ধর্ষিতা স্থানীয়দের নিকট বিয়ের হলফনামার কাগজের ছবি এবং একসাথে কাটানো মুহুর্তের ছবি দেখায়
বরিশালে ধর্ম পরিবর্তন করেও পেল না স্ত্রীর মর্যাদা
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : মুসলিম ছেলের সাথে হিন্দু মেয়ের প্রেমের সুত্র ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। ২৮ আগস্ট মঙ্গলবার জেলা জজ আবু শামীম আজাদ বিচারাধীন বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের হয়। ধর্ষিতা বাদী হয়ে ধর্ষক আগৈলঝারা উপজেলার বাগধা এলাকার রিয়াজ তালুকদারকে অভিযুক্ত দেখিয়ে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে ধর্ষিতা আদালতে বলেন, তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়ে। বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া এলাকায়। অভিযুক্ত রিয়াজ একজন লম্পট প্রকৃতির লোক। বাদীর সাথে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়। এ ধারাবাহিকতায় ঢাকায় বসে দেখা করে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। দুইজন দুই ধর্মের বলে তিনি রাজি হননি। পরে তাকে মুসলিম বানিয়ে বিয়ে করার আশ্বাস দেয়। তিনি রাজি হলে ঢাকা জেলা জজ আদালতের নোটারীর মাধ্যমে বিয়ের হলফনামা তৈরি করে ভাড়া বাসায় উঠে। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে তার সাথে স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে একাধিকবার ধর্ষন করে। ধর্ষিতা শ্বশুর শাশুড়ির সাথে দেখা করার দাবি জানালে রিয়াজ পালিয়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে না পেয়ে তাদের বাড়িতে গেলে রিয়াজ সবকিছু অস্বীকার করে। ধর্ষিতা স্থানীয়দের নিকট বিয়ের হলফনামার কাগজের ছবি এবং একসাথে কাটানো মুহুর্তের ছবি দেখায়। স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংসার জন্য ২৩ আগস্ট ধার্য্য করে গত ২২ আগস্ট তাকে আশুলিয়া মোঃ শাহিনের বাসায় রাখা হয়। রাত ১০টায় রিয়াজ গিয়ে ক্ষমা চেয়ে বাদীকে আবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এব্যাপারে থানায় মামলা করতে গেলে থানাপুলিশ মামলা নেয়নি। এভাবে অভিযোগ দায়ের করলে আদালত বাগধা ইউপি চেয়ারম্যানকে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন এবং শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে ধর্ষণ সংক্রান্ত পরীক্ষা শেষে রিপোর্ট দাখিলের আদেশ দেন বলে আদালত সূত্র জানায়।