এ ঘটনায় ৪ ইটভাটা মালিককে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে
বরিশালে আকার কমিয়ে এবার ইট প্রস্তুতে দুর্নীতি !
স্টাফ রিপোর্টার : আকার কমিয়ে এবার ইট প্রস্তুতেও দুর্নীতি ধরা পড়েছে বরিশালে। ইট নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে ভয়ংকর প্রতারনা করছেন এ অঞ্চলের ইটভাটা ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা প্রতি হাজার ইটে কমপক্ষে ১৪২ পিস ইট কম পাচ্ছেন। ইটের পরিমাপ ছোট করে ক্রেতাদের এভাবে ঠকাচ্ছেন ইটভাটা ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের একটি দল বরিশালের ৪টি ইটভাটা সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে ব্যবসায়ীদের এ প্রতারনার বিষয়টি ধরা পড়ে। এ ঘটনায় ৪ ইটভাটা মালিককে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। ওই ইটভাটাগুলো হচ্ছে বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর এলাকার সুপার ব্রিকস এবং একই উপজেলার দোয়ারিকা এলাকার বেস্ট ব্রিকস, স্টার ব্রিকস ও হাইতি ব্রিকস। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর বরিশালের সহকারী পরিচালক সুমি রাণী মিত্র বলেন, আইন অনুযায়ী প্রতি পিস ইট হবে লম্বা ২৪ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ১১ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার এবং উচ্চতা ৭ সেন্টিমিটার। সম্প্রতি বাবুগঞ্চের ৪টি ইটভাটায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই ৪টি ইটভাটার প্রতিটি ইট দৈঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতায় কমপক্ষে ১ সেন্টিমিটার করে কম। আকৃতি কম হওয়ায় একজন ক্রেতা প্রতি হাজারে ১৪২ পিসের সমপরিমান ইট কম পাচ্ছেন। ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সদস্য মৎস্য কর্মকর্তা (হিলশা) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ইটের বর্তমান বাজার দর হলো প্রতি হাজার ৯ হাজার টাকা। সে হিসাবে ১৪২ পিস ইটের দাম ১২৭৮ টাকা। অর্থাৎ একজন ক্রেতা প্রতি হাজার ইটে প্রায় ১৩০০ টাকা। তিনি বলেন, ইটভাটা ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের ঠকিয়ে যে পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন, সে অনুপাতে তাদের জরিমানার পরিমান খুব কম।