|
না তিনি কোন আলাদিনের চেরাগ হাতে পাননি, তার জাদু ঝুলিতে রয়েছে সততা।সততাই নাকি তার সাফল্যের মূল মন্ত্র বা চাবিকাঠি।
বরিশালের চৌকস পুলিশ কমিশনার রহুল আমিন
সুব্রত বিশ্বাস : বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার একজন দক্ষ ও সফল পুলিশ কমিশনার।তিনি কঠোর হুঁশিয়ার করে দেন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের। কোন রকম অন্যায় অপরাধ পেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন এই কমিশনার এস এম রুহুল আমিন।কোন কর্মকর্তা ও সদস্য যদি কোন রকম অসততা ও পোশাকের সাথে বেঈমানি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।পাশাপাশি ভাল কাজ করলে তাদের পুরস্কৃত করা হবে বলেও জানান তিনি।নড়েচড়ে বসেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ’র সকল কর্মকর্তারা।প্রশাসনিক কাজে এসেছে গতিশীলতা।দুর্নীতির সাথে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা রয়েছেন আতংকে। কারন নতুন কমিশনার সৎ ও চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত ও সমাদৃত।গোপালগঞ্জের সন্তান এসএম রুহুল আমিন ডিআইজি হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ পুলিশে চাকুরী করে আসছেন।অন্যায়ের সাথে কখনও আপোষ করেননি তিনি।এ ছাড়া বরিশাল থেকে মাদক, সন্ত্রাস ও ভূমিদস্যূদের বিরুদ্ধে সর্বদাই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তিনি।একই সাথে বিএমপি পুলিশের মাঝে চেইন অব কমান্ড ফিরে আসবে বলে জানান সৎ ও চৌকস কর্মকর্তারা। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের নতুন কমিশনার এস এম রুহুল আমিন যোগদানের সাথে সাথেই যেন বরিশালের সব অপরাধ কর্মকান্ড যেন গা ঢাকা দিয়ে বসেছে। পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমিন বলেন,‘এই নগরীতে সন্ত্রাসীরা কখনই আশ্রয়-প্রশ্রয় পাবে না।জনগন-পুলিশ ঐক্যবদ্ধ ভাবে তাদের প্রতিরোধ করা হবে। অপরাধীদের কোন দল নেই।সরকার অপরাধীদের সমর্থন করে না।পুলিশিং কার্যক্রমে শুধু তারাই থাকবেন যারা দেশকে ভালবাসেন, সমাজকে ভাল করতে চান, সমাজকে অপরাধমুক্ত দেখতে চান তারাই আমার প্রকৃত বন্ধু।পুলিশ কমিশনার রুহুল আমিন আরো বলেন, পুলিশ ঘটনার পর তদন্তে যায়।কিন্তু কমিউনিটি পুলিশিং’র কাজ হচ্ছে ঘটনা ঘটার আগেই কমিটির সদস্যরা সেখানে যাবে।যাতে কোন সহিংসতার মত ঘটনা না ঘটতে পারে।মেধা, বুদ্ধি দিয়ে চেস্টা করতে হবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে।যদি সম্ভব না হয়, তবেই পুলিশকে ডাকবেন।তবে বড় ধরনের ঘটনা যেমন, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, ডাকাতি, এমন কিছু ঘটলে পুলিশ যাবে।তাদেরকে প্রকৃত অপরাধী চিহ্নিত করতে সাহায্য করতে হবে।যেন কোন নিরীহ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।তিনি বলেন, ধর্মের নামে ধর্মান্ধ একটি গোস্টি গুলশানে, সোলাকিয়ায়, গাজিপুরে, কল্যানপুরে পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছিল।কিন্তু দেশ প্রেমিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তাদের হামলা প্রতিহত করেছে।পুলিশ কিন্তু কোন সন্ত্রাসীকেই ছাঁড় দেয়নি।এখনো জঙ্গিগোস্টি পুরোপুরি নির্মূল হয়নি।ছিটেফোঁটা এখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।তা সবাই মিলে প্রতিরোধ করে নিশ্চিহ্ন করতে পারবো আশা করি।জঙ্গিরা ইসলামের কথা বলে নিরীহ মানুষ খুন করে।ওরা ইসলামের অনুসারী নয়, আজ আইএস নামক সংগঠনের ব্যানারে যারা মানুষ মারছে এই সংগঠনের প্রধান আমেরিকায় ৫ বছর জেল খেটেছেন।ছাড়া পেয়ে এসে আইএস বানিয়েছে।এ সংগঠনের কাজ হচ্ছে সারা বিশ্বের মুসলমানদের বিরুদ্ধে।ইসরাইলের বিরুদ্ধে নয়, আমেরিকার বিরুদ্ধে নয়।এ সংগঠনটি আজ ইসলামের শত্রুতে পরিনত হয়েছে।কমিউনিটি পুলিশিং সদস্যদের পাশে তিনি থাকবেন, কেউ যাতে সদস্যদের হয়রানী বা ক্ষতি করতে না পারে এ বিষয়ে তীক্ষ দৃষ্টি রাখার প্রতিশ্রুতি দেন পুলিশ কমিশনার।একটি ভাল দেশ বা জাতি গঠনে ‘রুহুল আমনি’-এর মতন একজন সৎ ও ভালো মানুষের ঐক্যের দরকার।না তিনি কোন আলাদিনের চেরাগ হাতে পাননি, তার জাদু ঝুলিতে রয়েছে সততা।আর এই সততাই নাকি তার সাফল্যের মূল মন্ত্র বা চাবিকাঠি।
Post Views:
৮২
|
|