স্টাফ রিপোর্টার : টানা বর্ষণে বরিশালে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ। বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে অফিসগামী মানুষ ও খেটে খাওয়া মানুষদের অফিস-আদালত, বিপনী বিতান ও মার্কেটগুলোতে সাধারণ মানুষের পদচারনা ছিলো খুবই কম। রাস্তাঘাটও ছিলো অনেকটাই ফাঁকা। গতকাল সোমবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকেই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী আর অফিসমুখী মানুষ ছাড়া তেমন কেউ বৃষ্টিমুখর দিনটিতে বাহিরে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হননি। আবার বৃষ্টির কারনে ক্রেতা না থাকায়, হাটখোলা-বাজাররোড, পোর্টরোডের খেটে খাওয়া মেহেনতি মানুষের কর্মে ভাটাও পরেছিলো। বরিশাল আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, এই টানা বৃষ্টি চলছে প্রায় ২৮ ঘণ্টা ধরে। সোমবার ভোররাত ৩টা ২০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কখনো ভারী কখনো হালকা এভাবে করে মোট বৃষ্টপাত হয়েছে ৬০ দশমিক ১ মিলিমিটার। দিনে বরিশালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বনিম্ন ছিলো ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মিলন হাওলাদার জানান, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। এভাবে বৃষ্টিপাত আরো ২/১ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।বৈরি এ আবহাওয়ার কারণে পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর ও আভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিযে যেতে বলা হয়েছে।এদিকে আভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ না থাকলেও চালকদের সতর্কতার সহিত লঞ্চ চালনা করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা। অপরদিকে নদীর পানির বৃদ্ধি পাওয়ায় বরিশাল নগরের বর্ধিত এলাকা ও নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে।একই অবস্থা বিরাজ করছে ঝালকাঠি ও পটুয়াখালীর নদীসংলগ্ন এলাকাগুলোতে।