Current Bangladesh Time
সোমবার নভেম্বর ১১, ২০২৪ ৬:০২ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বরিশালে ত্রিশ গোডাউন সংলগ্ন নদী তীরের স্থাপনা অপসারণের ঘোষণা 
Friday September 14, 2018 , 6:39 pm
Print this E-mail this

আগামী ৭ দিনের মধ্যে ওই স্থাপনা অপসারনের কাজ শুরু হবে

বরিশালে ত্রিশ গোডাউন সংলগ্ন নদী তীরের স্থাপনা অপসারণের ঘোষণা


নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালের ত্রিশ গোডাউন সংলগ্ন নদী তীরে নির্মানাধীন স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাংবাদিক আকতার ফারুক শাহিন। গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন,‘আগামী ৭ দিনের মধ্যে ওই স্থাপনা অপসারনের কাজ শুরু হবে।’ বিবৃতিতে তিনি বলেন,‘কীর্তনখোলা নদী তীরে বেড়ি বাঁধ, সড়ক ও পার্ক নির্মান এবং দর্শনার্থীদের জন্যে বাথরুমের সুবিধাসহ একটি ফুড কোর্ট স্থাপনের পরিকল্পনা ছিল নগর ভবনের। এজন্যে নদী তীরে বাঁধ দিয়ে ঢালু অংশ ভরাট করা হয়। ভরাট করা অংশে ইতিমধ্যে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে পার্ক নির্মানের কাজ সম্পন্নও হয়েছে। ইতিপূর্বে সেখানে নির্মিত এপিবিএন’র ক্যান্টিন’র ঠিক উল্টো দিকে স্মৃতি ফলকের সামনে নির্মিত হয়েছে ওই পার্ক। এই পার্কের উত্তর পাশে এপিবিএন’র সীমানা দেয়াল ঘেষে দর্শনার্থীদের জন্যে বাথরুম সুবিধাসহ সম্পুর্ন অস্থায়ী একটি ফুড কোর্ট নির্মানের লক্ষে প্রায় ৪ মাস আগে নদী তীরের ভরাট করা অংশে ৬০৯ স্কয়ার ফিট জমি ৩ বছর মেয়াদে লিজ দেয়া হয়। আমি বৈধভাবে ওই জমি লিজ নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের দেয়া ডিজাইন প্ল্যান অনুযায়ী ব্যাক্তিগত প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যায়ে বাথরুমসহ ফুড কোর্ট নির্মান করি। লিজ’র পাশাপাশি নগর ভবনকে ওই জমির ভাড়া বাবদ নিয়মিত অর্থও পরিশোধ করা হয়েছে। নির্মান সম্পন্ন হওয়ার পর এটি ছিল একেবারেই উদ্বোধনের পর্যায়ে। এরকম একটি সময়ে স্টল’র স্থানটিকে মুক্তিযুদ্ধের বদ্ধভুমির আওতাভুক্ত উল্লেখ করে সেটি অপসারনের দাবী উঠে। এই নিয়ে গত ১১ এবং ১৩ সেপ্টেম্বর মানববন্ধন-সমাবেশও হয়েছে। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে তাই কোনরকম ক্ষতিপূরন পাওয়ার আশা ছাড়াই প্রায় ৩০ লাখ টাকার লোকসান মেনে নিয়ে আমি ওই স্থাপনাটি সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিচ্ছি। জমি লিজ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ সিটি কর্পোরেশন কিংবা অন্য কেউ ওই স্থাপনা অপসারন বা লিজ বাতিলের নোটিশ না দিলেও উত্থাপিত দাবীর প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি নিজেই ওই স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছি। সাংবাদিকতা পেশার পাশাপাশি প্রায় ৩০ বছর ধরে একজন নাট্য ও সাংস্কৃতিক কর্মী এবং স্বাধীনতার স্ব-পক্ষের শক্তি হিসেবে আমি দ্ব্যার্থহীন ভাষায় ঘোষণা দিতে চাই যে, প্রায় ৪ মাস ধরে ওই নির্মান কাজ চলাকালে যদি একটিবারও আমাকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বা অন্য যে কোন পক্ষ সেটি করতে নিষেধ করতেন তাহলে সেই মুহুর্তেই আমি কাজ বন্ধ করে দিতাম। সেক্ষেত্রে অন্ততঃ আমার ৩০ লাখ টাকার লোকসান গুনতে হত না। সৎ পথে অর্থ উপার্জনের আশায় যে ৩০ লাখ টাকা আমি ধার দেনা করে খরচ করেছি। আমি আশা করবো যে আমার এই বিবৃতির পর বিষয়টি নিয়ে আর কোন জটিলতা থাকবে না। যারা এই বিষয়টি নিয়ে আন্দোলন করেছেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতেও এধরনের যে কোন আন্দোলন প্রশ্নে আমি তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করছি এবং পরবর্তি যে কোন আন্দোলনে সবার সাথে অগ্রনী ভূমিকা পালনের অঙ্গিকার করছি।’




Archives
Image
পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে প্রধান উপদেষ্টার সিঙ্গাপুরের সহায়তা
Image
দুই নারীকে ধরে পুলিশে দিলেন বিএনপি কর্মীরা
Image
বড় হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ, সন্ধ্যায় শপথ
Image
আওয়ামী লীগের মিছিল প্রতিহত : অন্তত ১৫ জনকে পুলিশে সোপর্দ
Image
গুলিস্তানে পাল্টা-পাল্টি সমাবেশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রস্তুত পুলিশ