Current Bangladesh Time
শনিবার ডিসেম্বর ৯, ২০২৩ ২:৫২ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বরিশালে চিকিৎসা ফি দিয়েও সেবা পান না বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা 
Monday November 20, 2023 , 4:46 pm
Print this E-mail this

অথচ চিকিৎসা খরচ বাবদ প্রতি সেশনে ২৫ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ

বরিশালে চিকিৎসা ফি দিয়েও সেবা পান না বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে ছাত্রছাত্রীদের একমাত্র চিকিৎসাকেন্দ্র তিন বছর ধরে বন্ধ রেখেছে কলেজ প্রশাসন। এতে করে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কলেজটির প্রায় ৩০ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী। অথচ প্রতি সেশনে চিকিৎসা খরচ বাবদ টাকা আদায় করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতি বছর চিকিৎসা বাবদ ২৫ টাকা করে দিলেও বছরে ২৫ পয়সারও সেবা পাচ্ছেন না তারা। ফলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। কলেজ প্রশাসন সচেতনভাবেই কৌশলে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাকেন্দ্রটি বন্ধ করেছে। এদিকে কলেজ প্রশাসন বলছে, করোনার কারণে বন্ধ করা হলেও এরপর নতুন করে কোনো চিকিৎসককে নিযুক্ত করা হয়নি। কলেজ সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচ বাবদ প্রতি সেশনে ২৫ টাকা করে আদায় করা হয়। বর্তমান শিক্ষার্থীর আনুপাতিক হিসাবে যা বছরে প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এই অর্থ ব্যয় করে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা ও ওষুধ সরবরাহের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু করোনাকালীন লকডাউনের কথা বলে মৌখিক নির্দেশনায় চিকিৎসকের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয় দুই বছর আগে। তারপর আর কাউকে নিযুক্ত করার উদ্যোগ নেয়নি কলেজ প্রশাসন। অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাওন বলেন, ৩ বছর ধরে চিকিৎসা কেন্দ্রটি বন্ধ। অথচ চিকিৎসার খরচ দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কলেজ প্রশাসন টাকা আদায় বন্ধ করেনি। এই ৩ বছরে কমপক্ষে ২১ লাখ টাকা আদায় হয়েছে। অথচ আমরা কোনোদিন ১ টাকারও সেবা পাইনি। অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ বলেন, কলেজে যেকোনো সময় যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। বেশিদিন আগের নয়, গত মাসেও আমার এক বন্ধু ক্লাস চলাকালীন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে।কলেজের চিকিৎসাকেন্দ্র বন্ধ থাকায় তাৎক্ষণিক আমরা চিকিৎসাসেবা নিতে পারিনি। পরে তাকে কলেজ থেকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমাদের সুচিকিৎসার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের চিকিৎসাকেন্দ্রটি চালু করা উচিত। আমরা তো বিনা পয়সায় চিকিৎসা চাই না, টাকা দেই। তারপরও চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন না প্রশাসন। সর্বশেষ দায়িত্বপালনকারী চিকিৎসক ডা: মনীষা চক্রবর্তী বলেন, ২০১৫ সালে খণ্ডকালীন চিকিৎসক হিসেবে আমাকে কলেজের প্রশাসন নিযুক্ত করেছিল। সপ্তাহে ৩ দিনের চুক্তি থাকলেও আমি পাঁচ দিন যেতাম। তবে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমাকে ডেকে কলেজ অধ্যক্ষ চিকিৎসাকেন্দ্রটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত জানান। এরপর আমি আর কলেজে যাইনি। কিন্তু কলেজ প্রশাসন প্রতারণা করে এখনও চিকিৎসাকেন্দ্রে আমার নাম সংবলিত সাইনবোর্ডটি ঝুলিয়ে রেখেছেন। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি তুলতে না পারেন। সরকারি ব্রজমোহন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বলেন, করোনার পরে নতুন কোনো চিকিৎসক নেওয়া হয়নি। এ জন্য চিকিৎসাকেন্দ্রটি বন্ধ ছিল। এখন নতুন করে চিকিৎসক নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আশাকরি খুব শিগগিরই আমরা চিকিৎসক পেয়ে যাব।




Archives

Image
ব‌রিশালে অডিশন চলছে ‘কুরআনের নূর’ প্রতিযোগিতার
Image
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৩ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
Image
১৩ দেশের ৩৭ ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি
Image
রোববার সারা দেশে মানববন্ধন করবে বিএনপি
Image
আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে বরিশাল মুক্ত দিবস উদযাপন