শামীম আহমেদ : ছয় দশকের বেশি সময় ধরে ভাঙ্গছে বরিশালের কীর্তনখোলা নদী।এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারো ভাঙ্গনের মুখে চরকাউয়া বাজারের অনেকটা অংশ রবিবার মধ্যরাত থেকে কীর্তন খোলা নদীতে বিলীন হয়েছে।ভাঙ্গন এখনো চলায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে মাদ্রাসা ও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, চরকাউয়া বাজারসহ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান।এখানের হোটেল ব্যবসায়ী রহিমা বেগম বলেন, রাতে দোকান পাট বন্ধ করে যখন বাড়ি ফিরবেন ঠিক সেই সময়ে চরকাউয়া বাজারে ভাঙ্গন শুরু হয়।মুদি, মনোহারি, হোটেল, রেঁস্তোরা মিলিয়ে ২৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে গেছে কীর্তনখোলা নদীতে।মালামাল রক্ষা করতে পারেনি বলে ভাঙনের কারণে অসহায় হয়ে পড়েছেন রহিমা বেগম।একই কথা জানালেন মিষ্টির দোকানী রনজিৎ সরকার।কীর্তনখোলা নদীর পানে হাত বাড়ায়ে দেখান দুটা ঘরের পরেই রয়েছে তার দোকান যা এখন কীর্তনখোলায় ভাসছে।কোন মালামাল তিনি রক্ষা করতে পারেনি।এখন কি করবেন, কোথায় যাবেন এই চিন্তায় বিভোর।কীর্তনখোলার ভাঙ্গনে হামিদিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার শ্রেণীকক্ষ নিয়ে ৪টি ভবন আজকের ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে।অন্য ভবন ঝুঁকির মধ্যে থাকায় ৭ শতাধিক শিক্ষার্থীর এই মাদ্রাসার ক্লাস বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান, মাদ্রাসার আরবি বিভাগের প্রভাষক মো. নূরুল হুদা।এখনো যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে তারা যার যার মত করে মালামাল দোকানপাঠ গাছপালা কেটে সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।এনিয়ে স্থানীয় উইনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এনামুল হক সাগর বলেন, পরিষদের মাধ্যমে গেল বছর ও ১২ লাখ টাকার কাজ করেছেন কীর্তনখোলার হাত থেকে চরকাউয়া বাজার রক্ষার জন্য।তারা অভিযোগ এই ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী কোন ব্যবস্থা পানি উন্নয়ন বোর্ড ২ বছরেও নেয়নি।এই ভাঙ্গনে ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছেএখন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভাঙ্গন মাত্র ৬ ফুট দূরত্বে রয়েছে।ভাঙ্গন চলমান থাকায় এই ভবনও যেকোন সময়ে চোখের পলকেই কীর্তনখোলা নদীতে বিলীন হবে বলে ।ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন দিনের অর্ধেক বেলা পাড় হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কেহ আসেনি।জনতার নিরাপত্তার কথা ভেবে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানালেন সাহেবের হাট বন্ধর থানার ওসি ফয়সাল আহমেদ।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন বলেন জেলা প্রশাসকের গৌরনদী উপজেলায় নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় ভাঙ্গন এলাকায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তাকে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।তবে জেলা প্রশাসকে নিয়ে তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন।এই কর্মকর্তা আরো বলেন, নদী ভাংগনের শিকার ব্যবসায়ীদের দ্রুত সহায়তার জন্য ব্যবস্থা করা হবে।