|
ভ্যাট বাবদ ৩ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা সরকারী ভাবে ভ্যাট পাওনা রয়েছে
বরিশালে খান ব্রিকস ইট ভাটার লক্ষ লক্ষ টাকা ভ্যাট কর ফাঁকি !
লক্ষ লক্ষ টাকা ভ্যাট কর বকেয়া রেখে ফাঁকি দেয়ার লক্ষে বারবার প্রতিষ্ঠানের নাম বদল করে প্রতারণার মাধ্যমে প্রশাসনের নাকের ডগায় ব্রিকফ্লিডের ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে খান ব্রিকস। বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কাটাদিয়া গ্রামে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি আর অংশিদার ঠকানোর কুট কৌশল হিসাবে এক ইট ভাটার নাম বারবার পরিবর্তনের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা ভ্যাট ও কর ফাঁকি দিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও নির্দেশ ছাড়াই নজের ইচ্ছে মত এক এক সময়ে এক এক নাম দিয়ে ইট তৈরীর ব্রিক ফ্লিল্ডের ব্যাবসা করছেন কাটাদিয়া এলাকার ব্রিক ফিল্ড মালিক দাবীদার জয়নাল আবেদীন খাঁনের শামিম খাঁ (৪৫) ও ফজলে আলী খাঁর ছেলে জয়নাল খাঁ। জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী কোন ইটভাটা প্রতিষ্ঠান করতে হলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যায়ন পত্র, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড় পত্র ট্রেড লাইসেন্স এবং ভ্যাট ও কর অফিসের অনুমোদন ছাড়া প্রতিষ্ঠান নির্মান করা সরকারী ভাবে বিধি নিষেধ রয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানে এসবের কাগজ পত্র ছাড়াই টু স্টার ব্রিকস্ ফিল্ডের মালিক জয়নাল খাঁ ও শামিম খাঁন ইট ভাটা ব্যাবসা দিনের পর দিন করে যাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ২০১৪-২০১৫ সালে চরামদ্দি কাটাদিয়া এলাকায় শামিম, জয়নাল সহ কয়েকজন মিলে ডিজিবি নামক ইট ভাটা নির্মান করেন। ২০১৫-২০১৬ সালে পূর্বের নাম পরিবর্তন করে একইস্থানে কে এইচ বি নাম করন করে ইট তৈরী করেন। পুণরায় ২০১৬-১৭ সালে আবারো নাম পরিবর্তন করে খান ব্রিকস্ নাম দিয়ে ইট তৈরী করেন। ২০১৭-১৮ সালে ঐ নাম পরিবর্তন করে চার দফায় টু স্টার ব্রিকস্ একেক সময় একেক নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে ইট তৈরীর ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে যা তাদের ভাটার ইট বাজারে বিক্রি হচ্ছে অহরহ। ভ্যাট কর ফাঁকি দিয়ে আইনের কোন তোয়াক্কা না করে দফায় দফায় ইট ভাটার নাম পরিবর্তন করার কারন কি ? এছাড়া এইসব নামের বৈধ কাগজ পত্র রয়েছে কিনা জানতে চাইলে ভাটার মালিক জয়নাল আবেদীন বলেন তাদের পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড় পত্র নেই তবে অন্য সকল প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র রয়েছে। বার বার নাম পরিবর্তনের নামে ভ্যাট ও কর ফাঁকির বিষয়ে জানতে চাইলে কৌশলে এড়িয়ে যান প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে। এবিষয় চরামদ্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাউছে আজম লাল জানান, টু স্টার ব্রিকস্ নামের কোন ইট ভাটার প্রত্যায়ন পত্র তিনি দেননি বা এই নামের কোন ইট আছে বলে তার জানা নেই। এবিষয়ে বরিশাল ভ্যাট অফিসের ইন্সেপেক্টর মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, চরামদ্দি কাটাদিয়ায় শামিম ও জয়নালসহ বেশ কয়েকজন মিলে একটি ইট ভাটা করেছিল এছাড়া তারা একাধিক বার নাম পরিবর্তন করার কথা আমরা শুনেছি। বরিশাল ভ্যাট অফিস খান ব্রিকস ইট ভাটার নিকট ভ্যাট বাবদ ৩ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা সরকারী ভাবে ভ্যাট পাওনা রয়েছে। জয়নাল ও শামিম বর্তমানে খান ব্রিকস্ নাম বাদ দিয়ে বর্তমানে টু স্টার ব্রিকস্ নাম দিয়ে ইট তৈরী করছেন তাদের জানা নেই। নতুন করে কোন ইটের ভাটার নাম পরিবর্তন করতে হলে তাদের অনুমতি প্রয়োজন রয়েছে তারা টু স্টার ব্রিকস্ নামে নতুন কোন ইট ভাটার অনুমোদন দেননি। তিনি আরো বলেন, কেউ যদি এমনটা করে থাকে তাহলে অবৈধভাবে করছেন আমরা সরেজমিনে গিয়ে প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করব।
শামীম আহমেদ, অতিথি প্রতিবেদক
Post Views:
১,৩২৬
|
|