|
এসব গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এবং উপজেলায় পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়বে
বরিশালে নদী ভাঙনের কবলে ১৫টি গ্রাম, সাধারণ মানুষ দিশেহারা
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশালের মুলাদী উপজেলার আড়িয়াল খাঁ ও জয়ন্তী নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে কমপক্ষে ১৫টি গ্রাম। বর্ষার শুরুতে ভাঙনের মুখে পড়ে এসব গ্রামের সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। গত এক সপ্তাহে জয়ন্তী নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের ছত্রিশ ভেদুরিয়া বাসস্ট্যান্ড। এ ছাড়া নদী ভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অব্যাহত ভাঙনে উপজেলার মানচিত্র পাল্টে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভাঙনের শিকার ভুক্তভোগীরা। উপজেলার চরকালেখান, সফিপুর, বাটামারা, নাজিরপুর, মুলাদী সদর ও কাজিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা জানান, গত এক সপ্তাহে জয়ন্তী নদীর ভাঙনে উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের ছত্রিশ ভেদুরিয়া বাসস্ট্যান্ড নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া জয়ন্তী ও আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙনে উপজেলার পশ্চিম চরকালেখান ঢালী বাড়ি লঞ্চঘাট এলাকা, সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া, ছোট লক্ষ্মীপুর, ব্রজমোহন, বাটামারা ইউনিয়নের চরবাটামারা খেয়াঘাট এলাকা, সেলিমপুর খেয়াঘাট, চরআলিমাবাদ, চরসাহেবরামপুর, চরআলগী, নাজিরপুর ইউনিয়নের ঘোষেরচর, কাচ্চিচর, ভূইয়াবাড়ি লঞ্চঘাট, মুলাদী সদর ইউনিয়নের ভাঙ্গারমোনা, চরলক্ষ্মীপুর নন্দীর বাজার এলাকা, কাজিরচর ইউনিয়নের পশ্চিম ডিক্রীরচর গ্রাম ভাঙনের কবলে পড়েছে। এসব গ্রামের সাধারণ মানুষ আতঙ্ক নিয়ে বসবাস করছে। নদী ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে উপজেলার ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত চরলক্ষ্মীপুর ফাযিল মাদরাসা, সফিপুর ই্উনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাটামারা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং নাজিরপুর ঘোষেরচর দাখিল মাদরাসা। স্থানীয়রা জানান, নদী ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে এসব গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এবং উপজেলায় পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়বে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাকির হোসেন জানান, ভাঙন কবলিত গ্রামগুলোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Post Views:
১,৪৮৭
|
|