|
হঠাৎ করেই সাগরে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালী ইলিশ
বরিশালে জমে উঠেছে ইলিশের মোকাম
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : হঠাৎ করেই সাগরে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালী ইলিশ। বৈরী আবহাওয়ায় অনেকটা ঝুঁকির মধ্যেও রয়েছেন জেলেরা। ভরা মৌসুমের টানাপোড়েনের পর পরই ২৫টি ফিশিং বোট বরিশাল মৎস্য অবতরণ করে। ব্যবসায়ীরা জানান, গতকাল প্রথম দিনেই প্রায় ২ হাজার মণ সাগরের ইলিশ উঠেছে মোকামে। যেকারণে দামও অনেকটা কম। মোকাম সরগরম। একই চিত্র উপকূলীয় এলাকা মহিপুর-আলীপুর এবং পাথরঘাটায়ও। মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ মাসের মাঝামাঝি নদীতেও ইলিশ ধরা পড়বে। সকালে ইলিশ আসার খবরে বরিশাল মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ছুটে যান মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, অনেকটা সময় তারা অপেক্ষায় ছিলেন। মৌসুম সত্ত্বেও কেন ইলিশ ধরা পড়ছে না তা নিয়ে চিন্তায়ও ছিলেন তারা। গভীর সমুদ্র থেকে ২৫টি ফিশিং বোট আসে। প্রায় ২ হাজার মণ সাগরের ইলিশ উঠেছে মোকামে। এর ওজন ৫শ থেকে ৭/৮শ গ্রাম। সামদ্রিক এ ইলিশ মণপ্রতি বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা দরে। তিনি বলেন, বৈরী আবহাওয়ার জন্য মাছ ধরা যাচ্ছে না। তবে সামনের অমাবস্যায় জোয়ারের পানির সঙ্গে সাগর ছেড়ে নদীতে ইলিশ প্রবেশের মোক্ষম সময়। এখনই সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। বরিশাল মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি অজিৎ দাস বলেন, অন্তত ২০টি ফিশিং বোট এসেছে। দাম কমে ২০ হাজার টাকা মণপ্রতি বিক্রি হয়েছে ইলিশ। তিনি বলেন, সাগরে মাছ আছে। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে ইলিশ ধরা কঠিন। অবশ্য নদীতে এখনও কাংখিত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। ইলিশ মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে মোকাম। মৎস্য শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, টানা কয়েক মাস তারা অলস সময় কাটিয়েছেন। এখন হয়তো সুদিন ফিরবে। নগরীর পাড়া-মহল্লায়ও অনেক খুচরা বিক্রেতাকে ফেরি করে ইলিশ বিক্রি করতে দেখা গেছে। এদিকে উপকূলীয় এলাকা কলাপাড়ার আলিপুর-মহিপুর এবং বরগুনার পাথরঘাটায়ও সাগরের ইলিশ উঠতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। কলাপাড়া জেলে সমিতির সভাপতি নুরু মাঝী বলেন, তিনি গভীর সমুদ্র থেকে এসেছেন। আলিপুর-মহিপুরে গতকাল প্রায় ১ হাজার মণ সাগরের ইলিশ উঠেছে। সাগর উত্তাল তাই মাছ ধরা অনেক কঠিন। তবে প্রচুর ইলিশ সাগরে ধরা পড়ছে। সবেমাত্র সাগর ছেড়ে কলাপাড়া সংলগ্ন রামনাবাদ, অন্ধারমানিক নদীতে ইলিশ ঢুকতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, এ মাসের শেষ নাগাদ ইলিশের সুদিন ফিরবে বলে তার ধারণা। এ ব্যাপারে মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপ পরিচালক ড. মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ইলিশ সবেমাত্র আসতে শুরু করেছে। গতবছরও আগস্টের শেষদিকে ইলিশ ধরা পড়া শুরু হয়। বরিশাল মোকামে সাগরের ইলিশ এসেছে। মহিপুর ও পাথরঘাটায়ও খোঁজ নিয়ে জেনেছেন যে, সাগরের ইলিশ আসছে। এবছরের পুরো জুলাই মাস বৈরী আবহাওয়ার কারণে উত্তাল সাগরে যেতে পারেননি জেলেরা। সাগর এখনও উত্তাল। তিনি বলেন, এ মাসের মধ্যভাগে ব্যাপক ইলিশ ধরা পড়বে বলে তিনি আশাবাদী। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫ লাখ মেট্রিক টন ইলিশ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তাদের চেষ্টারও কোন কমতি থাকবে না।
Post Views:
১,৬০৬
|
|