প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » বরিশালে গর্ভধারিনী মাকে পাগল আখ্যায়িত করে শিকলে বেঁধে রেখেছে সন্তান
Sunday October 8, 2017 , 6:53 pm
অযত্ন,অবহেলা,অর্ধাহার ও বিনাচিকিৎসায় নাসিমা বেগম এখন মৃত্যুর পথযাত্রী
বরিশালে গর্ভধারিনী মাকে পাগল আখ্যায়িত করে শিকলে বেঁধে রেখেছে সন্তান
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশালে গর্ভধারিনী মাকে পাগল আখ্যায়িত করে কোন প্রকার চিকিৎসা সেবা না দিয়েই দীর্ঘদিন থেকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছে তার সন্তানরা শুধুমাত্র মায়ের নামের বাড়ি আত্মসাতের লোভে।অযত্ন,অবহেলা,অর্ধাহার ও বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুর পথযাত্রী অসহায় মা নাসিমা বেগম (৪০) নগরীর ১নং ওয়ার্ড পশ্চিম কাউনিয়া এলাকার হাওলাদার সড়কের বাসিন্দা।জানা গেছে,পশ্চিম কাউনিয়া হাওলাদার সড়কের স্থায়ী বাসিন্দা বিধবা চম্পা বেগমের কন্যা নাসিমা বেগমের সাথে দীর্ঘদিন পূর্বে জনৈক আলতাফ হোসেনের বিয়ে হয়।এরপর থেকেই স্বামী-স্ত্রী (নাসিমা ও আলতাফ) স্থানীয় বিড়ি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন।দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছেও বলে জানা গেছে।সম্প্রতি সময়ে চম্পার মৃত্যুর পর ওই বাড়ির মালিক হন নাসিমা বেগম।এরইমধ্যে বিগত আট বছর পূর্বে নাসিমার স্বামী আলতাফ হোসেন দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র চলে যান।এরপর থেকেই নাসিমা অনেকটা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে নাসিমা বেগমের নিকট স্বজনরা জানান,তার (নাসিমা) বড়পুত্র রাজু ইসলাম (২৫) বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ির একটি ঘরে এবং ঐ একই বাড়িতে কন্যা লাবনী বেগমও স্বামীর সংসার নিয়ে থাকেন।ছোট ছেলে রাজন আট বছরের শিশু।স্বজনরা আরও জানান,রাজু ও লাবনী মিলে তাদের মা নাসিমা বেগমকে পাগল আখ্যায়িত করে কোন প্রকার চিকিৎসা সেবা না দিয়েই ঘরের একটি বারান্দায় দীর্ঘদিন থেকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছে।সেই থেকে অদ্যবর্ধি অযত্ন,অবহেলা,অর্ধাহার ও বিনাচিকিৎসায় এখন মৃত্যুর পথযাত্রী নাসিমা বেগম।নাসিমার নিকট স্বজনরা চিকিৎসার কথা বললে কিংবা নাসিমা বেগমের খোঁজখবর নিতে ঐ বাড়িতে আসলে রাজু ও লাবনী তাদেরকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।স্থানীয়রা জানান,নাসিমা বেগমের সম্পত্তি দখল করার জন্য রাজু ও লাবনী তাদের গর্ভধারীনি মাকে পাগল বলে আখ্যায়িত করে কোন প্রকার চিকিৎসা না দিয়েই জোরপূর্বক শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছে।এমনকি তাকে (নাসিমা) ঠিকমতো খাবারও দেয়া হচ্ছে না।অযত্ন,অবহেলা,অর্ধাহার ও বিনাচিকিৎসায় নাসিমা বেগম এখন মৃত্যুর পথযাত্রী।