Current Bangladesh Time
শুক্রবার অক্টোবর ৪, ২০২৪ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বরিশালের স্বরূপকাঠির জাহাজ নির্মাণ শিল্পে অপার সম্ভাবনা 
Tuesday October 3, 2017 , 1:29 pm
Print this E-mail this

কৃষি উৎপাদনের অর্থনৈতিক ভিতও এই স্বরূপকাঠি

বরিশালের স্বরূপকাঠির জাহাজ নির্মাণ শিল্পে অপার সম্ভাবনা


এইচ.এম. দেলোয়ার হোসেন : বরিশালের পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি এলাকাটি জেলার প্রধানতম শিল্পসমৃদ্ধ এলাকা বলে খ্যাত।এখানে জাহাজ নির্মাণ শিল্প,ছোবড়া শিল্প,কাঠ শিল্প,নার্সারি শিল্প, কামার শিল্প,মৃৎ শিল্প,ক্রিকেট ব্যাট শিল্পের সাথে উপজেলার হাজার হাজার লোক জড়িত।শুধু এলাকার লোকই নন এসব শিল্পকে কেন্দ্র করে উপজেলার বাইরের বিভিন্ন এলাকারও বহু লোকের এখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।পিরোজপুর জেলা নদীমাতৃক হওয়ায় বাহন হিসেবে এক কালে এসব অঞ্চলে কাঠের তৈরি নৌকা ও ট্রলারের প্রচলন থাকলেও এখন ষ্টিলের তৈরি লঞ্চ,ট্রলার ও কার্গোর প্রচলন বৃদ্ধি পেয়েছে।আর তাই এসব নৌযান তৈরির লক্ষে উপজেলার স্বরূপকাঠি সদর, সুটিয়াকাঠি,তারাবুনিয়া,কালীবাড়ী, বরছাকাঠি, ডুবিরহাট ও বালিহারিতে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ২৫ টি ডকইয়ার্ড গড়ে উঠেছে।নানা প্রতিকূলতা সত্বেও সম্পূর্ণ বেসরকারিভাবে গড়ে ওঠা এসকল ডকইয়ার্ডে বিভিন্ন পেশায় প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক কর্মরত আছেন।শুধু ডকইয়ার্ডেই নয় এ শিল্পকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ,হার্ডওয়ার,রং ও মেশিনারী দোকান গড়ে ওঠেছে।সেখানেও বহু শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।প্রথমে ছোট ছোট নৌযান তৈরি ও মেরামত করা হলেও বর্তমানে বড় বড় নৌযানও তৈরি হচ্ছে এই ডর্কইয়ার্ডগুলোতে।এমনকি বর্তমানে এখান থেকে তৈরিকৃত কার্গো ঢাকা ও এর পাশ্ববর্তী কয়েকটি এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে।জাহাজ নির্মাণের এ শিল্পের প্রসারতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকারের আরো আন্তরিক হওয়া বিশেষ করে সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করা,যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন লক্ষে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যেক্তাদের আরো উদ্ধুদ্ধ করার জন্য ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করতে পারলে উদ্যোক্তারা যেমন এখানে শিল্প ও কলকারখানা স্থাপনের মাধ্যমে এলাকায় হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।আর এর মাধ্যমে খুলে যেতে পারে অর্থনীতির অপার সম্ভাবনা।স্বরূপকাঠির এককালে কৃষি উৎপাদনের মধ্য দিয়ে এলাকার অর্থনৈতিক ভিত স্থাপিত হলেও পরবর্তী সময়ে শিক্ষা, রাজনীতি, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক প্রেক্ষিত বিবেচনায় স্থানটি দেশের একটি উল্লেখযোগ্য এলাকা হিসেবে দেশজুড়ে পরিচিতি লাভ করে।স্বরূপকাঠি এক বিখ্যাত জনপদে পরিণত হতে থাকে।আজ বরিশাল থেকে মাত্র এক ঘণ্টা পনের মিনিট বাসে চড়ে পৌঁছা যায় রূপকাঠি বন্দরে।বরিশাল থেকে এখন প্রতি ঘণ্টায় উন্নতমানের বাস সরাসরি যায় স্বরূপকাঠিতে।প্রায় সতের কিলোমিটার পিচঢালা রাস্তা, ছোটখাটো ব্রিজ-কালভার্ট পেরুতে গাড়ি এগিয়ে চলে দ্রুতবেগে।সেখান থেকে ট্রলারে চড়ে যাওয়া যায় উপজেলার প্রতিটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে।যন্ত্রই আজ নিয়ন্ত্রণ করে নদীপথের যাতায়াত ব্যবস্থা।অথচ পঞ্চাশ-ষাট দশকে বরিশাল থেকে মাঝির নৌকায় চড়ে নদী-খাল পেরিয়ে যেতে হতো স্বরূপকাঠি।সময় লেগে যেত সাত-আট ঘণ্টা।এরপর লঞ্চ সার্ভিস শুরু হলেও প্রায় পাঁচ-ছয় ঘণ্টা লাগত অনেক পথ ঘুরে যেতে হতো বলে।টইটম্বুর সন্ধ্যার ঢেউ,খালে জলের নাচন নৌকার গায়ে বারবার আছড়ে পড়ত।নৌকা ইন্দেরহাট খালে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে দুই পাশের অসংখ্য করাতকলের একটানা শব্দে কানে তালা লেগে যেত।ধীরে ধীরে সবকিছু পাল্টে যেতে থাকে।গ্রামগঞ্জের চেহারা দেখলে অবাক হতে হয়।সন্ধ্যা নদীর খালমুখ ধরে এগোতেই চোখে পড়ে বিশাল ব্রিজ,যা খালের দু’পাড়ে গড়ে ওঠা প্রসিদ্ধ ইন্দেরহাট ও মিয়ারহাটকে একসূত্রে গেঁথেছে।মিয়ারহাটের পাড়ে রয়েছে স্বরূপকাঠি সরকারি কলেজ।সেখানে আজ শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক।অনার্স খোলা হয়েছে বেশ কতগুলো বিষয়ে।উপজেলা স্বরূপকাঠির পাড়ে রয়েছে বেসরকারি শহীদ-স্মৃতি মহাবিদ্যালয়।ইন্দেরহাট খাল ধরে আরেকটু যেতে দেখা যায় বহুদিনের বিখ্যাত সুটিয়াকাঠি হাই স্কুল।সুটিয়াকাঠির গার্লস হাই স্কুলটিও দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।এছাড়া বৃহত্তর স্বরূপকাঠি উপজেলায় স্কুলের অভাব নেই।ছেলেমেয়েরা বেশির ভাগই লেখাপড়া করে স্কুল কিংবা কলেজে। গ্রামগঞ্জজুড়ে রিকশা, অটোরিকশা আর মোটরসাইকেলের দাপট।আজ এসব চলে স্বরূপকাঠি,ইন্দেরহাটের প্রত্যন্ত গ্রামের রাস্তায়।কী নেই এ অঞ্চলে!ছোটখাটো গ্রামেও রয়েছে অনেক উন্নতমানের দোকানপাট।সেখানে নানা পণ্যে দোকান ঠাসা।পল্লীবিদ্যুতের কল্যাণে রয়েছে ফ্রিজভর্তি কোমল পানীয়।ইন্দেরহাট বিশাল বাজারটি দীর্ঘদিনের পুরনো।রাস্তার দু’ধারে সারিবদ্ধ দোকানপাট।দেশি-বিদেশি উন্নতমানের পণ্যের পসরা।সপ্তাহে দু’দিন হাট বসে ইন্দেরহাটে।গ্রাম-গ্রামান্তরের মানুষের বয়ে আনা নানা পণ্যে ভরে যায় বিশাল হাট এলাকায় মানুষের ভিড়।এ অঞ্চলের মানুষের বড় ধরনের বাজার-সদাই করতে বরিশাল বা ঢাকা যেতে হয় না।শুধু ব্যবসা-বাণিজ্যের খাতিরে তিন-চারটি বৃহদাকার তেতলা লঞ্চ নিয়মিত ইন্দেরহাট-ঢাকা-ইন্দেরহাট রুটে যাতায়াত করে।গ্রামীণ অর্থনীতি যে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে স্বরূপকাঠি উপজেলাকে দেখলে তা সহজে ধরা পড়ে।স্বরূপকাঠি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় শিক্ষার প্রসার, সফল ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পেছনে উন্নত নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থা বরাবরই বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছে।দীর্ঘকাল ধরে স্বরূপকাঠি-ইন্দেরহাটের বিশাল জনগোষ্ঠী সুন্দরবন,ভাওয়ালগড়,পার্বত্য চট্টগ্রাম ও বার্মার আহরিত সুন্দরী,গরান,সেগুন,গামারি কাঠ ও গোলপাতার ব্যবসা করে এলাকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন লাভে সক্ষম হয়।পাশাপাশি ইন্দেরহাটের নারকেলের ছোবড়া নির্ভর কুটির শিল্প অতি প্রাচীন।গ্রামের বেশির ভাগ মানুষই নারকেলের ছোবড়া দিয়ে দড়ি,ব্রাশ,পাপোশ বানানোর কাজে নিয়োজিত ছিল।নারকেলের ছোবড়া দিয়ে তৈরি কুটির শিল্পের ওপর ভিত্তি করে এখানে গড়ে উঠেছিল শিল্পনগরী।আজও ইন্দেরহাটের বিশাল এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে নারকেলের ছোবড়ার কুটির শিল্পভিত্তিক প্রতিষ্ঠান।এসব শিল্পপণ্য দেশের বিভিন্ন অংশে চালান দেওয়া হয়।কিছু কিছু পণ্য রফতানি হয় বিদেশেও।পরিবেশজনিত কারণে সুন্দরবনের কাঠ কাটা নিষিদ্ধ হলে এ অঞ্চলে কাঠ ব্যবসায় কিছুটা ভাটা পড়ে।তারপরও এলাকার পরিশ্রমী লোকজন বসে থাকেনি।স্থানীয়ভাবে আহরিত নানা জাতের কাঠের ওপর ভিত্তি করে আজও টিকে আছে স্বরূপকাঠি এলাকার বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাঠ ব্যবসা।সন্ধ্যা নদী এবং এর আশেপাশের খালের দু’পাড় জুড়ে বিস্তৃত কৌরিখাড়া, সুটিয়াকাঠি,বালিহারি,বলদিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামে এখনও নিয়মিত বসে কাঠের বিশাল বাজার।কাঠ চেরাইয়ের জন্য প্রতিষ্ঠিত অসংখ্য স’মিল দিনরাত আওয়াজ তোলে।সারাবছর ধরে ব্যবসায়ীরা এখান থেকে উন্নতমানের কাঠ নৌকা,ট্রলার বা কার্গো বোঝাই করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে যায়।সম্প্রতি নার্সারি ব্যবসায়ে স্বরূপকাঠি সৃষ্টি করেছে যুগান্তকারী অধ্যায়।স্বরূপকাঠি, ইন্দেরহাট এবং তত্সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামের বিশাল এলাকা জুড়ে বর্তমানে বিভিন্ন জাতের বনজ,ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা ও কলম তৈরি করা হচ্ছে।এসব চারা ও কলম বৃহত্তর বরিশাল তথা দেশের বিভিন্ন অংশে চালান দেওয়া হয়।দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত বৃক্ষমেলাগুলোতে স্বরূপকাঠির নার্সারির গাছগাছালির চাহিদা বেশি।ইন্দেরহাটের প্রত্যন্ত অঞ্চল ডুবি,বিশারকান্দিতে শুরু হয়েছে ভাসমান সবজি চাষের নতুন প্রযুক্তি।খালে জমে থাকা কচুরিপানার স্তূপে মাটি ফেলে তার ওপর চাষ করা হয় নানা ধরনের শাকসবজি।এ ধরনের ব্যবসায় সাফল্যে অনেকের ভাগ্যে পরিবর্তন এনে দিয়েছে।স্বরূপকাঠি-ইন্দেরহাট এলাকার নারকেল,কলা,পেয়ারা,আমড়াসহ নানা জাতের ফলমূল নৌপথে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয় দীর্ঘকাল ধরে।ইন্দেরহাট সন্নিকটে আটঘর-কুড়িয়ানার পেয়ারার প্রসিদ্ধি দেশজুড়ে।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এ অঞ্চলের জনগণের ভূমিকা গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস হয়ে আছে।স্বরূপকাঠির আটঘর-কুড়িয়ানাসহ বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের অভূতপূর্ব সাফল্য আজও মানুষের হূদয় আন্দোলিত করে।আজকাল স্বরূপকাঠি এবং ইন্দেরহাটে তৈরি কাঠের ক্রিকেট ব্যাট এবং অন্যান্য খেলার উপকরণ নিয়মিত সরবরাহ করা হয় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অংশে।স্বরূপকাঠি,ইন্দেরহাটে বর্তমানে গড়ে উঠেছে নৌযান নির্মাণ শিল্প এবং তা অল্প সময়ের মধ্যে তা সমৃদ্ধি লাভ করেছে।আজ স্বরূপকাঠি ও ইন্দেরহাটে বৃহদাকার লঞ্চ ও কার্গো নির্মিত হচ্ছে।ইন্দেরহাট খালের দু’পাড়ে যেন তিল ধরার জায়গা নেই। এ শিল্প ছড়িয়ে পড়েছে ইন্দেরহাটের খালমুখ ধরে বলদিয়া, ডুবি পর্যন্ত।শ্রমজীবী মানুষের পদভারে মুখরিত পুরো খালপাড়সহ ইন্দেরহাট সংলগ্ন বিশাল এলাকা।দিনরাত সেখানে চলছে ওয়েল্ডিয়ের কাজ।দেখলে মনে হয় বিশাল এক ডকইয়ার্ড।এ যেন ঢাকার বুড়িগঙ্গা তীরের নৌযান শিল্পকেও হার মানিয়েছে।এ কি গ্রাম,নাকি বিকশিত এক শিল্পনগরী!স্বরূপকাঠি উপজেলার অন্যতম প্রধান সমস্যা নদীভাঙন।দীর্ঘকাল ধরে সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বরিশালের সঙ্গে স্বরূপকাঠির যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে।সন্ধ্যার অব্যাহত ভাঙনে বাসস্ট্যান্ডটি প্রতিনিয়ত স্থান বদলের কবলে পড়ে।ইতোপূর্বে স্বরূপকাঠি উপজেলা সংলগ্ন ও অন্যান্য এলাকার ভাঙন প্রতিরোধে কিছু পাইলিং ও কংক্রিটের বস্তা ফেলার কাজ করা হয়।কিন্তু তাতেও সন্ধ্যার ভাঙন প্রতিরোধ করা যায়নি।ধান-নদী-খাল এই তিনে বরিশাল-এমন একটি সুবচন দীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশের মানুষের মুখে মুখে ফিরছে। বরিশাল থেকে স্বরূপকাঠি সড়ক যাতায়াত ব্যবস্থা বর্তমানে উন্নত হলেও ব্যবসা-বাণিজ্য মূলত জলপথনির্ভর।কিন্তু দীর্ঘকাল ধরে নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং সন্ধ্যা নদীর প্রতি মানুষের বিরূপ আচরণের ফলে সন্ধ্যা আজ ক্ষুব্ধ।নদীর নিচে ক্রমশ পলি ও ভাঙনের মাটি জমা হয়ে নদীতল ভরাট হয়ে গেছে।হ্রাস পেয়েছে নদীর পানি ধারণক্ষমতা।নদী হারিয়েছে তার নাব্যতা।নদীর পাড়ে ড্রেজার বসিয়ে ক্রমাগত মাটি ও বালু উত্তোলনের ফলে সন্ধ্যার পাড় ভাঙন আরও জোরদার হয়েছে।সন্ধ্যা নদীর ভাঙনের হাত থেকে ঐতিহ্যবাহী স্বরূপকাঠি-ইন্দেরহাট বন্দর, তত্সংলগ্ন বর্ধিষ্ণু গ্রামাঞ্চল এবং শিল্পনগরীকে রক্ষা করতে হলে সন্ধ্যা নদীকে ড্রেজিং করতে হবে।ভাঙনের ফলে এঁকেবেঁকে যাওয়া সন্ধ্যার গতিপথ সোজা করতে নিতে হবে নদীশাসনের পদক্ষেপ।সন্ধ্যা নদীর ভাঙন রোধ ও নাব্যতা ধরে রাখতে নদী থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন বন্ধে অপরাধীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।নদী-খালের পানিদূষণ রোধে বর্জ্য অপসারণ বন্ধ করতে পৌরসভাকে আরও সক্রিয় করা আবশ্যক।শিল্প বিকাশের স্বার্থে স্বরূপকাঠির নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত্ সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি।স্বরূপকাঠি উপজেলার রাস্তাঘাট,বাসস্ট্যান্ড ও অভ্যন্তরীণ খালের উন্নয়নে ব্যবস্থা নিতে হবে।কৃষি ও নৌযান শিল্প বিকাশের স্বার্থে সরকারি আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।সরকারের সার্বিক সহায়তা পেলে দক্ষিণ বাংলার ঐতিহ্যবাহী উপজেলা স্বরূপকাঠির সম্ভাবনাময় কৃষি ও নৌযান শিল্পসহ অন্যান্য শিল্পের বিকাশ ও সমৃদ্ধি গোটা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।আর তাহলে গ্রামে কর্মসংস্থানের পরিধি বিস্তৃত হবে।পাশাপাশি গ্রামের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করা গেলে শহরমুখো বিশাল জনগোষ্ঠী ফিরে আসবে গ্রামে।রাজধানীসহ দেশের শহরাঞ্চলের ওপর জনসংখ্যার চাপ কমবে।হ্রাস পাবে নগর জীবনের নানা সমস্যা।বাড়বে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের সুযোগ।স্বরূপকাঠির উন্নয়নের মডেল অনুসরণ করে সারাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষও নিজ নিজ গ্রামের উন্নয়নে উদ্বুদ্ধ হবেন।দেশের বিত্তবানরাও বিনিয়োগে এগিয়ে আসবেন।সমৃদ্ধ হবে দেশের গ্রামীণ অর্থনীতি।ধীরে ধীরে জেগে উঠবে সারাদেশ।গ্রামের উন্নয়নই তো দেশের সার্বিক সমৃদ্ধির চালিকাশক্তি।




Archives
Image
৪ দফা দাবিতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
Image
তোফাজ্জল হত্যার বিচারের দাবিতে বরিশালে প্রতিবাদ সমাবেশ
Image
বরিশালে অবৈধভাবে বালু ভরাটের প্রতিবাদ সংখ্যালঘু যুবককে মারধরের অভিযোগ
Image
সাবেক এমপি বাহার ও তার মেয়ের ব্যাংক হিসাব জব্দ
Image
ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি দিলীপ আরও ৬ দিনের রিমান্ডে