মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশালে মাত্র ১২ ঘন্টার ব্যবধানে ঝড়ে গেছে এক ছাত্র সহ ৫টি প্রান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালে ওই পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়া একজন অজ্ঞাত পরিচয়ের পুরুষ। অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির মৃত দেহ সহ ৩টি লাশের ময়না তদন্ত হয়েছে শেবাচিমের মর্গে। বাকি ২টি মৃত দেহ আইনী প্রকৃয়ায় দাফন-কাফনের উদ্দেশ্যে নিয়ে গেছেন স্বজনরা। হাসপাতালের ওয়ার্ড মাষ্টার অফিস এবং কোতয়ালী থানা সূত্রে এই তথ্য জানাগেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার সকালে নগরীর গোরস্থান রোডে নিজ বাড়ির পাশে আম গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় রুহিত নামের কলেজ ছাত্র’র লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে ওই এলাকার মৃত বাবু মুন্সির ছেলে এবং সরকারি আলেকান্দা কলেজের ছাত্র। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে প্রায় ৪০ বছর বয়সি এক অজ্ঞাত পুরুষকে শেবাচিম হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে ভর্তি করে চলে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। ভর্তি রেজিষ্ট্রারে অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয় বলে উল্লেখ্য করা হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ৮ ঘন্টা পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তাছাড়া বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করা জয়নাল (৪৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঝালকাঠি সদর উপজেলার বেহালপুর এলাকার মৃত জনাব আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এর সোয়া ১ ঘন্টার মাথায় রাত ১টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার ধান ক্ষেত্রে হালচাশের সময় ট্রাক্টরের ধাক্কায় পেটে প্রচন্ড আঘাতপ্রাপ্ত হন বরগুনা সদর উপজেলার খেজুর তলা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ এর ছেলে ইসমাইল হোসেন (৪০)। ওইদিনই সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তার মৃত্যু হয়। এছাড়াও আগুনে পুড়ে মুকুল বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি বরিশাল সদর উপজেলার বন্দর থানাধীন চরকাউয়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মজিদ এর স্ত্রী। ১১ ফেব্রুয়ারী তিনি অগ্নিদগ্ধ হলে ওইদিন বিকাল ৫টায় তাকে শেবাচিম হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।