প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » বরিশালে ধর্ষন চেষ্টা মামলা থেকে রেহাই পেতে বাল্য বিয়ে সম্পন্ন
Thursday August 16, 2018 , 4:46 pm
হিজলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষন চেষ্টা মামলা দায়ের
বরিশালে ধর্ষন চেষ্টা মামলা থেকে রেহাই পেতে বাল্য বিয়ে সম্পন্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল জেলার হিজলা থানাধীন চরদূর্গাপুরে ধর্ষন চেষ্টার মামলা থেকে বাঁচতে বাল্য বিয়ে সম্পন্ন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হিজলা উপজেলার চরদূর্গাপুরের বাসিন্দা ইউসুফ বেপারীর কন্যা সুরমা (১৬) চলতি বছর জুলাই মাসের ২৪ তারিখ নানা মৃতঃ আব্দুর মন্নার তালুকদারের বাড়িতে বেড়াতে যায়। ঐ দিন রাত আনুমানিক ১০ টায় সুরমা তার নানির সাথে প্রকৃতিক ঢাকে সাড়া দিতে দরজা খুলে ঘরের বাহিরে গেলে এই সুযোগে একই এলাকার সহিদ দেওয়ানের পুত্র রহমতউল্লাহ দেওয়ান সকলের অগচরে খোলা দরজা দিয়ে সুরমার রুমে প্রবেশ করে লুকিয়ে থাকে। পরবর্তীতে ঘরে ফিরে সুরমার নানি ঘুমিয়ে পড়লে রহমতউল্লাহ খাটে শায়িত সুরমাকে জড়িয়ে ধরে এবং ধর্ষনের চেস্টা চালায়। এসময় সুরমা নিজেকে বাঁচাতে ডাক চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসার সুযোগে রহমতউল্লাহ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে সুরমার বাবা ইউসুফ ব্যাপারী রহমতউল্লাহ পরিবারকে জানালে তারা কোন কর্নপাত না করায় গত ২৬ জুলাই সুরমার বাবা রহমতউল্লাহকে আসামী করে হিজলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষন চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। এদিকে নিজেকে ধর্ষন চেষ্টা মামলা থেকে বাঁচাতে অভিযুক্ত রহমতউল্লাহ দেওয়ান মাত্র দু’দিন পর ২৮ জুলাই বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে এ্যাড. মো: মাইনুদ্দিন ডিপটির মাধ্যমে হিজলা উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নে দূর্গাপুর নিবাসী শফিক শিকদারের মেয়ে লামিয়া আক্তারকে বিয়ে করে যেখানে লামিয়া আক্তারের বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ১৯ বছর। কিন্তু ২ নং মেমানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে গত ২৬/৪/১৬ তারিখ ইস্যুকৃত জন্ম নিবন্ধন ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রেরিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী সনদ পত্রে দেখা যায় যে লামিয়ার জন্ম ২ হাজার ৬ সালের ১২ জুন। সেই হিসেবে বর্তমানে লামিয়ার বয়স মাত্র ১২ বছর। এঘটনায় ইউনিয়ন জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক তোলপাড়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ এলাকার একজন প্রতিনিধি জানান, নিজেদের বাঁচাতে লম্পট রহমতউল্লার পরিবার একের পর এক অন্যায় কাজ করে চলছে। এমনকি তারা আদালতে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে বাল্য বিয়ের মত একটি জঘন্য অপরাদ সম্পন্ন করেছে। ভুক্তভোগী সুরমার পরিবার ন্যায় বিচার পেতে আদালত থেকে শুরু করে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।