প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » বরিশালে ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত’র নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি, আটক ১
Wednesday January 3, 2018 , 11:34 am
নগরীর লঞ্চঘাট এলাকা থেকে চাঁদা আদায়ের সময় পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাকে আটক করে
বরিশালে ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত’র নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি, আটক ১
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির নাম ব্যবহার করে চাঁদা দাবী করা শাহিন নামক এক প্রতারককে আটক করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর লঞ্চঘাট এলাকা থেকে চাঁদা আদায়ের সময় পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাকে আটক করে। আটককৃত চাঁদাবাজ শাহিন বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলশকাঠি এলাকার বাসিন্দা বলে জানাগেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ছাত্রলীগের বরিশাল জেলার সহ-সভাপতি সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত জানান, শাহিন নামের ওই ব্যক্তি আমার নাম ভাঙ্গিয়ে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটার জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ড. আমিনুল মাতুব্বর এর কাছে ৭০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। কিন্তু আওয়ামী লীগের ওই নেতা ৫০ হাজার টাকা দিবে বলে রাজি হন। এদিকে চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি আওয়ামী লীগের ওই নেতার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। এজন্য তিনি টাকা দেয়ার আগেই সাজ্জাদ সেরনিয়াবাতকে মুঠোফোনে চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি অবহিত করেন। তখন সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত এই ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার শাহিন নামের ওই কথিত চাঁদাবাজ চাঁদা তোলার জন্য লঞ্চঘাট এলাকায় যায়। তখন সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত তার সহযোগিদের নিয়ে শাহিনকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এদিকে বেশ কিছু দিন পূর্বে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সফল করার লক্ষ্য জেলা ছাত্রলীগের সাথে এক বর্ধিত সভায় সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ঘোষণা দেন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে কোন প্রকার চাঁদাবাজী করা চলবে না এবং যদি কারো বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী কারার অভিযোগ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেছেন। এই ঘোষণার পর এখন অবধি কোন ছাত্রলীগের নেতাকর্মি বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের তথ্য পাওয়া যায়নি। এটা প্রমাণ করে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর রাজনৈতিকভাবে সফলতা। তিনি সকল নেতাকর্মিকে সুসংগঠিতভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন। তেমনি তার এই সফলতা ব্যর্থতায় পরিণত করে তার সুনামকে নষ্ট করতে একটি বিরোধী চক্র সুপরিকল্পিতভাবে এমন কর্মকান্ড চালাতে পারে বলে ধারণা করছেন ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতারা। হয়তো এই কারণেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মিদের নাম ব্যবহার চাঁদাবাজী করে বেড়াচ্ছে।