|
‘উড়ে এসে জুড়ে বসা মনোনায়ন প্রত্যাশীদের’ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ
বরিশালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৭ জন
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল সদর আসনে সংসদ সদস্য পদে ‘উড়ে এসে জুড়ে বসা মনোনায়ন প্রত্যাশীদের’ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সদর আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। পোষ্টার লাগানো, বিলবোর্ড টাঙানো থেকে শুরু করে পত্র-পত্রিকায় শুভেচ্ছা জানিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া এসব নেতাদের ‘আগন্তুক’ বলেও আখ্যা দিচ্ছেন স্থানীয় অনেক নেতা-কর্মী। অল্প সময়ের মধ্যেই নিজস্ব অর্থায়নে কাঙালি ভোজ, রাস্তা মেরামত, গরিবদের আর্থিক সহায়তা দেওয়াসহ বেশ কিছু কাজের মধ্য দিয়ে আরেফিন মোল্লা এবং সালাউদ্দিন রিপন নামের এই দুই ‘আগন্তুক’ আলোচনায় চলে এসেছেন। সংশ্লিষ্ট দুইজন ছাড়াও বরিশাল সদর-৫ আসনে এবার মনোনায়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন বর্তমান এমপি জেবুন্নেছা আফরোজ, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম এবং বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইদুর রহমান রিন্টু। সাংসদ জেবুন্নেছা আফরোজ বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় আওয়ামী লীগ থেকে মনোনায়ন চাইবেন। সদর আসন থেকে একাধিক প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাশা এবং আরেফিন মোল্লা এবং সালাউদ্দিন রিপনের প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামীলীগ একটি রাজনৈতিক দল। এটি কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি না। যে কেউ মনোনায়ন চাইতেই পারে। এদের কারো সাথে আমার পরিচয় নেই। তবে শুনেছি এরাও মনোনয়ন প্রত্যাশী। রাজনীতিতে এদের কোনও অবদান কিংবা অংশগ্রহণ আছে বলে আমার জানা নেই। তবে এদের গায়ে মুজিব কোট থাকাটা সত্যিই দুঃখজনক।’ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এসব নেতাদের অনুদান দল কেন নিচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ‘দল তার একার কথায় চলে না’ উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, যে কেউ যে কোন কর্মসূচিতে, কাঙালি ভোজ বা দোয়া মাহফিলের জন্য অনুদান দিতেই পারে। তার সঙ্গে দলীয় মনোনায়নের কোনও সর্ম্পক থাকতে পারে না। কর্নেল জাহিদ ফারুক শামিম সদ্য সমাপ্ত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন। অসমর্থিত সূত্র থেকে জানা গেছে, সংসদ নির্বাচনে তাকে মনোনায়ন দেওয়া হবে এমন শর্তে সে সময় কর্নেল জাহিদ ফারুক শামিমকে মনোনায়ন দেয়নি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, তিনি সব সময় আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছেন এবং সবসময় বরিশালের জনগণের পাশে থাকেন। যদি ‘দক্ষিণাঞ্চলের অভিভাবক’ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ চান তবে তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনায়ন চাইবেন। হঠাৎ আবির্ভূত মনোনায়ন প্রত্যাশীদের বিষয়ে তিনি কোনও ‘নেগেটিভ’ কথা বলবেন না উল্লেখ করে মন্তব্য করেছেন, অর্থ দিয়ে রাজনীতি হয় না। যারা মনোনায়ন চান, তাদের সাথে তৃনমূল নেতা-কর্মীদের কতটুকু যোগাযোগ আছে তা ভেবে দেখতে হবে। অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তিনি ওতোপ্রতভাবে জড়িত। দল যদি চায় তবে তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনে বরিশাল সদর আসন থেকে প্রার্থী হবেন। বিগত সময়ে বরিশালের রাজনীতিতে তাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি করে আগন্তুক দুই নেতার বিষয়ে তার ভাষ্য, ‘এই দুই নেতার গায়ে মুজিব কোট দেখে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছি।’ মনোনয়ন প্রত্যাশী আরেফিন মোল্লা বলেছেন, বরিশালে কোন পদে না থাকলেও তিনি আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য। ‘জম্ম সূত্রে আওয়ামী পরিবারের সন্তান’ দাবী করে তিনি বলেন, তার বাবা ও মা ছিলেন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। আজ পর্যন্ত বরিশালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে যারা সংসদ সদস্য হয়েছেন তারা কেউ জম্ম সূত্রে বরিশালের সন্তান নন বলেও দাবি করেন তিনি। মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম ও কর্নেল জাহিদ ফারুক শামিম ও সালাউদ্দিন রিপনকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি বলে তাদের কোন মতামত প্রকাশ করা গেল না।
Post Views:
১,২২৭
|
|