প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » বরিশালের স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও সাইক্লোন সেল্টার বিলীনের পথে
Saturday October 21, 2017 , 11:35 am
নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে সরকারী তহসিল অফিস,কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বসত ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
বরিশালের স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও সাইক্লোন সেল্টার বিলীনের পথে
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : রাক্ষুসী নদীর ভয়াল গ্রামে চরম হুমকির মুখে পরেছে জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের লক্ষ্মীপাশা বাজার সংলগ্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং উদ্বোধণের অপেক্ষায় থাকা মেহেন্দীগঞ্জের শ্রীপুর বাজার সংলগ্ন এক কোটি সত্তর হাজার টাকা ব্যয়ে সদ্যনির্মিত বাহেরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টার ভবনটি।উভয় প্রতিষ্ঠান নদী থেকে পাঁচ থেকে সাত হাত দুরত্বে রয়েছে।বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম তালুকদার বাদল জানান,নদীর ভাঙনে ইতোমধ্যে কয়েকশ’একর ফসলী জমি এবং কবাই ইউনিয়ন বাজারসহ বসত ঘরবাড়ি রাক্ষুসী কারখানা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।স্থানীয় এলাকাবাসী ঘরবাড়ি হারিয়ে এখন রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছেন।লক্ষ্মীপাশা বাজার সংলগ্ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি বর্তমানে নদীর ভাঙন গ্রাসে বিলীন হতে চলেছে।চেয়ারম্যান আরও জানান,স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে অবহিত করা সত্বেও কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে সরকারের সম্পদ বিলুপ্ত হওয়ার উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে।আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই ভবনটি সরিয়ে নেয়া না হলে,নদীর ভাঙনে পুরো ভবনটি বিলীন হয়ে যাবে।এছাড়া নদী ভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে ওই ইউনিয়নের লক্ষ্মীপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়।অপরদিকে জেলার একমাত্র দ্বীপ উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জের শ্রীপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় উদ্বোধণের অপেক্ষায় থাকা এক কোটি সত্তর হাজার টাকা ব্যয়ে সদ্য নির্মিত বাহেরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টার ভবনটি কালাবদর নদীর কড়াল গ্রাসের চরম হুমকির মুখে রয়েছে।নদীর খুবই কাছাকাছি থাকা সরকারী এ ভবনটি উদ্বোধনের আগেই যেকোন সময় নদী গর্ভে বিলিন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদ মোল্লা জানান,রাক্ষুসী তেঁতুলিয়া ও কালাবদর নদীর ভাঙনের মুখে চরম হুমকির মুখে রয়েছে শ্রীপুর বাজার,বাহেরচর শ্রীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,শ্রীপুর জামে মসজিদ ও বাহেরচর কওমী মাদ্রাসা।ইতোমধ্যে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে সরকারী তহসিল অফিস,কমিউনিটি ক্লিনিকসহ দুই শতাধিক বসত ঘর ও তিন শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।বসত ভিটা হারিয়ে বিভিন্নস্থানে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েকশ’পরিবারের সদস্যরা।এরা সরকারীভাবে কোন ত্রাণ কিংবা সাহায্য চায়না এরা চায় নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করাসহ মাথা গোঁজার জন্য একটু জমি। চেয়ারম্যান আরও জানান,অতিসম্প্রতি শ্রীপুর নদী ভাঙ্গন রক্ষা কমিটির ব্যানারে একাধীক নারী-পুরুষ নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে নদীর পাড়ের কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন।নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে ভূক্তভোগীরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।