|
বিপুল পরিমান অনুমোদনহীন ও অবৈধ ঔষুধ জব্দ
বরিশালে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যালস-এ র্যাবের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড-এ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান অনুমোদনহীন ও অবৈধ ঔষুধ জব্দ করেছে র্যাব-৮। গতকাল (০৫-১২-১৭) মঙ্গলবার দুপুর ২টায় থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে র্যাবের এই শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান। র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক রাকিবুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে বিক্রয় নিষিদ্ধ ঔষুধ তৈরি ও বিক্রি করছে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যালস। মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৮ আইটেমের বিপুল পরিমান অনুমোদনহীন ঔষুধ জব্দ করা হয়। আটটির মধ্যে ২ টি আইটেম অবৈধ ও ৬ টি অনুমোদনহীন। র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, নগরীর বিএম কলেজ রোড বৌদ্যপাড়া এলাকার কোম্পানীর দ্বিতীয় তলায় এ আট আইটেমের বিপুল পরিমান ঔষুধ রয়েছে। কি পরিমান এবং কত টাকার বিক্রয় নিষিদ্ধ ও অবৈধ ঔষুধ রয়েছে তা পরে জানা যাবে। তবে গতকাল রাত ১২ টায় অভিযান স্থগিত রাখা হয়েছে। আগামীকাল (০৬-১২-১৭) সকালে ফের অভিযান চালানো হবে। তিনি জানান, রাতে ঔষুধ কারখানাটি সিলগালা করে রাখা হবে। সারারাত প্রতিষ্ঠানটি র্যাবের তত্ত্বাবধানে থাকবে বলে জানান তিনি। এ ধরনের অবৈধ ঔষুধ নগরীর আরও কয়েকটি কোম্পানীতে উৎপাদন করা হচ্ছে ইন্দো-বাংলা কোম্পানীর এমন দাবীর বিষয়ে এ র্যাব কর্মকর্তার কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, র্যাব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এমন অভিযান চালিয়ে থাকে। আরও কোন কোম্পানী হয়ে থাকলে সেখানেও অভিযান চলবে। র্যাবের এ কর্মকর্তা কোম্পানীর বিক্রয় খাতা দেখিয়ে বলেন, ইন্দো-বাংলা বিক্রয় নিষিদ্ধ ও অবৈধ বিপুল পরিমান ঔষুধ বাজারজাত করেছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ গুলো বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে। অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রিপন বিশ্বাস জানান, অভিযান শেষ হলে অপরাধের ধরণ দেখে বলা যাবে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা দেয়া হবে নাকি নিয়মিত মামলা করা হবে। অভিযানে উপস্থিত ড্রাগ সুপার তানভীর আহম্মেদসহ র্যাবের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ। ড্রাগ সুপার তানভীর আহম্মেদ বলেন, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যালস এর অনেক পণ্য অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরেও তারা অবাধে ঔষুধগুলো উৎপাদন ও বিক্রি করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের সহযোগীতা নিয়ে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের প্রাথমিক পর্যায়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। সাংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইতি পূর্বে যদি কোন ঔষুধ তারা বিক্রি করে থাকে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। জব্দকৃত ঔষুধের মধ্যে মেট্রল, ইন্দোমল প্লাস, নিওর্স্টিন আর, ইন্দোপ্রোক্স মিক্স, রেনিটিডিন, রিবোফ্লাভিন সহ ৬ অনুমেদনহীন ও ২টি নিষিদ্ধ ঔষুধ জব্দের তালিকায় রয়েছে। ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যালস লিঃ’র ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এফ এম আনোয়ারুল হক দাবী করেছেন জব্দকৃত অনুমোদনহীন ঔষুধগুলো অনুমোদন করার জন্য সরকারি কোষাগারে অর্থ জমা দেয়া হয়েছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এখনও অনুমোদন পাওয়া যায়নি। তবে তিনি এসব ঔষুধের অনুমোদন পাবেন বলে দাবী করেছেন। তবে জব্দকৃত অবৈধ ঔষুধ এর বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
Post Views:
১৪৪
|
|