Current Bangladesh Time
মঙ্গলবার জুলাই ১, ২০২৫ ৪:২৫ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বরিশালে ঋণ পরিশোধে কিডনি বিক্রির প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় সাইফুল্লাহ নবীন 
Sunday June 27, 2021 , 6:40 pm
Print this E-mail this

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে তার উপার্জনের সব পথ বন্ধ, বই বিক্রি শূন্যের কোটায়

বরিশালে ঋণ পরিশোধে কিডনি বিক্রির প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় সাইফুল্লাহ নবীন


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : করোনার সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে অন্যদের মতো উপার্জনের সব পথ হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প লেখক, শিশু সাহিত্যিক ও চিত্রশিল্পী সাইফুল্লাহ নবীনের। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। জড়িয়ে পড়েছেন ঋণে। এখন দিশেহারা হয়ে শেষ পর্যন্ত কিডনি বেচার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই লেখক। রোববার (২৭ জুন) দুপুর ১২ টার দিকে বরিশাল নগরীর টাউন হলের সামনে সদর রোডে কিডনি বিক্রির প্ল্যাকার্ড হাতে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলেন সাইফুল্লাহ নবীন। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘করোনা! দুই বছরের কাছাকাছি, অসহায় মানুষ, অসহায় আমি। কাজ নেই, কর্ম নেই। ৩ লাখ টাকা ঋণী। ঋণ পরিশোধ করতে কিডনি বিক্রি, রক্তের গ্রুপ বি পজিটিভ’।সাইফুল্লাহ নবীনের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার চরহোগলা গ্রামে। গল্প লেখার পাশাপাশি ঢাকায় বাংলা একাডেমির একুশের বইমেলায় বর্ণমালা শিল্প ও স্টল সাজসজ্জার কাজ করতেন তিনি। তার প্রকাশিত ৪৯টি বই বাজারে রয়েছে। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ১০টি, শিশুতোষ গল্পের বই ২১টি, উপন্যাস ১৪টি এবং শিশুদের ছবি আাঁকারে বই রয়েছে চারটি। সাইফুল্লাহ নবীন জানান, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে তার উপার্জনের সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে। বই বিক্রি শূন্যের কোটায়। সাইনবোর্ড বা ছবি আঁকার কাজও নেই। বই লেখার সম্মানির টাকাও দিচ্ছেন না প্রকাশকরা। প্রায় দুই বছর ধরে এ অবস্থা চলছে। আর্থিক সঙ্কটের কারণে জমি বন্ধক রেখে এবং আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা ধারদেনা করে এতো দিন সংসার চলেছে। কিন্তু এখন তিনি নিরূপায়। লেখক সাইফুল্লাহ নবীনের একার উপার্জনে পাঁচ সদস্যের সংসার চলে। দুই ছেলে ও এক মেয়ে পড়ালেখা করেন। বড় ছেলে বিএসসিতে, একমাত্র মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে এবং ছোট ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। সাইফুল্লাহ নবীন বলেন, দুই বছর ধরে সংসারে শুধু অভাব-অনটন। এতো দিন সব সময় হাসিমুখে থাকতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু আর পারলাম না। মনোবল ভেঙে যাচ্ছিল। এখন তো কোনো কুলকিনারা পাচ্ছি না। একে তো ছেলেমেয়ের দু’বেলা খাবার জোটানো নিয়ে চিন্তা, সঙ্গে যোগ হয়েছে পাওনাদারদের টাকার দুশ্চিন্তা। সব মিলিয়ে জীবনটা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। দিশেহারা হয়েই তিনি শেষ পর্যন্ত একটি কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান।




Archives
Image
সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি
Image
আবু সাঈদ হত্যা, ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
Image
এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহিরাকে চেতনানাশক দিয়ে অজ্ঞান করেন এক নারী
Image
বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, হেলপারসহ নিহত ২
Image
অতিরিক্ত মদ্যপানে কুয়াকাটায় পর্যটকের মৃত্যু