Current Bangladesh Time
রবিবার জুলাই ৬, ২০২৫ ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বরিশালে ইউপি সদস্য হেমায়েত মৃধার পরকিয়ায় এলাকায় তোলপাড় 
Wednesday September 5, 2018 , 7:59 pm
Print this E-mail this

একজন ইউপি সদস্যের এহেনো কর্মকান্ডে এলাকাবাসীর মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি

বরিশালে ইউপি সদস্য হেমায়েত মৃধার পরকিয়ায় এলাকায় তোলপাড়


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশালের বাকেরগঞ্জে এক ইউপি সদস্যের পরকিয়া প্রেম নিয়ে এলাকায় তোলপার শুরু হয়েছে। তিনি উপজেলার ১২নং রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। এ ঘটনায় স্বামী রফিকুল ইসলাম মৃধা ২ সেপ্টেম্বর (রবিবার) হেমায়েত মৃধা (৫০) ও তার স্ত্রী লাকী বেগম (৩০) কে আসামী করে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানায়, উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের ফলাঘর গ্রামের কালিগঞ্জ বাজারস্থ রফিকুল ইসলাম মৃধা’র সাথে নিয়ামতি ইউনিয়নের কাফিলা গ্রামের হাকিম হাওলাদার মেয়ে লাকী বেগমের প্রায় ১০ বছর আগে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। তাদের ঘরে তামিম (৯) নামের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। লাকী বেগমের চেহারা সুন্দর বিধায় ইউপি সদস্য হেমায়েত মৃধার নজরে পরেন তিনি। একপর্যায় হেমায়েত মৃধা ও লাকী বেগম অবৈধ পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পরেন। বিষয়টি তার স্বামী রফিকুল জানতে পেরে হেমায়েত মৃধাকে নিষেধ করলে বেশ কয়েকবার মারধরসহ নানা হুমকির মুখে পরেন তিনি। ফলে রফিকুল তার স্ত্রীকে নগদ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে আপোষ তালাকের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে বাধ্য হন। কিছুদিন যেতে না যেতে লাকী বেগম তার ভুল বুঝতে পেরেছে এবং ভবিষ্যতে হেমায়েত মৃধার সাথে আর পরকিয়া সম্পর্ক রাখবে মর্মে অঙ্গীকার করলে পুত্র সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে রফিকুল পুনরায় লাকী বেগমকে বিয়ে করেন। কিন্তু হেমায়েত মৃধা লাকী বেগমের সাথে পুনরায় অবৈধ পরকিয়া সম্পর্কের সৃষ্টি করেন। একপর্যায় হেমায়েত মৃধার ইন্ধনে গত ৩১ আগস্ট (শুক্রবার) লাকী বেগম সকাল ৮ টার দিকে ঘরে বসে তার স্বামী রফিকুলকে দা দিয়ে কোপানের জন্য উদ্যত হলে ঘরের অন্যান্য সদস্যরা এসে তার প্রাণ বাঁচান। রফিকুল বাধ্য হয়ে পুনরায় তার সংসার রক্ষার্থে ইউপি সদস্যের কাছে গেলে তিনি তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে বলেন, পূণরায় এ ব্যাপারে তার কাছে আসলে বা কাউকে জানালে তোকে প্রাণে মেরে ফেলব। এব্যাপারে স্বামী রফিকুল ইসলাম বলেন, হেমায়েত মৃধা এলাকার দুর্ধষ সন্ত্রাসী ও ডাকাতের লিডার। তার বাপ চাচারা পাক হানাদার বাহিনীর দোসর ও রাজাকার ছিল। বাকেরগঞ্জ থানা ক্যাপচারের পর মুক্তি বাহিনীর হাতে ধৃত ও নিহত হয়েছে। বর্তমানে হেমায়েত মৃধা ক্ষমতাসীন দলের ছত্র-ছায়ায় বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তার ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। থানায় অভিযোগ দেয়ার পরে আমি নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি। হেমায়েত মৃধা আমার স্ত্রী সন্তানকে গুম করে আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর পায়তারা চালাচ্ছে। একজন ইউপি সদস্যের এহেনো কর্মকান্ডে এলাকাবাসীর মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।




Archives
Image
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সহ ১৯ কর্মকর্তাকে দুদকের তলব
Image
প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি : নাহিদ
Image
বরিশালে পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শনে আইজিপি
Image
সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারানো সাগরের পাশে বরিশাল জেলা প্রশাসক
Image
মূলধারার গণমাধ্যমও ভুয়া তথ্যের ‍উৎস : প্রধান উপদেষ্টা