|
তার মহৎ কর্মকান্ডে নগরীর ওয়ার্ডে সাধারণ মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন
বরিশালে কমিউনিস্ট পার্টির মেয়র প্রার্থী এ্যাড. একে আজাদ
মেহনতি মানুষের লড়াকু যোদ্ধা এ্যাড. একে আজাদ। জীবন বাজী রেখে মানুষের জন্য সারাটা জীবন তিনি কাজ করতে চান, কাজ করে চলছেন। তিনি বলেন, মাটি ও মানুষের জন্য আমার রাজনীতি। তিনি গরীব,দু:খি,মেহনতি মানুষসহ সমাজের উন্নয়নে সর্বদা নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন। বরিশালের মেহনতি মানুষের আকাঙ্খার পূরণে দৃর্বার গতিতে এগিয়ে চলছেন এই রাজনীতিক। বৈষম্যহীন সাম্যের সমাজ গড়ার পথে একে আজাদ বরিশালের রাজনীতিতে এক সংগ্রামী নাম। যিনি বিশেষ করে মেহনতি মানুষের আপনজন হিসেবে বেশ পরিচিত। বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হচ্ছেন জেলা কমিউনিষ্ট পার্টির সভাপতি ও ট্টেড ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাড. এ.কে আজাদ। তিনি তার কর্মদক্ষতা,সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড এবং ব্যতিক্রমধর্মী সামাজিক কর্মকান্ডে বরিশাল নগরীর সবকটি ওয়ার্ডে নানা শ্রেনী পেশার মানুষের ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছেন। পূজিঁবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মেহনতি মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার এসব মহৎ কর্মকান্ডে নগরীর ওয়ার্ডে সাধারণ মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কমিউনিষ্ট পার্টি এবং সহযোগী সংগঠন ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, জাতীয় নারী শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র ও জেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সম্প্রতি আহুত এক সভায় একে আজাদকে মেয়র প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা কমিউনিষ্ট পার্টির সভাপতি এ্যাড. একে আজাদ মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিষয়ে বলেন, কলো টাকা, পেশী শক্তি ও দুর্নীতিবাজদের পরাস্ত করা এবং দেশবাসী তথা বরিশাল নগরবাসীর অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বরিশাল সিটিতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সংগঠন থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়টি কেন্দ্রে লিখিত আকারে পাঠানোও হয়েছে। পার্টি সূত্র বলছে, সবার জন্য বাসযোগ্য মানবিক, পরিবেশবান্ধব, যানজটমুক্ত বরিশাল গড়া, সেবার মান উন্নত করার জন্য (২৪ ঘণ্টা ৭ দিন) কল সেন্টার চালু, নারীদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জলাবদ্ধতা দূর করা, যানজট নিয়ন্ত্রণ, বাড়িভাড়া আইন বাস্তবায়ন, পাঠাগার, পার্ক-বিনোদন কেন্দ্রের ব্যবস্থা, বস্তিবাসীদের উন্নয়নে কাজ করা, পর্যাপ্ত নিরাপদ গণশৌচাগার, মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা, খাল-জলাশয় দখলদারদের উচ্ছেদ, ঐতিহাসিক স্থাপনা রক্ষা, পরিবেশবান্ধব নগর গড়ে তোলা, ছিন্নমূল মানুষের জন্য শেল্টার হোম, ডে-কেয়ার সেন্টার চালু, ই-সেবা চালু, ফরমালিন ও বিষমুক্ত খাবার নিশ্চিত, বর্জ্যসমূহ ট্রিটমেন্ট করে বিদ্যুৎ, সার ও জৈব গ্যাস উৎপাদন, আবাসিক এলাকার কারখানা বরিশালে গ্যাস সংযোগ স্থাপন, ভূমিহীনদের মধ্যে খাসজমি বন্টন, ব্যাটারিচালিত যানবাহনের লাইসেন্স প্রদান এবং গ্যাস ভিত্তিক শিল্প কলকারখানা নির্মাণ করে কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ জনকল্যানমুখী কর্মকাণ্ডে নাগরিক সেবা নিশ্চিতে কাজ করতে অঙ্গিকারাবদ্ধ মেয়র প্রার্থী এ্যাড. একে আজাদ। মূলত: নাগরিক সেবা যথাযথভাবে নিশ্চিতে দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে আসছেন ট্টেড ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাড. একে আজাদ। অর্থাৎ মানবিক সমাজ গড়া-ই যার মূল লক্ষ্য। অভিজ্ঞমহল বলছেন, আমরা চাই স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতা সম্পন্ন নগর প্রশাসন ও নগর নেতৃত্ব। অপরদিকে ছাত্র ইউনিয়ন,যুব ইউনিয়ন, সিপিবি’র বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর ভাষ্য, রাজনীতির আবর্জনা সরানোর জন্য অব্যাহত লড়াইয়ে নগরবাসীর সমর্থনে এগিয়ে য্ওায়ার প্রত্যয়ে কাজ করে চলছেন এ্যাড. একে আজাদ। তরুণ প্রজন্মের বক্তব্য : যে সমস্ত ব্যক্তিরা আমাদের প্রেরনা দায়ক, অন্যায় অবিচার এর বিরুদ্ধে লড়ার দিক্ষা পায়, যাদের অনুসরন করে আমরা সত্যে সন্ধানে উন্মোচিত হব, যাদের আদর্শ আমাদের পথ-প্রদর্শক, যারা স্বপ্ন দেখেন সুষ্ঠু সুন্দর একটি সমাজ-একটি দেশ গড়ার, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম শুধু মাত্র দেশ-মাতৃকার কল্যানের জন্য, আমরা সেই সমস্ত আলোর দিশারীদের হাতের নাগালে পেয়েও এড়িয়ে চলি। আজ তেমনই একজন আলোর দিশারী, বরিশালের মাটি ও মানুষের গর্ব, তিনি হলেন বরিশাল কমিউনিষ্ট পার্টির সংগ্রামী সভাপতি এ্যাড. একে আজাদ। যার কিছু কাজ আমাদেরকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে অনুপ্রানিত করে। “হে দুর্বার, অবিচল, গরিব-দুঃখী মেহনতি মানুষের চোখের পাতা, আমাদের অহংকার, জীবনের অঙ্গীকার, আলোর দিশারী। তোমার মেহনতি মানুষের সাম্যের সমাজ বিনিমার্ণের আদর্শই বাস্তবে রূপ পাক এই বরিশালে, এরকমই প্রত্যাশা তরুন প্রজন্মের, যারা অন্ধকার ভেদ করে আলোর পথে অবিরাম গতিতে সংগ্রাম অব্যাহত রেখে আসছেন।
আহম্মেদ জালাল (সাংবাদিক)
Post Views:
১৭১
|
|