মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নসহ গ্রামবাসীদেরকে নদী ভাংগনের হাত থেকে বাঁচার দাবীতে শত শত মহিলা-পুরুষ ও শিশুরা নদীর তিরে দাড়িয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শ্রীপুর নদী ভাংগন রক্ষা কমিটি ও স্থানীয় ইউনিয়নের সর্বস্থরের জনগন।যেকোন মুহুর্তে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে শ্রীপুর বাজার,বাহেরচর শ্রীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,শ্রীপুর জামে মসজিদ,বাহেরচর কওমি মাদ্রাসা।ইতিমধ্যে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে সরকারী তহসিল অফিস,কমিউনিটি ক্লিনিক সহ দুই শতাধিক বসত ঘর ও তিন শতাধিক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান।বসত ভিটা হারিয়ে বিভিন্ন স্থানে একটু আশ্রয়ের আসায় গুরছে কয়েকশত পরিবারের সদস্যরা।এরা কোন ত্রান বা সাহায্য চায় না এরা চায় নদী ভাংগনের হাত থেকে রক্ষা করা সহ মাথা গোঁজার জন্য একটুখানি জমি।সকাল দশ থেকে দুপুর বারটা পর্যন্ত শ্রীপুর লঞ্চ ঘাট এলাকার কয়েক কিলোমিটারর জুড়ে এ কর্মসূচি পালন করে।নদী ভাংগন রক্ষা কমিটির আহবায়ক মোঃ লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, নব নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান হারুনর রসিদ মোল্লা, শ্রীপুর আ’লীগ সাধারন সম্পাদক মাহমুদ হাসান,মাস্টার মমতাজুল হক, ওয়াহেদুজ্জামান বেপারী, স্থানীয় বিএনপি সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন রুবেল,অধ্যাপক মোঃ হোসেন,আলহাজ মাওলানা আনোয়ার হোসেন,নদী ভাংগন রক্ষা কমিটির যুগ্ন আহবায়ক মোঃ শাখাওয়াত হোসেন,সদস্য সচিব শ্রী নিজন চন্দ্র দেবনাথ,মোঃ রিপন কাজী,মোঃ আমির হোসেন,মোঃ আফজাল হোসেন বাবু,মোঃ আল আমিন মোঃ মিজান শেখও মোঃ মঈন প্রমুখ।নদী ভাংগন এলাকা ঘুড়ে দেখা যায় এক কোটি সত্তর হাজার টাকা ব্যায়ে সদ্য নির্মিত বাহেরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন ভবনটি নদী থেকে পাঁচ থেকে সাত হাত দূরে রয়েছে যা এখন পর্যন্ত স্কুল ভবনটি উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।অন্যদিকে শ্রীপুরের মহিষা, গাগুরিয়া এলাকার দশ-বার হাজার মানুষ তেতুলিয়া ও কালাবদর নদীর কড়াল গ্রাসের মুখে পড়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।ঘাগুরিয়ার মোঃ জহির উদ্দিন শেখ বলেন, কয়েকদিন আগেও তার অনেক কিছু ছিল আজ সেই সব সম্পদ এখন নদীতে সে এখন নিঃস্ব।তিনি এপর্যন্ত আটবার নদী ভাংগনের শিকার হয়েছেন।এরকম আক্ষেপ আর অভিযোগ মহিলা-পুরুষরা এসে, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মীদের কাছে বলেন।এছাড়া এখনও যে যেভাবে পারছে বাগানের শত শত গাছ,ঘড়বাড়ি নদীর পাড় থেকে সড়িয়ে নেয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন, তারা বলছেন সবইতো নদীতে যাবে, যা রক্ষা করা যায়, বাঁচতে তো হবে।শ্রীপুর এলাকাবাসী নেই কোন আনন্দ নেই তাদের চোখে ঘুম শুধুই একটাই চিন্তা নদী কখন তাদের যে সম্বলটুকু আছে তাও কেড়ে নেয়।এব্যাপারে নদী ভাংগন রক্ষা কমিটির আহবায়ক মোঃ লোকমান হোসেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হারুনর রসিদ মোল্লাকে সাথে নিয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমানের নিকট প্রধান মন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করে স্মারকলিপি প্রদান করেন।