Current Bangladesh Time
মঙ্গলবার জুলাই ১৫, ২০২৫ ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বরিশালের মুখ্য বিচারিক হাকিম আলী হোসাইন ৭ মাস বরিশাল সার্কিট হাউসে বাস করে ভাড়া দিয়েছেন মাত্র ৫ দিনের 
Saturday July 22, 2017 , 2:09 pm
Print this E-mail this

বরিশাল সার্কিট হাউজের সাত মাসের ভাড়া মেরে দিলেন বিচারক !

বরিশালের মুখ্য বিচারিক হাকিম আলী হোসাইন ৭ মাস বরিশাল সার্কিট হাউসে বাস করে ভাড়া দিয়েছেন মাত্র ৫ দিনের


স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল সার্কিট হাউজে সাত মাস থেকে ভাড়া পরিশোধ না করার অভিযোগ উঠেছে আদালতের বিচারক আলী হোসাইনের বিরুদ্ধে। বকেয়া টাকা পরিশেধ না করেই তিনি সেখান থেকে কেটে পড়েছেন। এমনকি টাকা পরিশোধের জন্য বরিশাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাগিদ দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি। যে কারণে শেষতক জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিচারককে চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু তার পরেও টাকা দিবেন কী না সে বিষয়ে স্পষ্ট করেননি বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক আলী হোসাইন। এমতাবস্থায় জেলা প্রশাসনের চিঠি স্ক্যানকপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে বরিশালে এখন তোলপাড়া অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বরিশাল জেলা প্রশাসক গাজী মো. সাইফুজ্জামান জানিয়েছেন বরিশালের মুখ্য বিচারিক হাকিম আলী হোসাইন ৭ মাস বরিশাল সার্কিট হাউসে বাস করে ভাড়া দিয়েছেন মাত্র ৫ দিনের। জেলা প্রশাসক ২০১৫ সালে যোগদানের আগ থেকেই তিনি এখানে থাকতেন। তিনি দীর্ঘদিন এখানে বাস করায় রেজিস্ট্রি এন্ট্রির মাধ্যমে তার কাছ থেকে প্রায় ৯৩ হাজার টাকা ভাড়া পাওনা ছিল। বিষয়টি প্রাথমিকভাবে তাকে অবহিত করা হলে তিনি কোনো সদুত্তোর দেননি। যে কারণে পরবর্তীতে তাকে চিঠিও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি।বরং হঠাত জানা যায় বিচারক সার্কিট হাউস ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। তবে বর্তমানে বিচারক আলী হোসাইন কোথায় থাকছেন সে বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন বরিশাল জেলা প্রশাসক। বরিশাল সাকির্ট হাউস সূত্র জানায়, বকেয়া ভাড়া পরিশোধের তাগিদ দিয়ে ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট বিচারক আলী হোসাইনকে বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নেজারত শাখা থেকে একটি চিঠি দেয়া হয়। সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, বিচারক বরিশাল সার্কিট হাউজের পুরাতন ভবনের ৭/৯ কক্ষটি ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের ২৮ জুন পর্যন্ত ব্যবহার করেছেন। কিন্তু ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত চার দিনের মোট ৩৯০ টাকা ভাড়া পরিশোধ করা হলেও বাকি দিনগুলোর জন্য কোনো ভাড়া দেননি। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ওই কক্ষে এক থেকে তিন দিন পর্যন্ত প্রতিদিন ৯০ টাকা হারে এবং চার থেকে সাত দিন পর্যন্ত ১২০ টাকা হারে এবং সাত দিনের ঊর্ধ্বে প্রতিদিনের জন্য চারশ টাকা হিসাবে ভাড়া নির্ধারণ করা রয়েছে। এই হিসাবে ওই বিচারকের কাছে ভাড়া বাবদ মোট পাওনা রয়েছে ৯৩ হাজার ৯৫০ টাকা। ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছিল, সরকারি পাওনা পরিশোধ করার জন্য ওই কার্যালয়ের বিগত ২৬ মে ২০১৬ তারিখে আপনাকে পত্র প্রেরণ করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো টাকা পরিশোধ করা হয়নি। এরপরও আপনি ধারাবাহিকভাবে ২০১৬ সালের ২৬ জুন পর্যন্ত কক্ষটি ব্যবহার করেছেন। এ বিষয়ে বরিশাল মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের ভাষ্য হচ্ছে, তিনি অনেক আগেই টাকা পরিশোধ করেছেন। সেই পরিশোধের কাগজপত্র রয়েছে তার কাছে।




Archives
Image
বেনজীরের যুক্তরাষ্ট্র-মালয়েশিয়ার সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
Image
আগে সংস্কার তারপর নির্বাচন-পিরোজপুরে নাহিদ ইসলাম
Image
বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ঘোষণা : একাই দুই আসনে লড়বেন ফয়জুল করীম
Image
বরিশালে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
Image
তথ্য ফাঁসের অভিযোগ, বরিশালে ডিবি কনস্টেবল ফারুক ক্লোজড