মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল শহরে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণরোষে পড়লেন মেহেদি হাসান খোকা নামে তথা কথিত এক সাংবাদিক। বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) গভীর রাতে শহরের পলাশপুর বৌবাজার এলাকায় জনতার হাতে গণপিটুনি খেয়ে পালিয়ে রক্ষা পেয়েছেন। এই মেহেদি হাসান খোকা বরিশাল থেকে প্রকাশিত ‘বরিশালক্রাইম’ নামে একটি ভুইফোঁড় পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক পরিচয় দিয়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করে আসছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাপ্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, নিরাপরাধ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও মাদকসম্পৃক্তার অভিযোগ তুলে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন তিনি। এমনকি তিনি পুলিশের তালিকা থেকে মাদক ব্যবসায়িদের নাম আড়াল করতে কারও কারও কাছ থেকে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে একই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফের চাঁদাবাজি করতে গেলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে একচোট দেয়। তখন তিনি বরিশালক্রাইম পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক পরিচয় দিলে সংক্ষুব্ধ জনতা গণপিটুনি দেয়। একপর্যায়ে তিনি দৌড়ে রক্ষা পান। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট কাউনিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে। ওই এলাকার ইশাত, শামিম ও বাপ্পি অভিযোগ করেছেন, মেহেদি হাসান খোকা পেশায় একজন অটোরিকশা শ্রমিক। কিন্তু তিনি নিজেকে একটি ভুইফোড় পত্রিকার পরিচয় দিয়ে স্থানীয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিনিয়ত চাঁদা তোলেন। পাশাপাশি তিনি বৌবাজার এলাকার দোকানগুলো থেকে বাকি খেয়ে টাকা দিচ্ছিলেন না। এই ঘটনায় তার ওপর স্থানীয় দোকানিরা ছিলেন ক্ষুব্ধ। ওই এলাকার নারী দোকানি সূর্য বেগম অভিযোগ করে বলেন, তার দোকান থেকে মাসব্যাপি বাকি খেয়ে টাকা পরিশোধ করেনি। সেই টাকা চাইতে গেলে উল্টো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখান তিনি। মূলত: সেই ক্ষোভ থেকেই জনরোষের শিকার হন মেহেদি হাসান খোকা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, খবর পেয়ে টিম নিয়ে যাওয়ার আগেই মেহেদি হাসান খোকা পালিয়ে যান। তবে স্থানীয়দের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়েছেন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে তিনি গণরোষে পড়েন। এই ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান এসআই। উল্লেখ্য, এই ঘটনার তিনদিন আগে বরিশালক্রাইম পত্রিকাটির সম্পাদক শাহ আলম চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণপিটুনি খেয়েছেন। সেই ঘটনার রেস কাটতে না কাটতেই এবার পিটুনি খেলেন একই পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক।