Current Bangladesh Time
শুক্রবার ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫ ২:০৮ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বরিশালে দুই কিলোমিটার রাস্তায় যেন ভোগান্তির শেষ নেই 
Tuesday August 1, 2017 , 6:49 pm
Print this E-mail this

সাবেক মেয়র হিরণ সাহেব বেঁচে থাকলে তিনি নিজেই উদ্দ্যেগ নিতেন এই রাস্তা সংস্কারের

বরিশালে দুই কিলোমিটার রাস্তায় যেন ভোগান্তির শেষ নেই


নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল নগরীর রূপাতলী থেকে আমতলার মোড় ও ঝালকাঠি-বরিশাল রাস্তা চক্ষু হাসপাতাল থেকে রূপাতলী পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার অংশ দীর্ঘদিন বেহাল অবস্থায় রয়েছে।রাস্তা দুটিতে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিন নাকাল হতে হচ্ছে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের।সকাল-বিকেল যানজট লেগে থাকে।তিন মিনিটের পথ পাড়ি দিতে সময় লাগে আধা ঘণ্টা, আর যানজট থাকলে তো আর কথাই নেই, সময় লাগে আরো বেশী।স্থানীয়রা জানান, সামান্য বৃষ্টিতেই খানাখন্দে ভরা রাস্তা দুটিতে পানি জমে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নগরীসহ বিভাগের পাঁচ জেলার লাখো যাত্রীদের।পাশাপাশি বেহাল এ রাস্তায় প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।কয়েক দিনের টানা বর্ষণে এ ভোগান্তি এখন চরম আকার ধারণ করেছে।সূত্রমতে, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি গুরুতর প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসার জন্য এ সড়ক ব্যবহার করা হয়।এর মধ্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড অন্যতম।এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের পাঁচ জেলা বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি থেকে বিভাগীয় শহর, ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম বা অবলম্বন এই শোচনীয় রাস্তা।সড়কের এ অংশ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের আওতায় থাকলেও এটি ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের আওতায় হওয়ায় এর দেখভাল করে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।সামান্য বৃষ্টি হলেই রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডের মধ্যে হাঁটুপানি জমে যায়।এতে যাত্রীদের ভোগান্তিও বেড়ে যায়।নগরীর ব্যস্ততম এ রাস্তায় দিন-রাত হাজারও যানবাহন চলাচল করে।বেহালদশার কারণে প্রতিদিই সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা এবং বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সড়কটিতে তীব্র যানজট লেগেই থাকে।সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝালকাঠি থেকে বরিশাল আসতে চক্ষু হাসপাতাল থেকে রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে একাকার হয়ে গেছে।একইভাবে রূপাতলী থেকে আমতলার মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার পিচ উঠে গেছে।সংস্কারের জন্য গত দুইমাস ধরে মাঝে মাঝে সড়কের ওপরে সুড়কি ফেলে রাখায় বৃষ্টিতে তা ধুয়ে কাঁদাজলে একাকার হয়ে যায়।ভাঙ্গাচোরা সড়কে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে।পথচারীদের দুর্ভোগের পাশাপাশি যানবাহন চালকদের ভোগান্তির শেষ নেই।সড়কের পাশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জন গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি যতবারই সংস্কার করা হোক, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।রূপাতলীর মসজিদের এক ইমাম সাহেব বলেন, সাবেক মেয়র হিরণ সাহেব বেঁচে থাকলে তিনি নিজ উদ্দ্যেগেই এই রাস্তার সংস্কার করে দিতেন, এই দুরর্দশা বেশীদিন আমাদের ভোগ করতে বা দেখতেও হতো না।বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. ইউনুস আলী বলেন, বেহাল এ সড়কে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগীদের।বিশেষ করে অ্যাম্বুলেন্সে যেসব রোগীদের আনা হয় তাদের যন্ত্রণা অনেকাংশে বাড়িয়ে তোলে খানাখন্দের সড়কটি।ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সওজ’র বরিশাল কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী কেএইচ গোলাম মোস্তফা বলেন, সড়কের ওই অংশে কিছু সংস্কার করা হয়েছে।এরই মধ্যে টানা বর্ষণের ফলে সংস্কার কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।বৃষ্টি কমলেই বরিশালের সবগুলো বেহাল সড়ক সংস্কার করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।




Archives
Image
ডাক্তারদের উপঢৌকন বন্ধ হলে ওষুধের দাম কমবে ৩০%
Image
বৌদ্ধ ধর্মীয় উৎসব মাঘী পূর্ণিমা আজ
Image
নতুন দলের নেতৃত্বে কারা আসছেন, যা জানা গেল
Image
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ বিএনপির
Image
জুলাই অভ্যুত্থানের নৃশংসতা নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার