বিশেষ করে বরিশালে এই দিনটি একটু বেশী উদ্দিপনার সাথে পালন করেন আওয়ামী নেতাকর্মীরা। এবারও এর ব্যাতিক্রম ঘটেনি। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আগেভাগেই প্রস্ততি নিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। এই উদযাপনে নতুন নতুন মাত্রা যোগ করেছে দিবসটির প্রেক্ষাপটে নির্মিত করা হয়েছে বড় বড় গেট.ব্যানার.ফেস্টুন ইত্যাদি । বরিশাল মহানগর ২৯ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ নেতা কামরুজ্জামান লিখন এর উদ্যোগ ও অর্থায়নে নগরীর কাশিপুর বাজার সংলগ্ন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে বিশাল সাইজের একটি প্রবেশ গেট করা হয়েছে । সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে বরিশালে স্থাপিত নানান ধরনের গেট এর তুলনায় এ গেটের মধ্যে থাকা বিভিন্ন প্রামাণ্যচিত্রে ফুটে উঠেছে পার্বত্য শান্তিচুক্তির গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী। এবিষয়ে ব্যানারটির উদ্যোক্তা কামরুজ্জামান লিখন বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি আওয়ামী সরকারের একটি অন্যতম অর্জন পাশাপাশি আমাদের বরিশালবাসীর জন্যও এটি গর্বের বিষয় কারণ আমাদের সবার প্রাণপ্রিয় নেতা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এর নিরলস পরিশ্রমের ফলেই শান্তিচুক্তি সম্ভব হয়েছিলো। এর ফলে অশান্ত পাহাড়ি জনপদে যেমন শান্তি ফিরে এসেছে তেমনি আদিবাসী পাহাড়িরাও ফিরে পেয়েছে তাদের ন্যায্য অধিকার। ব্যানারটি স্থাপনের মাধ্যমে সেই সোনালী ইতিহাসটিই আমি বরিশালবাসীর সামনে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি।